আন্তর্জাতিক ডেস্ক : দুটি সন্তান আছে। পরিবারে আসতে যাচ্ছে আরেক অতিথি। এ অবস্থায় স্ত্রীকে চাকরি-বাকরি ছেড়ে সন্তান লালন-পালনসহ বাড়ির দেখভাল করতে বলেন স্বামী। এর জেরে স্বামীর নামে থাকা কোম্পানির অর্ধেকের মালিকানা দাবি করেন স্ত্রী। ছয় বছরের দাম্পত্য জীবন তাদের।
স্ত্রীর দাবি মেনেও নেন স্বামী। তাঁকে কোম্পানির ৪৯ শতাংশের মালিকানা দেন।
কিছুদিন আগে ওই নারী তাঁর চাওয়া কতটুকু যৌক্তিক, তা জানতে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদেরও শরণাপন্ন হন। বিষয়টি বেশ সাড়া ফেলে। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম রেডিটের এআইটিএএইচ কমিউনিটিতে ওই নারী লিখেছেন, ‘ও (স্বামী) আমাকে বলেছে, ও চায় আমি চাকরি ছেড়ে গৃহিণী হয়ে থাকি। এ কথায় আমি খুব বিরক্ত হই। তবে সে আমাকে বোঝাতে চাচ্ছে, পরিবার ও সন্তানদের ভালোর জন্যই এমনটা বলছে। কারণ, ও ভালোভাবে আমাদের ভরণপোষণ করতে পারবে।’ এই পোস্টের শিরোনামে তিনি একটি প্রশ্ন ছুড়ে দেন, ‘আমাকে গৃহিণী হিসেবে দেখতে চাইলে, আমার স্বামীকে কোম্পানির অর্ধেক দিয়ে দিতে বলাটা কি আমার অন্যায় হয়ে গেছে?’
এমন দাবির পেছনে কারণও উল্লেখ করেছেন ওই নারী। তাঁর মতে, বৈবাহিক সম্পর্কে থাকা অবস্থায় অর্থ যেভাবে আছে, সেভাবেই থাকে। কিন্তু আজকাল অনেক বৈবাহিক সম্পর্ক যেভাবে ভেঙে যেতে দেখা যাচ্ছে, তাতে তিনি তাঁর ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত রাখতে চান। তাঁর যুক্তি হলো, এত বছর ধরে সংসারের দেখভাল করার পর স্বামীর সঙ্গে যদি কোনো দিন তাঁর বিচ্ছেদ হয়ে যায়, তখন তিনি একেবারে নিঃস্ব হয়ে যাবেন।
পোস্টটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স হ্যান্ডলে শেয়ার হওয়ার পর তা বেশ সাড়া ফেলেছে। এ পর্যন্ত তিনি তাঁর অবস্থানের পক্ষে ২৩ হাজারের বেশি ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সমর্থন পেয়েছেন। পোস্টের নিচে মন্তব্যের ঘরে অনেক ব্যবহারকারীই লিখেছেন, তাঁর দাবি ন্যায্য। কেউ কেউ তাঁকে এ ব্যাপারে ছাড় না দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। বলেছেন, ভবিষ্যতের জন্য অর্থনৈতিক সুরক্ষা নিশ্চিত করাটা তাঁর অধিকার।
পরে ওই নারী আরেক পোস্টে ‘সুখবর’ জানান। তাঁর স্বামী দাবি মেনে নিয়েছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।