Close Menu
Bangla news
  • Home
  • Bangladesh
  • Business
  • International
  • Entertainment
  • Sports
  • বাংলা
Facebook X (Twitter) Instagram
Bangla news
  • Home
  • Bangladesh
  • Business
  • International
  • Entertainment
  • Sports
  • বাংলা
Bangla news
Home বারবার কেন বন্ধ হচ্ছে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার?
জাতীয়

বারবার কেন বন্ধ হচ্ছে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার?

Saiful IslamMay 22, 20248 Mins Read
Advertisement

সাদ্দিফ অভি : ২০০৮ সালে বন্ধ হয় মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার, আট বছর পর তা চালু হয়েছিল ২০১৬ সালে। এরপর দুর্নীতির অভিযোগে ফের ২০১৮ সালে বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নেওয়া বন্ধ করে দেয় মালয়েশিয়া। ২০২১ সালের ১৮ ডিসেম্বর নতুন সমঝোতা চুক্তির মাধ্যমে সেই বাজার খুলতে সময় লেগেছিল তিন বছর। ২০২২ সালের আগস্টে দেশটিতে আবারও বাংলাদেশি কর্মী যাওয়া শুরু হয়।

Malaysia

মালয়েশিয়া সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আগামী ১ জুন থেকে বাংলাদেশসহ বিদেশি কর্মীদের দেশটিতে প্রবেশ বন্ধ থাকবে। নতুন নিয়মে কর্মী পাঠাতে হলে আবারও সংশ্লিষ্ট দেশের সঙ্গে চুক্তি করতে হবে। নতুন এই চুক্তিতে কর্মীদের স্বার্থ রক্ষায় সব এজেন্সির জন্য কর্মী পাঠানোর সুযোগ রাখতে চায় বাংলাদেশ।

চুক্তির আগে কর্মী যাওয়ার সম্ভাবনা নেই
গত জানুয়ারি মাসে মালয়েশিয়ার মন্ত্রিপরিষদ ১৫টি দেশের সঙ্গে সমঝোতা চুক্তি আবার রিভিউ করার অনুমোদন দিয়েছে। দেশটি বর্তমানে থাইল্যান্ড, কম্বোডিয়া, নেপাল, মিয়ানমার, লাওস, ভিয়েতনাম, ফিলিপাইন, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ, তুর্কমেনিস্তান, উজবেকিস্তান, কাজাখস্তান, ভারত ও ইন্দোনেশিয়া থেকে শ্রমিক নেয়।

সোমবার (২০ মে) মালয়েশিয়ার স্থানীয় সময় দুপুরে শ্রমবাজার ইস্যুতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাইফুদ্দিন নাসুশন ইসমাইল ও মানবসম্পদমন্ত্রী স্টিভেন সিম চি কিয়ং। এসময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ইসমাইল জানান, মালয়েশিয়া সরকার আবারও বিদেশি কর্মীদের আবেদন গ্রহণ বন্ধ রাখার সময় বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বিদেশি কর্মীদের আবেদন বর্তমানে স্থগিত থাকছে। অর্থাৎ নতুন কোনও শ্রমিক সে দেশে কাজে যেতে পারবে না।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাইফুদ্দিন নাসুশন ইসমাইলের মতে, তাদের অর্থ মন্ত্রণালয়ের নির্ধারিত ১৫ শতাংশ বিদেশি কর্মীর কোটা চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে পূরণ হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। তার এই বক্তব্যের মাধ্যমেও ধারণা করা যাচ্ছে, চলতি বছরে মালয়েশিয়ায় আর নতুন কর্মী যাওয়ার সম্ভাবনা নেই।

প্রসঙ্গত, গত বছরের মার্চ থেকে বিদেশি কর্মীর কোটা অনুমোদন বন্ধ রেখেছে মালয়েশিয়া সরকার। অনুমোদিত কোটার কর্মীরা আগামী ৩১ মে পর্যন্ত মালয়েশিয়ায় প্রবেশ করতে পারবেন।

