জুমবাংলা ডেস্ক : ভৌগলিকভাবে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের একটি গুরুত্বপূর্ণ দেশ হলো বাংলাদেশ। এখানে জাপান অনেক আগে থেকেই ব্যাপকভাবে বিনিয়োগ করে আসছে। দেশের অর্থনীতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ মাতারবাড়ি বন্দরসহ নানা প্রকল্পের সঙ্গে টোকিও জড়িত। ১৯৭২ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেওয়ার পর থেকে জাপান ও বাংলাদেশের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক এখনও বিদ্যমান। নতুন দেশটি তার স্বাধীনতা ঘোষণা করার পরপরই দু’দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক অত্যন্ত ঘনিষ্ট।
গত ২২ ফেব্রুয়ারি এ সংক্রান্ত একটি নিবন্ধ ‘জাপান ফরোয়ার্ড’ পত্রিকায় ছাপা হয়েছে।
প্রতিবেদনের ভাষ্য অনুযায়ী, জাপান প্রতিবেশী এলাকায়, বিশেষ করে উত্তর-পূর্ব ভারতে উল্লেখযোগ্য বিনিয়োগ করেছে। অঞ্চলটির কৌশলগত অবস্থানের কারণে জাপান সরকার বিনিয়োগের অনুমতি দিয়েছে ব্যাপকভাবে। আরও নানা কারণে জাপানি বৈদেশিক নীতির একটি স্বাক্ষরমূলক উদ্যোগ, ‘মুক্ত এবং উন্মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিক’ দৃষ্টিভঙ্গি প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখছে।
জাপানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী আততায়ীর গুলিতে নিহত শিনজো আবে এ পরিকল্পনা করেছিলেন। মূলত তখন থেকে এ নীতি ধারাবাহিকভাবে জাপান প্রশাসন অব্যাহত রেখেছে। একই অংশ হিসেবে জাপান ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে একটি ‘নিয়মভিত্তিক আদেশ’ বজায় রাখা নিশ্চিতে কাজ করছে।
বাংলাদেশে জাপানের বিনিয়োগ নিয়ে প্রতিবেদনের ভাষ্য: জাপান জন্মলগ্ন থেকেই বাংলাদেশের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ উন্নয়ন সহযোগীদের মধ্যে একটি হলেও সাম্প্রতিক সময়ে চীনকে ছাড়িয়ে গেছে। ২০১৮ সালের জুন মাসে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা) বাংলাদেশের সঙ্গে ২৬৫ কোটি জাপানি ইয়েনের ঋণ চুক্তি স্বাক্ষর করে। এর উদ্দেশ্য ছিল মাতারবাড়ি বন্দরের উন্নয়নের ব্যবস্থা করা। দেশের উন্নয়ন সহায়তার অংশ হিসেবে টোকিও ‘ঢাকা মাস র্যাপিড ট্রান্সপোর্ট’ নেটওয়ার্কের সঙ্গেও জড়িত।
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি নিয়ে প্রতিবেদনের ভাষ্য: অর্থনৈতিক উন্নয়নে বাংলাদেশ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। ২০১৫ সালে নিম্নমধ্যম আয়ের দেশের মর্যাদা অর্জন করেছে এবং দেশটি ২০২৬ সালের মধ্যে জাতিসংঘের স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার জন্য মনোনীত হয়েছে। মাতারবাড়ি বন্দর প্রকল্প ভারতের উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলো ছাড়াও স্থলবেষ্টিত হিমালয় দেশ নেপাল এবং ভুটানের জন্যও সহায়ক হতে পারে। এই অঞ্চলগুলো ১৯৪৭ সালে ভারতের স্বাধীনতার সময় এবং ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ সৃষ্টির সময় স্থলবেষ্টিত হয়ে পড়ে।
‘জাপান ফরোয়ার্ড’র প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, মাতারবাড়ি বন্দরটি মিয়ানমারের সিতওয়ে বন্দরের কাছাকাছি। মিয়ানমারে প্রাকৃতিক জ্বালানি খাতে ভারতের উল্লেখযোগ্য বিনিয়োগ রয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।