জুমবাংলা ডেস্ক : বিগত ১২ দিনে দেশের বাজারে ৯ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এরমধ্যে টানা ৬ দফায় কমানো হয়েছে দাম। যা সমন্বয় করা হয়েছে ২৪ ঘণ্টা বা ৪৮ ঘণ্টার কম সময়ের ব্যবধানে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) দাম কমতির দিকে থাকাই এর মূল কারণ।
সোমবার (২৯ এপ্রিল) সবশেষ চব্বিশ ঘণ্টার ব্যবধানে ভরিতে ১ হাজার ১৫৫ টাকা কমিয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ১১ হাজার ৪৬১ টাকা নির্ধারণ করেছে বাজুস। যা এদিন বিকেল ৪টা থেকে কার্যকর হয়েছে।
বাজুসের তথ্য বলছে, চলতি বছরের প্রথম ৪ মাসে দেশের বাজারে ১৬ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৭ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ৯ বার। এর মধ্যে এপ্রিলেই দাম সমন্বয় হয়েছে ১১ বার। আর গত ১২ দিনে সমন্বয় হয়েছে ৯ বার। যার মধ্যে টানা ৬ বারসহ দাম কমেছে মোট ৭ বার।
ঘন ঘন দাম পরিবর্তনে ক্রেতা-বিক্রেতাদের মধ্যে দেখা দিয়েছে দ্বিধাদ্বন্দ্ব। তবে বিশ্ববাজারে ঘণ্টায় ঘণ্টায় স্বর্ণের দাম ওঠানামা করায় দেশের বাজারে ২৪ ঘণ্টার কম সময়ে বা ২-১ দিনের ব্যবধানে দাম সমন্বয় করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন।
বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিংয়ের চেয়ারম্যান ও বাজুস সহসভাপতি মাসুদুর রহমান বলেন, মধ্যপ্রাচ্যে চলমান অস্থিরতা ও ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক সুদের হার নির্ধারণ নিয়ে অনিশ্চয়তার কারণে অস্থির স্বর্ণের বাজার। বিশ্ববাজারে দাম কিছুটা কমতির দিকে থাকায় স্থানীয় বাজারেও কমছে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) দাম।
তিনি আরও বলেন, বিশ্ববাজারে দাম স্থিতিশীল না হলে কখনোই দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম স্থিতিশীল রাখা সম্ভব নয়। আর বিশ্ববাজারে ঘণ্টায় ঘণ্টায় ওঠানামা করে স্বর্ণের দাম। এ জন্য ২৪ ঘণ্টার কম সময়ে বা ২-১ দিনের ব্যবধানে দেশের বাজারেও সমন্বয় করা হচ্ছে দাম। বিশ্ববাজারে দাম ওঠানামার এ পরিস্থিতি চলতে থাকলে সামনেও স্থানীয় বাজারে এ ধারা অব্যাহত থাকতে পারে।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের প্রথম চার মাসে স্বর্ণের দাম বেড়েছে ৭ দশমিক ৫৫ শতাংশ। আর গত ১৬ মাসে বেড়েছে ৩৫ দশমিক ০৮ শতাংশ বা ৩১ হাজার ১৫ টাকা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।