বিনোদন ডেস্ক : আধা শর্মা অভিনীত ‘দ্যা কেরালা স্টোরি’ ছবিটি নিয়ে দেশজুড়ে রীতিমতো তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। এর আগে আধা শর্মা অনেক ছবিতেও অভিনয় করেছেন, কিন্তু তেমন ব্রেক পাননি। এবার এই ছবিটির মাধ্যমে চারিদিকে চর্চার কেন্দ্র হয়ে উঠেছেন তিনি। ‘দ্যা কেরালা স্টোরি’ ছবির ট্রেলার দেখেই হইচই শুরু হয়েছে এবং একাধিক রাজনৈতিক দল এই ছবিটির বিরোধিতা করছে।
কি আছে ‘দ্যা কেরালা স্টোরি’তে? এই ছবিতে হিন্দু তরুণীকে ফাঁদে ফেলে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ বাধ্য করা এবং সিরিয়ার জঙ্গি দলের যোগ দেওয়ার একটি সুপরিকল্পিত চক্রান্তকে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। তাই নিয়েই শুরু হয়েছে বিতর্ক। ছবিটির মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন আধা শর্মা। ভাগ্যের ফেরে তিনি শালিনী থেকে হয়েছেন ‘ফতিমা’। তারই জীবন সংগ্রামকে ঘিরে ছবিটির গল্প আবর্তিত হয়েছে।
অভিযোগ উঠেছে, ৩২ হাজার মেয়ের ধর্মান্তরিত হওয়ার চিত্র মিথ্যা। এই ছবির গল্প চার মেয়ের। ছবিটি স্পষ্টভাবে ব্যাখ্যা করে কিভাবে ‘লাভ জিহাদ’ করা হয়। গল্পের প্রধান নায়িকা শালিনী হাসিখুশি পরিবারের একটি অল্পবয়সী মেয়ে যে তার সংস্কৃতি, পরিবার, জীবনধারা এবং প্রতিবেশীকে ভালবাসে। সে নার্সিং কলেজে আসে নার্স হওয়ার জন্য। হোস্টেলে যে মেয়ের সাথে সে বন্ধুত্ব করে তাদের মধ্যে একজন তাকে ভুল পথে নিয়ে যাওয়ার ষড়যন্ত্র করে।
‘দ্যা কেরালা স্টোরি’তে একদল নারীর গল্প অনুসরণ করে বহু নারী ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে এবং ইসলামিক আইএসআইএস-এ যোগ দেয়। কেরালার হাজার হাজার নারীকে ইসলামে ধর্মান্তরিত করা এবং আইএসআইএস-এ নিয়োগ করা হয়েছে বলে মিথ্যা দাবি করার জন্য ছবিটি বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।
‘দ্যা কেরালা স্টোরি’র পরিচালক সুদীপ্ত সেন, এই বাঙালি পরিচালক আধা শর্মাকে নির্বাচন করে ‘মাস্টারস্ট্রোক’ দিয়েছেন। রাতারাতি খ্যাতি এনে দিয়েছে আধার এই ছবি। ২০০৮ সালে বলিউডে অভিষেক আধার। হরর ছবি ‘১৯২০’-তে কেন্দ্র চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। এরপর বেশ কিছু হিন্দি, তামিল ও তেলেগু ছবিতে দেখা গিয়েছে তাকে।
‘দ্যা কেরালা স্টোরি’ নিয়ে যতই বিতর্ক হোক না কেন, আধা শর্মা খুবই প্রশংসিত হয়েছেন। ১৯৯২ সালে মুম্বাইয়ে জন্মগ্রহণকারী আধা শর্মার বাবা একজন ভারতীয় নৌবাহিনীর ক্যাপ্টেন ছিলেন এবং তার মা নৃত্যশিল্পী। তাই ছোটবেলা থেকে সাংস্কৃতিক আবহেই বড় হয়েছেন আধা। অল্প বয়সে পড়াশোনার পাঠ চুকিয়ে সংস্কৃতির দুনিয়ায় ক্যারিয়ার গড়ার দিকে ঝুঁকে পড়েন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।