জুমবাংলা ডেস্ক : ওয়াইফাই এবং হটস্পট। দুইভাবেই তারবিহীন ইন্টারনেট কানেকশন করা যায়। কিন্তু দুইটি আলাদা পদ্ধতি। এক নয়। অনেকেই ওয়াইফাই এবং হটস্পটের মধ্যে পার্থক্য করতে পারেন না। কিন্তু ডিজিটাল যুগে এটা জানা অত্যন্ত জরুরি।
ওয়াইফাই: ওয়াইফাই হল লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্ক বা ল্যানের জন্য বেতার যোগাযোগ প্রযুক্তির একটা রূপ। এর সংযোগ স্থাপনের জন্য ২.৪ গিগাগার্জ এর রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি ব্যান্ডের অধীনে ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক তরঙ্গ ব্যবহার করা হয়। হটস্পট তৈরি করতে ওয়্যারলেস ডিভাইস ব্যবহার করে ওয়াইফাই আনা হয়।
ডিভাইসে ওয়াইফাই চালু না থাকলে ইউজার হটস্পট অ্যাক্সেস করতে পারবেন না। ওয়াইফাই সম্পূর্ণ নিরাপদ কানেকশন। অনেকগুলো কাজ একসঙ্গে করতে পারে। সাধারণত কম্পিউটার, প্রিন্টার, গেম কনসোল ইত্যাদি সংযোগ করতে ওয়াইফাই ব্যবহার করা হয়।
হটস্পট: ওয়াইফাই-এর মাধ্যমে হটস্পট তৈরি করা হয়। এই সিস্টেম তার সীমার মধ্যে থাকা সমস্ত ডিভাইসে ওয়াইফাই-এর মাধ্যমে ওয়্যারলেন্স ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারেন ইউজার। একটা অ্যাক্সেস পয়েন্ট ডিভাইস একটাই হটস্পট তৈরি করে।
মূল পার্থক্য: ওয়াইফাই সিস্টেম ইন্টারনেট পরিষেবা গ্রহণ করে। আর হটস্পট ইন্টারনেট পরিষেবা দেয়।
সোজা কথায় এই দুটি একে অন্যের পরিপূরক। ওয়াইফাই ছাড়া হটস্পট সম্ভব নয়। ওয়াইফাই একাধিক ডিভাইসে হটস্পট নেটওয়ার্ক তৈরি করে।
ওয়াইফাই তৈরি করার জন্য অ্যাক্সেস পয়েন্ট এবং ওয়্যারলেস ডিভাইস প্রয়োজন। অন্য দিকে, হটস্পট তৈরি করার জন্য প্রয়োজন অ্যাক্সেস পয়েন্ট ডিভাইসের সঙ্গে সংযুক্ত রাউটার।
ওয়াইফাইতে ইন্টারনেটের গতি অনেক বেশি থাকে। তুলনামূলকভাবে হটস্পটে ইন্টারনেটের গতি অনেক কম।
স্থানীয় ইন্টারনেট প্রদানকারী সংস্থা ওয়াইফাই পরিষেবা দেয়। হটস্পট পরিষেবা দেয় মূলত ফোন বা সেলুলার সংস্থাগুলো।
ওয়াইফাই নিরাপদ। হটস্পট সর্বজনীন স্থানে ব্যবহার হয়। ফলে ব্যক্তিগত ওয়াইফাই সিস্টেমের তুলনায় কম নিরাপদ।
ওয়াইফাই যোগাযোগের জন্য ২.৪ গিগাহার্জের রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি ব্যান্ডের অধীনে ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক তরঙ্গ ব্যবহার করা হয়। অন্য দিকে, হটস্পট ইন্টারনেট শেয়ারিং একটি অ্যাক্সেস পয়েন্টে বিভিন্ন ডিভাইসকে সংযুক্ত করতে ওয়াইফাই প্রযুক্তি ব্যবহার করে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।