আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইউক্রেন-রাশিয়া শস্যচুক্তি বাতিল হয়ে যাওয়ায় ইতোমধ্যে বিশ্বজুড়ে দাম বেড়েছে গমের। প্রভাব পড়তে শুরু করেছে বিভিন্ন দেশে। রাশিয়া জানিয়েছে, চুক্তির অংশ রাশিয়ার কৃষি পণ্য রপ্তানির জন্য বাধা অপসারণের পরিকল্পনা কখনো বাস্তবায়িত হয়নি।
ইউক্রেন থেকে নিরাপদে শস্য রফতানি চালু রাখতে গত বছরের জুলাইয়ে এগিয়ে আসে জাতিসংঘ ও তুরস্ক। তাদের মধ্যস্থতায় রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে শস্যচুক্তি হয়। তিন দফা বাড়ানোর পর ১৭ জুলাই শেষ হয় চুক্তির মেয়াদ। রাশিয়া এই দফায় আর মেয়াদ বাড়াতে রাজি হয়নি।
কারণ হিসেবে রাশিয়ার উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ভারশিনিন বলেন, শস্য রপ্তানি চুক্তির রাশিয়ার অংশের অগ্রগতির ঘাটতি ছিল। এটি বাতিল করার অন্যতম প্রধান কারণ। গতকাল বুধবার তুরস্কের রাষ্ট্রদূত হেমমেত সারসারের সাথে এক বৈঠকে তিনি েএসব বলেন।
রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, ‘রাশিয়া-জাতিসংঘ স্মারকলিপি বাস্তবায়নের ঘাটতি ইউক্রেনের খাদ্য শস্য রপ্তানির বিষয়ে কৃষ্ণসাগর করিডোর চুক্তি আমাদের বাতিল করার সিদ্ধান্তের অন্যতম প্রধান কারণ ছিল। চুক্তিটির মেয়াদ গত ১৭ জুলাই শেষ হয়ে যাওয়ার পর তারা এমন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।’
তারা জানায়, ‘পক্ষগুলো আফ্রিকার একেবারে দরিদ্র দেশগুলোর সহায়তায় বিশেষ মনোযোগ দিয়ে বিশ্বব্যাপী খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার স্বার্থে সমন্বিত প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার জন্য রাশিয়া ও তুরস্কের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে।’
রাশিয়ার অভিযোগ, শিপিং ও বীমার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেশটির খাদ্য ও সার রপ্তানিকে বাধাগ্রস্ত করেছে। এর আগে গত বৃহস্পতিবার রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সতর্ক করে বলেছিলেন যে খাদ্য ও সার রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার না করা হলে মস্কো এই ‘চুক্তি থেকে নিজেকে স্থগিত’ করবে।
কৃষ্ণসাগর শস্য চুক্তির আওতায় ইউক্রেন ৩২ মিলিয়ন মেট্রিক টনের বেশি খাদ্যশস্য রপ্তানি করছে। রাশিয়ার অভিযোগ—যথেষ্ট পরিমাণ খাদ্যশস্য গরিব দেশগুলোয় পৌঁছাচ্ছে না। জাতিসংঘের দাবি, তারা যেসব দেশে খাদ্যশস্য পাঠাচ্ছে সেখানে খাদ্যশস্যের দাম বিশ্ববাজারের তুলনায় ২০ শতাংশ কম।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।