বিনোদন ডেস্ক : এ সময়ের দুই জনপ্রিয় অভিনয়শিল্পী আরশ খান ও রুকাইয়া জাহান চমক। কয়েক দিন ধরে আলোচনায় আছেন তারা। ‘শ্বশুরবাড়িতে প্রথম দিন’ নামের একটি নাটকের শুটিং সেটে নির্মাতা ও অভিনয়শিল্পীদের থেকে দুর্ব্যবহার ও কুপ্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগ আনেন এই অভিনেত্রী।
পরে চমকের সব অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। মিথ্যা অভিযোগ নিয়ে কয়েক দিন ধরে মানসিকভাবে অস্বস্তিতে ছিলেন আরশ খান। তিনি বলেছেন, মিথ্যা অভিযোগে কারো মৃত্যু হতে পারে।
আরশ খান বলেন, ‘চমক আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা কথাগুলো ভাইরাল করেছে। সেটি সবার কাছে নানাভাবে ছড়িয়েছে; কিন্তু সেগুলো সবই ছিল মিথ্যা। এটা আমাদের চার সংগঠনেই প্রমাণিত হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমার কথা হলো- একজন শিল্পী তিনি ছেলে বা মেয়ে হোক, সে যা বলল, সেটিই আমরা সত্য–মিথ্যা যাচাই না করে অনেক সময় বিশ্বাস করি, মিডিয়ায় কাভার করি। দেখা যায়, অনেক মিডিয়াই জাস্টিফাই না করে খবর প্রকাশ করে। এতে একজন শিল্পীর কারণে অন্যজন যে বাজেভাবে অসম্মানিত হন, এটা কি আমরা জানি না? আমার কথা যদি বলি, একজন শিল্পী হিসেবে চমকের মিথ্যা অভিযোগ বাজেভাবে আমাকে মানহানি করেছে। এটা আমার পরিবারের ওপর প্রভাব ফেলেছে।’
মিথ্যা অভিযোগের কারণে আরশ ১০ দিন শুটিং করতে পারেননি। এজন্য তিনি আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন।
আরশ আরও বলেন, ‘এ ঘটনা আমার জন্য প্রফেশনাল ও অর্থনৈতিক ক্রাইসিস তৈরি করেছিল। চমককে সম্মান করে আমি কোথাও কোনো বাজে মন্তব্য করিনি। এখনো বলছি না; কিন্তু অকারণে মিথ্যা মন্তব্য কারো ব্যাপারে সে করতে পারে না। এখন চমকের বলা উচিত, অনৈতিক সুবিধা চাওয়ার বিষয়টি মিথ্যা। এখন চমকের প্রেস কনফারেন্স কোথায়, কেন সে বলছে না অনৈতিক সুবিধা চাওয়ার বিষয়টি মিথ্যা ছিল? এটা কত বড় অভিযোগ, যার বিরুদ্ধে করা হয় সে এবং তার পরিবার বুঝতে পারে।’
এই অভিনেতা আরও বলেন, ‘এই যে হুট করে একজন আরেকজনের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ, এজন্য তো কারো মৃত্যু হতে পারে। এ দায়ভার কারা নেবে? মিথ্যা খরবগুলো তো থেকেই যাবে।’
তিনি বলেন, ‘এ মিথ্যা অভিযোগের ঘটনাগুলোর নিউজে অনেকেই শেয়ার দিয়েছে, আমি অপমানিত হয়েছি। কিন্তু এখন যখন সত্য প্রমাণিত হলো, তখন এ ঘটনার সত্যটায় কেউ শেয়ার দিল না। সবাই আমাকে ইনবক্সে অভিনন্দন জানাচ্ছে। কেন? আমি বলব, চমক যা করেছে, এটা কোনো শিল্পীসুলভ আচরণই না। শুটিং সেটে যা হয়েছে, সেটিও শিল্পীসুলভ আচরণ ছিল না। পরবর্তী সময়ে আমার সঙ্গে মিথ্যা অভিযোগ নিয়ে বারবার যা বলেছে, সেটিও শিল্পীসুলভ আচরণ না। যে শিল্পীসুলভ আচরণই করতে পারে না, তার কাছে আমি সেই আচরণ প্রত্যাশাই করি না।’
সমস্যার সূত্রপাত হয় গেল ৪ আগস্ট। সেদিন আদিব হাসান পরিচালিত একটি নাটকের সেটে চমকের দেরি করে উপস্থিত হওয়া নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়। জানা যায়, তিনি নাকি শুটিংয়ে সবার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেছেন। এমনকি সিনিয়র শিল্পীকেও ছেড়ে কথা বলেননি। এমনকি সেটে পুলিশও আসে।
এরপর আদিব হাসান ডিরেক্টরস গিল্ডের কাছে অভিযোগ করেন। অন্যদিকে চমকও অভিনয় শিল্পী সংঘের কাছে অভিযোগ দেন। বিষয়টি নিয়ে মাথা ঘামিয়েছে টেলিভিশন প্রোগ্রাম প্রডিউসারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (টেলিপ্যাব), ডিরেক্টরস গিল্ড ও অভিনয়শিল্পী সংঘের নেতারা। সংগঠন তিনটি গত ১৩ আগস্ট বিকালে সমস্যাটির সমাধানের লক্ষ্যে বসে। এ সময় অভিযোগকারী চমক ও নির্মাতা আদিব হাসানের অভিযোগ শোনা হয়। সেইসঙ্গে সাক্ষী হিসেবে অভিনেতা আরশ খানের বক্তব্য শোনেন সংগঠনের নেতারা।
এরপর গত ১৪ আগস্ট অভিনয়শিল্পী সংঘ এক বার্তায় সভার সিদ্ধান্ত লিখিত আকারে পাঠায়। সেখানে অভিনেত্রী চমককে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। সংগঠনটি তাকে আগামী ছয় মাস কিছু নিয়ম মেনে চলতে বলেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।