বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক : আমি ইটোন, আবার এসছি রিলেটিভিটি চেক করতে। হ্যাঁ, ওই যে ফোটনের সঙ্গে টেক্কা দিতে নিজে ফোটন সেজেছিলাম। দেখেছিলাম, আমার বেগ যতই হোক, আর ফোটনের বেগের দিক যেদিকেই হোক, তার বেগের কমবেশি কখনো হয় না। যেদিক থেকে যেভাবেই মাপা হোক, আলোর বেগ সবসময় সেকেন্ডে তিন লাখ কিলোমিটার।
আলোর বেগ ধ্রুব। এটা কেন হলো? এই প্রশ্নের উত্তর আমরা এখন খুঁজব।
দেখো, আইনস্টাইন তাঁর স্পেশাল থিওরি অব রিলেটিভিটি দুটি স্বীকার্যের ওপর ভিত্তি করে দাঁড় করিয়েছিলেন। সে দুটি হলো :
১. মহাবিশ্বের সব জায়গায়, যেকোনো পরিস্থিতিতে আলোর বেগ ধ্রুব।
২. মহাবিশ্বের সব জায়গায়, যেকোনো পরিস্থিতিতে পদার্থবিদ্যার সূত্রগুলিতে হেরফের হয় না।
এই স্বীকার্যগুলো ধরে নেওয়া। এগুলো কোনো সূত্র বা উপপাদ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠিত নয়৷ কিন্তু এই স্বীকার্য যদি ভুল হয়, রিলেটিভিটির সকল সূত্র ভেঙে পড়বে। যেমন, রিলেটিভিটি অনুযায়ী যেকোনো বস্তু গতিশীল হলে তার ভর বাড়ে, তার সময় ধীরে চলে এবং দৈর্ঘ্য সংকুচিত হয়।
এই সূত্রগুলো গাণিতিকভাবে প্রমাণ করা যায়, পরীক্ষা-নিরীক্ষাতেও প্রমাণিত। এমনকী সর্বকালের সবচেয়ে জনপ্রিয় সমীকরণ E = mc2-ও এই দুটি স্বীকার্যের ওপর দাঁড়িয়ে আছে। তাই আলোর বেগ যদি ধ্রুব না হয়, তাহলে এই সমীকরণও ভেঙে পড়বে।
কিন্তু আলোর বেগ কেন ধ্রুব? সেটা সেকেন্ডে ৩ লাখ কিলোমিটারই বা কেন, কেন কমবেশি হলো না। এ প্রশ্নের আসলে উত্তর নেই।
তবে সব রকম পরীক্ষা-নীরিক্ষাতেই দেখা যায় আলোর বেগ ধ্রুব। এবং সেটা সেকেন্ডে ৩ লাখ কিলোমিটার। তেমনি পদার্থবিদ্যার সূত্রগুলো স্থির, গতিশীল, সবরকম ব্যবস্থাতেই একই চরিত্র দেখায়। এরও কোনো কারণ বিজ্ঞানীরা এখনো জানেন না।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।