সংশ্লিষ্ট খাতের বিশেষজ্ঞদের মতে, মালয়েশিয়ায় সক্রিয় প্রভাবশালী সিন্ডিকেট চক্রের কারণে বিদেশি কর্মীরা প্রতারণার শিকার হয়ে আসছেন। নিয়োগকর্তা চুক্তি করেও সেই শর্ত মানেন না। সিন্ডিকেটের কারণেই দেশটির শ্রমবাজারে বারবার অনিশ্চয়তা দেখা দেয়। বাংলাদেশেও তৎপর রয়েছে সিন্ডিকেট চক্র।

অভিবাসীদের নিয়ে কাজ করা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পুনরায় চুক্তি করতে গেলে যদি শ্রমবাজার সেই সিন্ডিকেটের কাছে চলে যায়, তাহলে চুক্তি করা আর না করা একই কথা।

চুক্তি নিয়ে উদ্বেগের জায়গা কোথায়
জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারে ২০২২ সালের আগস্টে কর্মী যাওয়া শুরু হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত ৪ লাখের বেশি বাংলাদেশি সেখানে গেছেন। শুধু ২০২৩ সালেই বাংলাদেশ থেকে সাড়ে ৩ লাখের বেশি শ্রমিক নিয়োগ দিয়েছে মালয়েশিয়া। তাদের মধ্যে এখন বেকার, বেতনহীন ও কম বেতনে চাকরি করছেন—এমন কর্মীর সংখ্যা অন্তত ১ লাখ।

সরকার নির্ধারিত অভিবাসন ব্যয় ৭৮ হাজার ৯৯০ টাকা হলেও সাড়ে ৪ লাখ থেকে শুরু করে ৫ লাখ টাকা খরচ করে মালয়েশিয়ায় গিয়ে কর্মীদের কাজ না পাওয়া এখন নিয়মিত ঘটনা। সম্প্রতি অন্তত ১০০ বাংলাদেশি কর্মী মালয়েশিয়ার পেমবিনান রিকোলার এসডিএন-বিএইচডি নামে একটি কোম্পানিতে বৈধভাবে কাজের উদ্দেশে গিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। তিন মাস ধরে খাওয়া, ঘুমানোর জায়গা, এমনকি টয়লেট সংকটের মধ্যে ছিলেন তারা। বিষয়টি সামনে এলে মালয়েশিয়ার সরকার এ ধরনের ঘটনার জন্য দায়ী কোম্পানির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দেয়।

এছাড়া, ৭০০ বাংলাদেশি কর্মীকে শোষণ ও চাকরিচ্যুত করার পর ক্ষতিপূরণ দিতে ব্যর্থ হওয়া এবং শ্রম আইন লঙ্ঘন করার দায়ে দেশটির ডেপুটি পাবলিক প্রসিকিউটর ওই কোম্পানির কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। এর আগে গত ৫ ফেব্রুয়ারি জোহর শ্রম বিভাগের (জেটিকে) কর্মকর্তার উপস্থিতিতে শ্রম আদালত ৭৩৩ জন বাংলাদেশি শ্রমিকের নিয়োগকর্তাকে ১ কোটি ৩৫ লাখ ৫৫৭ মিলিয়ন রিঙ্গিত বকেয়া বেতন পরিশোধ করার নির্দেশ দেয়— যা ওই শ্রমিকদের প্রাপ্য বেতনের অর্ধেক।

মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি কর্মীদের দুর্দশা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশন (আইওএম), ইন্টারন্যাশনাল লেবার অর্গানাইজেশন (আইএলও) এবং ইউনাইটেড নেশনস অফিস অন ড্রাগস অ্যান্ড ক্রাইম (ইউএনওডিসি)। সংস্থাগুলো জানিয়েছে, ২০২৩ সালের শুরুর দিক থেকে ক্রমবর্ধমান কর্মীদের নিয়ে রিপোর্ট রয়েছে যে মালয়েশিয়ায় ঢোকার পর থেকে তাদের চাকরি দেওয়া হয়নি।

এছাড়া বাংলাদেশি কর্মীদের এমন করুণ পরিস্থিতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা। তারা অভিবাসী শ্রমিকদের শোষণের হাত থেকে রক্ষা করতে মালয়েশিয়াকে বিশেষ কিছু ব্যবস্থা গ্রহণেরও আহ্বান জানিয়েছে।

জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা বলেন, অভিবাসীরা প্রতারিত হচ্ছেন। কারণ, তাদের ভুয়া কোম্পানির মাধ্যমে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে এবং অতিরিক্ত নিয়োগ ফি দিতে বাধ্য করা হয়েছে, যা তাদের ঋণের জালে বন্দি করেছে।

বিশেষজ্ঞরা আরও উল্লেখ করেন, অনেক অভিবাসী মালয়েশিয়ায় পৌঁছে দেখতে পান প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী কাজ নেই এবং প্রায়ই তাদের ভিসাহীন থাকতে বাধ্য করা হয়। এর ফলে তাদের গ্রেফতার হয়ে ডিটেনশন ক্যাম্পে দুর্ব্যবহার এবং নির্বাসনের ঝুঁকিতে পড়তে হয়।

এই বিবৃতিতে আরও বলা হয়, মালয়েশিয়ায় কয়েক মাস বা তার বেশি সময় ধরে কর্মহীন বাংলাদেশি অভিবাসীদের অবস্থা খুবই নাজুক ও অসম্মানজনক।

২০২১ সালের চুক্তি: ‘সিন্ডিকেট’ করার শর্ত
তিন বছর আগে নতুন শ্রমচুক্তি সই হয়। সেই চুক্তির মেয়াদ আছে পাঁচ বছর। ওই চুক্তিতে বলা হয়েছিল, মালয়েশিয়া প্রান্তের সব খরচ নিয়োগকর্তা বহন করবেন। এসব খরচের মধ্যে কর্মীর জন্য রিক্রুটমেন্ট এজেন্সি নিয়োগ, তাকে মালয়েশিয়ায় আনা, আবাসন, কর্মে নিয়োগ ও কর্মীর নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর খরচ অন্তর্ভুক্ত থাকবে। তবে সেই শর্ত অনুযায়ী, বিনা অভিবাসন ব্যয়ে মালয়েশিয়ায় যাওয়া কর্মীর সংখ্যা খুবই কম। বেশির ভাগ কর্মী ৪-৫ লাখ টাকা খরচ করে সেদেশে গেছেন। ২০২২ সালের অক্টোবর থেকে সম্পূর্ণ বিনা খরচে বোয়েসেলের মাধ্যমে সরকারিভাবে মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানো শুরু হয়। চুক্তি অনুযায়ী, ১০ হাজার কর্মী পাঠানোর কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত মোট ১ হাজার ৩০৮ জন কর্মী পাঠিয়েছে বোয়েসেল।

বোয়েসেলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মল্লিক আনোয়ার হোসেন বলেন, আগামী মাসে (জুনে) তৃতীয় জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠক হতে পারে। বাকি কর্মীদের পাঠানোর কোটার বিষয় বৈঠকের এজেন্ডায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

চুক্তিতে আরও ছিল, মালয়েশিয়া সরকার রিক্রুটিং এজেন্সির সংখ্যা নির্ধারণ করে দেবে। আর এই শর্তে কর্মী পাঠাতে রিক্রুটিং এজেন্সির সিন্ডিকেট তৈরি করার অভিযোগ ওঠে। চুক্তির সময় মালয়েশিয়া সরকার ২৫টি রিক্রুটিং এজেন্সি নির্ধারণ করে দেয়। পরে এই সংখ্যা গিয়ে দাঁড়ায় ১০০টিতে। অথচ দেশে নিবন্ধিত রিক্রুটিং এজেন্সির সংখ্যা দেড় হাজারের বেশি।

২০১৮ সালে ১০টি রিক্রুটিং এজেন্সির বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে বাংলাদেশ থেকে কর্মী নেওয়া বন্ধ করে দেয় মালয়েশিয়ার সরকার। যে ১০টি এজেন্সির বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, তার মধ্যে ৫টি এজেন্সির নাম ছিল ২০২১ সালের চুক্তির পর নতুন করে নিয়োগপ্রাপ্ত ২৫ রিক্রুটিং এজেন্সির তালিকাতেও। এরপর একে একে নির্ধারিত রিক্রুটিং এজেন্সির সংখ্যা দাঁড়ায় ১১০টিতে।

