লাইফস্টাইল ডেস্ক : ভারতীয় রেলওয়ে ভারতে যাতায়াতের একটি প্রধান মাধ্যম। ট্রেনের কারণেই ভারত খুব দ্রুত উন্নতি করেছে। ট্রেনের কারণেই অনেক মানুষ একসঙ্গে অনেক দূরত্ব অতিক্রম করতে সক্ষম হয়। ট্রেনে করে ভ্রমণ করা সুবিধাজনক এবং আরামদায়ক হয়। বিভিন্ন গ্রাম ও শহরের মধ্যে ছড়িয়ে থাকা রেল লাইনের উপর দিয়ে চলা ট্রেন ভারত ও ভারতের মানুষদের জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
আমরা সবাই নিশ্চয়ই কখনো না কখনো ট্রেনের মাধ্যমে যাত্রা করেছি। কিন্তু ট্রেনের মাধ্যমে অনেক তথ্যই আছে যা আমরা অনেকেই জানিনা। যেমন, ভারতীয় রেল বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম রেল নেটওয়ার্ক। প্রতিদিন লাখ লাখ যাত্রী ট্রেনে যাতায়াত করেন। ভারতীয় রেল অনেক ধরনের হয়। আর শুধু রেল না, যারা রেখে যাতায়াত করেছেন তারা নিশ্চই লক্ষ করে থাকবেন যে ট্রেনে বগিও বিভিন্ন ধরণের হয়।
এই বগি গুলিতে এসি কোচ, স্লিপার কোচ ও জেনেরাল কোচ থাকে। এছাড়া ট্রেনে অনেক সময় তিনটে আলাদা আলাদা রঙের বগিও দেখতে পাওয়া যায়। রং গুলি লাল , নীল ও সুবজ হয়। কিন্তু বেশিরভাগ মানুষই জানেন না এই রঙের মানে কী।
ইঞ্জিনের সাথে লেগে লাল রঙের কোচ বা বগিকে বলা হয় লিংক হফম্যান বুশ (এলএইচবি)। এই কোচগুলি ২০০০ সালে জার্মানি থেকে ভারতে আনা হয়েছিল। তবে এখন পাঞ্জাবের কাপুরথালায় এগুলি তৈরি করা হয়। এগুলি অ্যালুমিনিয়াম দ্বারা তৈরি হয় যার ফলে এগুলি ওজনে বেশ হালকা হয়।
এসব কোচে ডিস্ক ব্রেক ব্যবহার করা হয়। এগুলির গতিবেগ ২০০ ঘন্টা প্রতি কিলোমিটার হয়।জানিয়ে দি যে এগুলি রাজধানী এবং শতাব্দীর মতো দ্রুত চলমান ট্রেনগুলিতে ব্যবহৃত হয়। কিন্তু এখন সমস্ত ট্রেনে লিঙ্ক হফম্যান বুশ (এলএইচবি) কোচ বসানোর পরিকল্পনা চলছে।
আপনারা নিশ্চয়ই লক্ষ্য করে থাকবেন যে বেশিরভাগ ট্রেনের রং নীল হয়। নীল রঙের কোচটিকে বলা হয় ইন্টিগ্রাল কোচ ফ্যাক্টরি (আইসিএফ)। এগুলো লোহার তৈরি হয় এবংএগুলিতে এয়ার ব্রেক ব্যবহার করা হয়। এই কোচ গুলি চেন্নাইতে অবস্থিত ইন্টিগ্রাল কোচ ফ্যাক্টরিতে (আইসিএফ) তৈরি করা হয়। কিন্তু ধীরে ধীরে এখন এর জায়গায় লিঙ্ক হফম্যান বুশ ব্যবহার করা হচ্ছে।
এবার বাকি রইলো সবুজ রেলের কোচ। গরিব রথ ট্রেনে সবুজ রঙের কোচ ব্যবহার করা হয় এবং মিটার গেজ ট্রেনে বাদামি রঙের কোচ ব্যবহার করা হয়। বিলিমোরা ওয়াঘাই প্যাসেঞ্জার একটি ন্যারোগেজ ট্রেন যাতে সবুজ রঙের কোচ ব্যবহার করা হয়। তবে কখনো কখনো এতে ব্রাউন কোচও ব্যবহার হয়ে থাকে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।