জুমবাংলা ডেস্ক : যশোরের চৌগাছায় স্বামী মজনু হত্যার দায়ে স্ত্রী মর্জিনা খাতুনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ তাজুল ইসলাম এ আদেশ দেন। একই সঙ্গে ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত।
আদালত সূত্রে জানা যায়, চৌগাছা উপজেলার সিংহঝুলী গ্রামের মজনুর রহমান মজনুর সঙ্গে তারই মামাতো বোন ঝিনাইকুন্ডু গ্রামের মর্জিনার বিয়ে হয়। আর্থিকভাবে দুর্বল থাকায় মজনুর তার নানাশ্বশুর বাহার আলীর বাড়িতে ঘর করে থাকতেন। তাদের সংসারে দুটি সন্তান রয়েছে। বিয়ের প্রায় ২০ বছর পর ২০১৬ সালের ১০ মার্চ রাতে ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় মজনুর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে আত্মহত্যা করেছে এমনটিই প্রচার হয়। এঘটনায় অপমৃত্যু মামলা হয়।
তবে ময়নাতদন্তে ওঠে আসে মজনু আত্মহত্যা করেননি। তাকে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় ২০১৬ সালের ১২ আগস্ট মজনুর মা জোলেখা বেগম বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামি দিয়ে চৌগাছা থানায় হত্যা মামলা করেন। পরবর্তীতে এ মামলার তদন্তের দায়িত্ব পায় সিআইডি। সিআইডির তদন্তে ওঠে আসে এ হত্যার সঙ্গে জড়িত ছিলেন মজনুর স্ত্রী মর্জিনা। সিআইডি পুলিশ পরিদর্শক হারুন অর রশিদ মর্জিনাকে অভিযুক্ত করে ২০১৭ সালের ৫ জানুয়ারি আদালতে চার্জশিট জমা দেন।
আদালতের কাছে প্রমাণ হয় মজনু শারীরিকভাবে অসুস্থ ছিলেন ও তেমন কোনো কাজ করতে পারতেন না। অভাবের সংসারে ওইদিন খাবার নিয়ে ঝগড়া হয় দুজনের মধ্যে। এছাড়া প্রতিবেশী এক নারীর সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক ছিল মজনুর। এসব বিষয়ে ক্ষোভে স্বামীকে হত্যা করেন মর্জিনা। আদালত মঙ্গলবার মর্জিনার উপস্থিতিতে স্বামী হত্যার দায়ে তাকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।