ঢাকায় নিযুক্ত মালয়েশিয়ার হাইকমিশনার হাজনাহ মো. হাশিম গত ১২ মার্চ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে দেখা করেন। সাক্ষাৎ শেষে তিনি সাংবাদিকদের জানান, দুই প্রান্তেই সিন্ডিকেটের কারণে মালয়েশিয়ায় গিয়ে বাংলাদেশি কর্মীরা সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছেন।

তিনি বলেন, এর অন্যতম কারণ হচ্ছে সিন্ডিকেট। সেটা মালয়েশিয়ার দিক থেকে যেমন রয়েছে, বাংলাদেশের দিক থেকেও রয়েছে। ফলে এই সমস্যা মোকাবিলায় আমাদের উভয় দেশের সহযোগিতার প্রয়োজন রয়েছে।

বাংলাদেশি কর্মীদের সমস্যার বিষয়টি নিয়ে গত ৮ মার্চ মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাইফুদ্দিন নাসুশন বিন ইসমাইল সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন। তিনি অনুমোদিত এজেন্সি বা এজেন্টের বদলে নিয়োগকর্তাদের কাছ থেকে সরাসরি ভিসা আবেদনের পদ্ধতি চালুর কথা তুলে ধরেন সেখানে। মালয়েশিয়ার সরকারের অনুমোদিত রিক্রুটিং এজেন্সির বদলে বাংলাদেশি কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে তাদের ভিসা দেখভালের দায়িত্ব সরাসরি নিয়োগকারী কোম্পানিকে দেওয়ার কথা বলেন তিনি।

তবে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সিসের (বায়রা) সভাপতি মো. আবুল বাশারের মতে, মালয়েশিয়ার সরকার এই সিন্ডিকেট তৈরি করেছে। তাদেরই এই দায়িত্ব নিতে হবে।

নতুন চুক্তি প্রসঙ্গে জানতে চাইলে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী বলেন, বিদ্যমান চুক্তির আওতায় মালয়েশিয়া তার উৎস দেশ থেকে কর্মী নিয়োগ দেবে না। এজন্য নতুন চুক্তির প্রয়োজন আছে। কর্মী পাঠাতে নতুন করে চুক্তি হবে। তাদের চাহিদা অনুযায়ী নির্ধারিত হবে কত কর্মী যাবে। প্রয়োজনে আমরা সেদেশে গিয়ে সরকারের সঙ্গে সরাসরি আলাপ করবো। আমাদের যত নিবন্ধিত রিক্রুটিং এজেন্সি আছে, তারা যেন কর্মী পাঠানোর সুযোগ পায়।

যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠকে সাড়া নেই মালয়েশিয়ার
মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি কর্মীদের বিষয়ে আলোচনা, কোটা বৃদ্ধিসহ বেশ কয়েকটি এজেন্ডায় দুই দেশের যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠকের আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ। তবে এখন পর্যন্ত মালয়েশিয়ার তরফ থেকে কোনও সাড়া পাওয়া যায়নি বলে নিশ্চিত করেছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা। মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশনের মাধ্যমে এক মাস আগে দেশটির সরকারকে চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে জানান ওই কর্মকর্তা। তবে তিনি আশা প্রকাশ করেন, আগামী মাসের মধ্যে বৈঠক হওয়ার সম্ভাবনা আছে।

মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানো রিক্রুটিং এজেন্সি সাদিয়া ইন্টারন্যাশনালের স্বত্বাধিকারী ও বায়রার সাবেক মহাসচিব শামিম আহমেদ চৌধুরী জানান, মালয়েশিয়া সব উৎস দেশ অর্থাৎ যেসব দেশ থেকে কর্মী নেয় সেসব দেশ থেকে প্রায় ১০ লাখ কর্মী নিয়োগের অনুমোদন দিয়েছে। বাংলাদেশে যে সাড়ে ৪ লাখ কর্মীর চাহিদাপত্র এসেছিল, তার বেশিরভাগই চলে গেছে।

