স্পোর্টস ডেস্ক : আগের ম্যাচে তিনি নেমেছিলেন সাত নম্বরে। ওই জায়গাটাই তার জন্য বরাদ্দ থাকে বেশির ভাগ সময়।
এর আগে বিপিএলে বা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে যদিও ওপেনিংয়ের অভিজ্ঞতা ছিল মেহেদী হাসান মিরাজের। তাকে নিয়ে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ‘জুয়া’টা খেললেন সাকিব আল হাসানও।
আগের ম্যাচে অভিষিক্ত তানজিদ হাসান তামিম বাদ পড়েন এ ম্যাচে। ইনিংস উদ্বোধনে নাঈম শেখের সঙ্গে পাঠানো হয় মিরাজকে। এদিনই ওয়ানডে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি তুলে নেন তিনি। ১১৯ বলে ১১২ রান করে চোট নিয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি। মিরাজকে ওপেনিংয়ে পাঠানোর পেছনের কারণ ম্যাচশেষে বলেছেন অধিনায়ক সাকিব।
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘আগেও মিরাজ যখনই টপ-অর্ডারে সুযোগ পেয়েছে, নিজেকে প্রমাণ করেছে। আমরা সবসময়ই জানি ওর সামর্থ্য আছে, আফগানিস্তানের বিপক্ষে ওর ভালো রেকর্ড আছে। আমরা ভাবলাম কেন ওকে চেষ্টা করে দেখবো না ভালো উইকেটে। সৌভাগ্যবশত সেটি কাজে এসেছে। ’
ব্যাট হাতে ৩৩৪ রান করার পর বোলিংয়েও দারুণ করেছে বাংলাদেশ। আফগানিস্তানকে অলআউট করেছে ২৪৫ রানে। তাসকিন আহমেদ চার, শরিফুল ইসলাম তিন ও হাসান মাহমুদ নেন একটি উইকেট। ম্যাচের পর এই তিন পেসারের প্রশংসায় পঞ্চমুখ ছিলেন সাকিব।
তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় আমরা পরিকল্পনা খুব ভালোভাবে প্রয়োগ করেছি। তিনজন পেসারই হৃদয় দিয়ে বল করেছে। গত দুই তিন বছর ধরেই খুব ভালো বল করছে। আজকের দিনটাও তাদের জন্য আরেকটি এমন দিনই। তারা প্রতিদিনই উন্নতি করছে। আমার মনে হয় এই ম্যাচ তাদের আরেকটু বাড়তি আত্মবিশ্বাস দেবে, কারণ এই উইকেটে বল করা সহজ ছিল না। ’
সুপার ফোরে খেলা নিয়ে জানতে চাইলে সাকিব বলেন, ‘এটা আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। আমরা আমাদের সেরাটা চেষ্টা করেছি। আমার মনে হয় আমরা যা করতে পারতাম, করেছি। হয়তো প্রথম ম্যাচে আমাদের জন্য ছিল না। কিন্তু এই ম্যাচে আমরা প্রপার ক্রিকেট খেলেছি। ’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।