জুমবাংলা ডেস্ক : সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে স্বামী দ্বিতীয় বিয়ে করায় তার পুরুষাঙ্গ কেটে দিয়েছেন প্রথম স্ত্রী। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) রাত ৩টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনার পর ভোরে অভিযুক্ত স্ত্রীকে আটক করেছে পুলিশ। গুরুতর আহত স্বামী আজিজুল মিয়াকে (৩০) প্রথমে সুনামগঞ্জ সদর হাসাপাতালে পরে সেখান থেকে সিলেট ওসমানি মেডিকেল কলেজে স্থানান্তর করা হয়েছে।
অভিযুক্ত স্ত্রী বাদাঘাট ইউনিয়নের কামড়াবন্দ গ্রামের শাহনুর মিয়ার মেয়ে। বিয়ের কয়েকদিন পর থেকে জহুরা তার বাবার বাড়িতেই থাকত। তিনি তাহিরপুরে বেসরকারি একটি সংস্থায় চাকরি করেন।
পুলিশ জানায়, ২০২১ সালে বাদাঘাট ইউনিয়নের কামড়াবন্দ গ্রামের আজিজুল মিয়ার সঙ্গে একই গ্রামের শাহনুরের মেয়ে জহুরা বেগমের (২৫) বিয়ে হয়। বিয়ের কয়েকমাস পর তাদের মধ্যে মনোমালিন্য দেখা দেয়। এ নিয়ে মামলাও হয়। গত কয়েকমাস আগে আজিজুল দ্বিতীয় বিয়ে করেন।
দ্বিতীয় বিয়ের পর আজিজুলের প্রথম স্ত্রী জহুরাকে ডিভোর্স দেয়। কিন্তু জহুরা দাবি করেছে, তাদের মধ্যে কোনো ছাড়াছাড়ি হয়নি। দ্বিতীয় বিয়ের পরও প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ রাখতো আজিজুল। প্রথম স্ত্রীর করা এক মামলায় কিছুদিন জেলও খাটেন তিনি। ঘটনার দিন জহুরার বাসায় যান আজিজুল। একপর্যায়ে রাত ৩টার দিকে ব্লেড দিয়ে তার পুরুষাঙ্গ কেটে দেন।
এ ঘটনায় জহুরার বাবা শাহনুর মিয়া বলেন, বিয়ের কিছুদিন পর মেয়েকে আজিজুল যৌতুকের জন্য চাপ দিতে থাকে। টাকা না পেয়ে মেয়েকে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করতো আজিজুল। এর মাঝে আজিজুল কিছু না জানিয়ে আবার দ্বিতীয় বিয়ে করেন। ঘটনার রাতে আমরা ঘুমে ছিলাম।
বাদাঘাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ নাজমুল হাসান বলেন, ঘটনার পর পরই অভিযুক্ত স্ত্রীকে আটক করা হয়েছে। এখনও কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।