তিনি বলেন, ২০১৮ সালে একবার যখন এই বাজার বন্ধ হয়েছিল, সেই শ্রমবাজার খুলেছে ২০২২ সালের দিকে। অর্থাৎ তিন-চার বছর লেগে গেছে বাজার খুলতে। এর আগেও ২০০৮ সালে বন্ধ হয়ে ২০১৬ সালে বাজার খুলেছিল। সুতরাং, সংশয় থেকে যাচ্ছে যে শ্রমবাজার বন্ধ হয়ে পরে আবার কবে খুলবে।

অভিবাসন বিশেষজ্ঞদের মতে, সিন্ডিকেট ব্যবস্থা থেকে গেলে চুক্তি করা না করা একই কথা। ব্র্যাকের সহযোগী পরিচালক শরিফুল হাসান বলেন, মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারের গত ৩০ বছরের ইতিহাসে দেখা যায়—বেশিরভাগ সময়েই এই বাজার বন্ধ ছিল। প্রতিবারই বন্ধ হয়েছে কিছু দুষ্টচক্র কিংবা সিন্ডিকেটের কারণে। নতুন চুক্তির সময় আমরা আশা করি– কর্মীরা কম খরচে মালয়েশিয়া যাবেন এবং প্রতারণা বন্ধ হবে। কিন্তু দেখা যায় উল্টো। এর কারণ হচ্ছে দুই প্রান্তেই সিন্ডিকেটের সদস্যরা অত্যন্ত প্রভাবশালী। ফলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নেওয়া হচ্ছে না।

তিনি আরও বলেন, পুনরায় চুক্তি করতে গেলে যদি শ্রমবাজার সেই সিন্ডিকেটের কাছে চলে যায় তাহলে চুক্তি করা আর না করা একই কথা। সুতরাং, আমি মনে করি চুক্তিতে কর্মীদের সুরক্ষার ম্যাকানিজম নির্ধারণ করতে হবে। কারণ, যতবারই মালয়েশিয়ায় কর্মী গেছে ততবারই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হচ্ছে। সূত্র : বাংলা ট্রিবিউন

জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।
‘জাতীয় কেন বন্ধ বারবার মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার হচ্ছে
Related Posts
এনসিপি নেত্রী রুমী

রাজধানী থেকে এনসিপি নেত্রী রুমীর মরদেহ উদ্ধার

December 18, 2025
ভারতীয় ভিসা সেন্টার

ঢাকায় ভারতীয় ভিসা সেন্টারে নিয়মিত কার্যক্রম শুরু

December 18, 2025
প্রবাসীর নিবন্ধন

ভোট দিতে ৪ লাখ ৮৪ হাজার প্রবাসীর নিবন্ধন

December 18, 2025
Latest News
এনসিপি নেত্রী রুমী

রাজধানী থেকে এনসিপি নেত্রী রুমীর মরদেহ উদ্ধার

ভারতীয় ভিসা সেন্টার

ঢাকায় ভারতীয় ভিসা সেন্টারে নিয়মিত কার্যক্রম শুরু

প্রবাসীর নিবন্ধন

ভোট দিতে ৪ লাখ ৮৪ হাজার প্রবাসীর নিবন্ধন

প্রধান উপদেষ্টা

দেশবাসীকে শান্ত থাকার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

নিরাপত্তা চাইলেন

ইসির কাছে নিরাপত্তা চাইলেন দুই সম্ভাব্য প্রার্থী

চাঞ্চল্যকর তথ্য

হাদিকে গুলি: শুটার ফয়সালকে নিয়ে আদালতে যে তথ্য দিলেন নুরুজ্জামান

মূল ভূমিকায়

প্রতিটি আন্দোলনের পেছনে মূল ভূমিকায় শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের পরিবার: টুকু

মৃত্যুর খবর

সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদির মৃত্যুর খবর, যা জানালো ইনকিলাব মঞ্চ

স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি

মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে হত্যা: স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিল সেই গৃহকর্মী

হাতবদল হয়ে পিস্তল

ওসমান হাদিকে গুলি: যেভাবে হাত বদলে নরসিংদীতে পৌঁছায় অস্ত্র

  • About Us
  • Contact Us
  • Career
  • Advertise
  • DMCA
  • Privacy Policy
  • Feed
  • Banglanews
© 2025 ZoomBangla News - Powered by ZoomBangla

Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.