Close Menu
Bangla news
    Facebook X (Twitter) Instagram
    Bangla news
    • প্রচ্ছদ
    • জাতীয়
    • অর্থনীতি
    • আন্তর্জাতিক
    • রাজনীতি
    • বিনোদন
    • খেলাধুলা
    • শিক্ষা
    • আরও
      • লাইফস্টাইল
      • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
      • বিভাগীয় সংবাদ
      • স্বাস্থ্য
      • অন্যরকম খবর
      • অপরাধ-দুর্নীতি
      • পজিটিভ বাংলাদেশ
      • আইন-আদালত
      • ট্র্যাভেল
      • প্রশ্ন ও উত্তর
      • প্রবাসী খবর
      • আজকের রাশিফল
      • মুক্তমত/ফিচার/সাক্ষাৎকার
      • ইতিহাস
      • ক্যাম্পাস
      • ক্যারিয়ার ভাবনা
      • Jobs
      • লাইফ হ্যাকস
      • জমিজমা সংক্রান্ত
    • English
    Bangla news
    Home জগদীশ চন্দ্র বসু কেন বেতার যন্ত্রের আবিষ্কারক নন?
    বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি

    জগদীশ চন্দ্র বসু কেন বেতার যন্ত্রের আবিষ্কারক নন?

    October 13, 20233 Mins Read

    বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক : রেডিও বা বেতার যন্ত্রের আবিষ্কারক হিসেবে মার্কোনির নাম জানে সবাই। কিন্তু তার আগেই বেতার যন্ত্র তৈরি করেছিলেন বাঙালি বিজ্ঞানী জগদীশ চন্দ্র বসু। বাঙালি বলেই জগদীশ চন্দ্র আবিষ্কারকের মর্যাদা পাননি, পশ্চিমাদের এটা একটা চালবাজি ছিলে- এ ধরনের একটা ষড়যন্ত্র তত্ত্ব চালু আছে। কিন্তু আসলেই কি তাই?

    জগদীশ চন্দ্র বসু গবেষণা করেছিলেন ক্ষুদ্র বিদ্যুৎচুম্বক তরঙ্গ বা মাইক্রোওয়েভ নিয়ে।

    পরীক্ষাগারে তিনিই প্রথম ক্ষুদ্র বিদ্যুৎচুম্বক তরঙ্গ আবিষ্কার করতে সক্ষম হন। আরও চেষ্টা করছিলেন ক্ষুদ্র তরঙ্গকে রেডিও বা বেতারযন্ত্রের সাহায্যে এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় পাঠাতে। অবশেষে ১৮৯৪ সালে সফল হয় তাঁর সেই চেষ্টা।

    ১৮৯৫ সালে জগদীশ চন্দ্র বসু কলকাতার টাউন হল মাঠে এক জনসভায় বক্তৃতা দেন।

    সেখানে তিনি বিদ্যুৎচুম্বকীয় তরঙ্গকে বিনা তারে দেয়াল ভেদ করে কীভাবে পাঠানো যায়, সে ব্যাখ্যা দেন। এমনকী তার যন্ত্রটা চালিয়েও দেখান। সারা ভারতে তাঁর নাম ছড়িয়ে পড়ে। নাম ছড়ায় ইউরোপেও।

    ওই বছরই তাঁর কাজ নিয়ে একটা ফিচার ছাপা হলো ইংল্যান্ডের ‘ইলেকট্রিশিয়ান’ পত্রিকায়।

    জগদীশ বসুর গবেষণা ও খ্যাতির ফলে বাংলার সরকার তাঁকে নয় মাসের জন্য ইউরোপ ভ্রমণে পাঠায়। ১৮৯৬ সালে ইংল্যান্ডের রয়্যাল সোসাইটির এক সভায় যোগ দেন জগদীশ চন্দ্র বসু। সেই সভায় বেতারে বার্তা প্রেরণ করে তাঁর কাজের প্রমাণ দেখান। সেই সভায় উপস্থিত ছিলেন লর্ড র‌্যালেসহ আরও অনেক বিখ্যাত বিজ্ঞানী।

    এর এক বছর পর পর ইতালিয়ান বিজ্ঞানী মার্কোনিও একটা বেতারযন্ত্র তৈরি করেন। অনেকে মনে করেন জগদীশ চন্দ্র বসুর যন্ত্রটার নকল করেছিলেন তিনি। আসলে তা নয়। সেই সময় বেতার যন্ত্র নিয়ে অনেকেই কাজ করেছিলেন। জগদীশ চন্দ্র বসু আর মার্কোনি তাঁদের অন্যতম।
    জগদীশ চন্দ্র বসু যে ধরনের বেতারযন্ত্র তৈরি করেছিলেন, তা অতি ক্ষুদ্র তরঙ্গের বিদ্যুৎচুম্বক তরঙ্গ বা মাইক্রোওয়েভ তরঙ্গ বিকিরণ প্রেরণ করতে পারত। আজকের রাডার, টেলিভিশন ও স্যাটেলাইট যোগাযোগের ক্ষেত্রে এই ধরনের তরঙ্গের আদান-প্রদান ঘটে। তাই বলা যায় এসব যন্ত্রের মূল ভিত্তিই হলো জগদীশ চন্দ্র বসুর বেতারযন্ত্র। লন্ডনের রয়্যাল সোসাইটিতে দেওয়া তাঁর বক্তব্য শুনে ও পরীক্ষাগুলো দেখে র‌্যালে বিস্মিত হয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ‘এমন নির্ভুল পরীক্ষা আগে কখনো দেখিনি- এ যেন মায়াজাল।’ সেই বক্তৃতার পর বিখ্যাত বিজ্ঞানী লর্ড কেলভিন লাঠিতে ভর দিয়ে এসে জগদীশ চন্দ্র বসুর স্ত্রী অবলা বসুকে অভিনন্দন জানান। এরপর জগদীশের খ্যাতি আরও বেড়ে যায়। ফ্রান্স ও জার্মানি থেকে আমন্ত্রণ আসে। সেখানেও বক্তৃতা দেন।

