জুমবাংলা ডেস্ক : রাজধানীর উপকণ্ঠ সাভারে স্বামী বিএনপির সমর্থক দাবি করে তার বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ করে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন এক নারী।
সাভার মডেল থানায় বৃহস্পতিবার স্বামী ফরহাদ মিয়ার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলে জিডি করেন রহিমা বেগম।
বিভিন্ন কারণে ২০ বছরের সংসারের ইতি টেনে স্বামীকে তালাকের নোটিশ পাঠিয়েছেন বলেও জিডিতে জানান দুই সন্তানের এ জননী।
এর আগে ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) আসাদুজ্জামানের কার্যালয়েও এ বিষয়ে ‘প্রতিকারের জন্য’ যান বলে জানান রহিমা।
৪৩ বছর বয়সী রহিমা সাভারের তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়নের হেমায়েতপুরের বাসিন্দা। জিডিতে অভিযুক্ত ৫৫ বছর বয়সী ফরহাদ মিয়া মানিকগঞ্জের সিংগাইর থানার খাসিরচর গ্রামের বাসিন্দা। বর্তমানে তিনি সাভারের তেঁতুলঝোড়া এলাকায় থাকেন।
জিডিতে বলা হয়, ২০ বছর আগে ফরহাদ মিয়ার সঙ্গে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় রহিমার। প্রায় ১০ বছর ধরে ফরহাদ তাকে শারীরিক নির্যাতন করে আসছে। তাদের দুটি মেয়েসন্তানের ভরণপোষণও দেন না ফরহাদ। ভরণপোষণের টাকা চাইলে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন।
এতে উল্লেখ করা হয়, শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের কারণে ইতোপূর্বে তালাকের নোটিশ পাঠালেও তা ছিঁড়ে ফেলেন ফরহাদ। বৃহস্পতিবার আবারও তালাকের নোটিশ পাঠানো হলে রহিমাকে প্রাণনাশের হুমকি দেন স্বামী।
জিডির বিষয়ে রহিমা বেগম বলেন, ‘আমার স্বামী ফরহাদ বিএনপির মিছিলে যায়। আমি একজন আওয়ামী লীগের সন্তান। আমার বাবা মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন, তিনি আওয়ামী লীগ করতেন।
‘আমি এ কারণে তাকে ডিভোর্স দিয়ে দিলাম। তার সঙ্গে আমি সংসার করব না। যেহেতু সে বিএনপি করে। আমার ওপর অনেক নির্যাতন ও অত্যাচার করছে। আমাকে প্রচুর মারধর করছে। বিএনপির মিছিলে যাইতে মানা করছি দেখে অত্যাচার করছে। খালি বিএনপি, বিএনপি করে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমার স্বামী মাদক সেবন করে গাড়ির মধ্যে আগুন দিয়া ফালায়। একজনের হোন্ডায় আগুন দিয়া দেয়। তখন নাম পরে আওয়ামী লীগে করছে। করছে তো বিএনপির লোকে।
‘আমার স্বামী কয়, আওয়ামী লীগে করছে এগুলা। অগো (আমার স্বামী) দিয়াই তো এগুলা (গাড়িতে আগুন) করায়। বড় বড় নেতারা কি এগুলা করব নাকি?’
সাভার মডেল থানার ডিউটি অফিসার ও উপপরিদর্শক (এসআই) শিকদার হারুন উর রশিদ জানান, রহিমা জানিয়েছেন, তার স্বামী বিএনপি করেন; তিনি মাদকাসক্ত। নেশার টাকা না পেলে স্ত্রীকে মারধর করেন।
এসআই আরও জানান, রহিমা ঢাকা জেলার এসপির কাছে গিয়েছিলেন। তিনি বৃহস্পতিবার থানায় জিডি করেন। ঘটনাটি হেমায়েতপুর পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বরত কর্মকর্তাকে তদন্ত করার জন্য ওসিকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
সাভার মডেল থানার ওসি দীপক চন্দ্র সাহা বলেন, ‘ভুক্তভোগী এক নারী থানায় এসেছিলেন। আমি তার কথা শুনেছি। তাকে আইনগত সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।
‘তিনি তার স্বামীর বিরুদ্ধে একটি সাধরণ ডায়েরি করেছেন। তদন্ত করে পরবর্তী সময়ে এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।