আন্তর্জাতিক ডেস্ক : নর্দার্ন লাইটস, উত্তরের আলো বা অরোরা বোরিয়ালিস পৃথিবীর অন্যতম চমৎকার ঘটনা। অনেকেই এমন সবুজ কিংবা নিয়ন আকাশের নিচে শুভ্র তুষারের ওপর রাত কাটানোর স্বপ্ন দেখেন। তবে সবার কপালে এমন সবুজ আলোর রাত দেখার সৌভাগ্য হয় না।
তবে ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকার উত্তরাঞ্চলের বাসিন্দারা প্রতি বছর দেখতে পান উত্তরের আলো।
অরোরা বোরিয়ালিস হলো অরোরা পোলারিস-এর উত্তরীয় সংস্করণ। এটি একটি প্রাকৃতিক ঘটনা। সূর্য থেকে বৈদ্যুতিক চার্জযুক্ত কণা (প্রোটন ও ইলেকট্রন) পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে গ্যাসের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়, তখন তারা একটি ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক রেডিয়েশন ডিসপ্লে তৈরি করে, যা আকাশে দেখা যায়। মানে পরমাণুর ইলেকট্রনগুলো উচ্চশক্তিসম্পন্ন অবস্থায় স্থানান্তরিত হয় এবং যখন ইলেকট্রনগুলো নিম্নশক্তির অবস্থায় ফিরে আসে, তখন তারা একটি ফোটন ছেড়ে দেয়, যা আমাদের কাছে আলোর মতো দেখায়।
আলোর পরিমাণ মূলত আগত কণার সংখ্যা এবং তাদের শক্তির উপর নির্ভর করে। উত্তর গোলার্ধের মেরু আলো উত্তরের আলো বা অরোরা বোরিয়ালিস এবং দক্ষিণ অক্ষাংশে মেরু আলোকে দক্ষিণের আলো বা অরোরা অস্ট্রালিস নামে পরিচিত। এই আলোর মধ্যে সাধারণত সবুজ, গোলাপি, সাদা, লাল ও হলুদ রং মিশে থাকে। ভোরের রোমান দেবীর নামানুসারে অরোরা বোরিয়ালিস ইতিহাসে শত শত বছর ধরে প্রশংসিত হয়েছে।
পৃথিবীর চৌম্বকীয় ক্ষেত্রটি সৌর কণাকে চৌম্বকীয় করে উত্তর ও দক্ষিণ চৌম্বকীয় (ভূ-চৌম্বকীয়) মেরুগুলোর চারপাশের মেরু অঞ্চলে যেখানে ক্ষেত্রটি সবচেয়ে শক্তিশালী। এইভাবে, সংঘর্ষের সংখ্যা ও আলো নির্গমন চৌম্বকীয় মেরুগুলোর কাছাকাছি বেশি। চৌম্বক মেরুগুলো চৌম্বক অক্ষের শেষ প্রান্তে এবং কাছাকাছি অবস্থিত, কিন্তু ঠিক ভৌগলিক মেরুতে নয়। অর্থাৎ, অক্ষাংশ যত বেশি হবে উত্তরের আলো দেখার সম্ভাবনা তত বেশি এবং পৃথিবীর যত উত্তর বা দক্ষিণে যাওয়া যায়, তত উজ্জ্বল মেরু আলো দেখতে পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।