লাইফস্টাইল ডেস্ক : অক্ষয় তৃতীয়ার উৎসবে সোনা ও রূপার গয়না কেনা শুভ বলে মনে করা হয়। যাইহোক, সোনা এত দামী ধাতু যে এটি কেনা সবার পক্ষে সম্ভব নয়। কিন্তু, তারপরও মানুষ তাদের অবস্থা অনুযায়ী কিনে নেয়। প্রাচীনকাল থেকেই সোনার ব্যবহার হয়ে আসছে। প্রাচীনকালে রাজা-সম্রাটদের মুকুট ও অলঙ্কার থেকে শুরু করে মুদ্রা পর্যন্ত শুধু সোনা দিয়েই তৈরি হতো।
আজও সোনার প্রতি মানুষের আগ্রহ কম নয়। বিশেষ করে নারীরা স্বর্ণ সংরক্ষণে বেশি আগ্রহী। সোনা বিশ্বের সবচেয়ে পছন্দের ধাতুগুলির মধ্যে একটি। তবে অনেকেরই মনে একটা প্রশ্ন জাগতেই পারে যে সোনা এত দামী কেন? সোনায় এমন কি আছে যা এই ধাতুকে এত মূল্যবান করে তোলে।
আসলে পৃথিবীতে স্বল্প পরিমাণে থাকা বেশিরভাগই জিনিসগুলি সাধারণত ব্যয়বহুল হয়ে থাকে। তেমনি এক ধাতু হল স্বর্ণ। এটি প্রকৃতিতে খুব স্বল্প পরিমাণে পাওয়া যায়, তাই এটি অতিরিক্ত মূল্যবান হয়ে থাকে। সোনা প্রকৃতি থেকে বিনামূল্যে মিললেও সোনার আকরিক থেকে খাঁটি সোনা পাওয়ার প্রক্রিয়াটি অত্যন্ত ব্যয়বহুল হওয়ায় সোনার দাম অনেক বেশি হয়ে থাকে।
প্রায় অনেকেই জানেন না যে সমুদ্রেও সোনা পাওয়া যায়। কিন্তু, সমুদ্র থেকে সোনা আহরণের প্রক্রিয়া অনেকটাই ব্যয়বহুল ও কষ্টসাধ্য হয়ে থাকে। এ ছাড়া সোনা হল হলুদ রঙের চকচকে এবং খুব সুন্দর ধাতু। সুন্দর জিনিসের কদর সবসময়ই বেশি। এইভাবে, সোনার চকচকে এবং সৌন্দর্যও এটির দামী হওয়ার একটি বড় কারণ। আবার অন্যান্য ধাতুর মত সোনায় মরিচা পড়ে না।
ফ্যাশন, ডেকোরেশন থেকে শুরু করে শিল্প কাজেও এর ব্যবহার সবসময়ই তুঙ্গে থাকে। আসল কথা হল সোনার দাম কোন ব্যাক্তি বা সংস্থা নির্ধারিত হয় না, বরং এটি তার খনি এবং পরিশোধনের খরচের উপর নির্ভর করে। যার ফলে সোনার দামের গ্রাফ সর্বত্রই উচুর দিকে থাকে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।