লাইফস্টাইল ডেস্ক : কিশমিশ নানাভাবেই খাওয়া যায়। তবে কিশমিশ ভিজিয়ে খেতে পারলে বেশি উপকার পাওয়া যায়। জেনে নিন, ভেজানো কিশমিশ খাওয়ার উপকারিতা কী কী।
হজমশক্তি বাড়ায় : ভেজানো কিশমিশে ফাইবার থাকে প্রচুর পরিমাণে। হজমশক্তি ঠিক রাখতে ফাইবার দারুণ সাহায্য করে। আর হজম ঠিকঠাক হলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা কমে যায়। আয়রনের খুব ভালো উৎস কিশমিশ। বিশেষ করে ভেজানো কিশমিশে আয়রন থাকে প্রচুর পরিমাণে। তাই আয়রনের অভাবজনিত রোগ অ্যানিমিয়া বা রক্তাল্পতা কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে কিশমিশ।
হার্টের জন্য উপকারী : উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে ভেজানো কিশমিশের জুড়ি মেলা ভার। রক্তচাপ বশে থাকলেই হার্ট ভালো থাকে। তা ছাড়া, কিশমিশে রয়েছে পটাশিয়ামের মতো খনিজ, যা হার্টের জন্য অত্যন্ত উপকারী। হাড়ে পুষ্টি জোগায় কিশমিশ হলো ক্যালশিয়াম সমৃদ্ধ। বিশেষ করে ভেজানো কিশমিশ ক্যালশিয়ামের খুব ভালো উৎস। কিশমিশ খেলে ক্যালশিয়ামের অভাব পূরণ হবে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় : কিশমিশে রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট। অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং ফ্রি র্যাডিক্যালের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে শরীরকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। ফ্রি র্যাডিক্যাল হৃদরোগ এবং ক্যানসারের মতো রোগের কারণ হতে পারে।
ওজন নিয়ন্ত্রণ করে : ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে কিশমিশ ভালো বিকল্প হতে পারে। কিশমিশে রয়েছে ফাইবার, যা দীর্ঘক্ষণ পেট ভর্তি রাখতে সাহায্য করে। ফলে বারবার খাবার খাওয়ার প্রবণতা কমে যায় এবং ওজনও নিয়ন্ত্রণে থাকে।
দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখে : কিশমিশ চোখেরও যত্ন নেয়। কিশমিশে থাকা অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করে এবং বয়সজনিত চোখের সমস্যাও প্রতিরোধ করে।
ত্বক ভালো রাখে : কিশমিশে রয়েছে ভিটামিন এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। নিয়মিত কিশমিশ খাওয়া হলে ত্বক ভালো থাকে। ত্বককে ফ্রি র্যাডিক্যালের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে এবং ত্বকের জেল্লা বাড়িয়ে তোলে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।