    সে সময় ইউরোপের এক বিখ্যাত ইলেকট্রনিক কোম্পানি জগদীশ বসুর বেতারযন্ত্রের নকশাটা কিনতে চায়। কিন্তু তিনি সেটা বিক্রি করতে রাজি হননি। এর কিছুদিন পরেই মার্কনিও তার বেতারযন্ত্র তৈরি করেন। তখন সেই ইলেকট্রনিকস কোম্পানি মার্কোনির যন্ত্রের নকশাটা কিনে নেয়। ফলে মার্কোনির তৈরি বেতারযন্ত্রই ছড়িয়ে পড়ে সারা বিশ্বে। আবিষ্কারকের মর্যাদা তিনিই পেয়ে যান তিনি। এ নিয়ে অবশ্য জগদীশ চন্দ্র বসুর মনে কোনো দুঃখ ছিল না। তিনি মনে করতেন, বিজ্ঞান হলো সাধনা, ব্যবসার বস্তু নয়।

    সুতরাং, ষড়যন্ত্রের ব্যাপারটা একেবারেই গুজব। ওই সময় অনেকেই এই যন্ত্র নিয়ে কাজ করছিলেন, জগদীশ চন্দ্র বসু বা মার্কোনি এ যন্ত্র তৈরি না করলে অন্য কেউ করে ফেলত। এমনকী জগদীশ বসুর আগে অনেকেই বেতার যন্ত্র তৈরি করেছিলেন, সেগুলো হয়তো অতটা কার্যকর হয়নি। এর প্রমাণ মেলে জগদীশ চন্দ্র বসুর বেতারযন্ত্র নিয়ে ‘ইলেকট্রিশিয়ান’ পত্রিকার ওই ফিচারেই। সেখানে বলা হয়েছিল, ‘এ পর্যন্ত যতগুলো বেতারযন্ত্র আবিষ্কৃত হয়েছে, সব কটিকে হারিয়ে দিয়েছে জগদীশ চন্দ্র বসুর বেতারযন্ত্র।’

    সুতরাং জগদীশ চন্দ্র বসুকে মর্যাদা দিতে গিয়ে আমরা ষড়যন্ত্রের যে কথা বলি, সেটা সত্যি নয়। এ কথা বললে, বরং মার্কোনির কৃতিত্বকে ছোট করা হয়। আবার ইউরোপিয়ানরা আমাদের বিজ্ঞানীদের খাঁটো করে দেখেন, সেটাও সত্যি নয়। বরং ব্রিটিশ ভারতের বিজ্ঞানী হিসেবে জগদীশ চন্দ্র বসুকে নিয়ে গর্ব করে খোদ ব্রিটিশরাই। একারণেই তাঁদের পঞ্চাশ টাকার নোটে জগদীশ চন্দ্র বসুর ছবি ব্যবহারের সুপারিশ করা হয়েছে।

    সূত্র: ব্রিটানিকা

    জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।
    আবিষ্কারক কেন চন্দ্র জগদীশ নন প্রযুক্তি বসু! বিজ্ঞান বেতার যন্ত্রের
    Related Posts
    Huawei Mate 80 Pro

    Huawei Mate 80 Pro: বাংলাদেশে ও ভারতে দাম বিস্তারিত স্পেসিফিকেশনসহ

    June 8, 2025
    Nokia X200 Ultra

    Nokia X200 Ultra: বাংলাদেশে ও ভারতে দাম বিস্তারিত স্পেসিফিকেশনসহ

    June 8, 2025
    Motorola Razr 60

    Motorola Razr 60: বাংলাদেশে ও ভারতে দাম বিস্তারিত স্পেসিফিকেশনসহ

    June 8, 2025
    সর্বশেষ খবর
    ফলবাগানে -পরীমনি

    রাতের আঁধারে ফলবাগানে যা করলেন পরীমনি

    চার্মসুখ

    চার্মসুখ: নামেই যেমন তেমনি কামনার মোড়কে রহস্যে ঘেরা একের পর এক গল্প!

    City Light

    অজানা শহরের গোপন রোমান্স – সাহসী দৃশ্যের সমাহার ওয়েব সিরিজ!

    দীপিকার বড় চমক

    দীপিকার বড় চমক

    আশ্রম

    Aashram: ধর্মের মুখোশে লুকানো পাপের রাজত্ব—এবার সিজন ৪ দেখলে হাড় হিম হয়ে যাবে!

    ওয়েব সিরিজ

    Riti Riwaj Pinjara : নেট দুনিয়া ঝড় তুললো নতুন এই ওয়েব সিরিজ!

    তাণ্ডবে শাকিবের সঙ্গে বাজিমাত করলেন নিশো-সিয়াম

    জামায়াত আমির

    শহীদের রক্তের অমর্যাদা হয়, এমন নির্বাচন চাই না: জামায়াত আমির

    কুরবানির মাংস

    কুরবানির মাংস নিয়ে দ্বন্দ্ব, বড় ভাইয়ের প্রাণ কেড়ে নিল ছোট দুই ভাই

    বিরাট কোহলি

    বিরাট কোহলির নামে থানায় অভিযোগ

    • About Us
    • Contact Us
    • Career
    • Advertise
    • DMCA
    • Privacy Policy
    © 2025 ZoomBangla News - Powered by ZoomBangla

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.