লাইফস্টাইল ডেস্ক : চিনি ও গুড় দুটোই আখের রস থেকে তৈরি। তবে দুটির ক্ষেত্রেই ভিন্ন ভিন্ন কাজ লক্ষ্য করা যায়। এই দুটির তৈরির পদ্ধতিতে পার্থক্য রয়েছে। চিনি এবং গুড়ের মধ্যে চিনি অনেক বেশি মাত্রায় প্রসেসড। তাই চিনির মধ্যে প্রায় কোনও পুষ্টিগুণ থাকে না।
শুধুমাত্র ক্যালোরি ছাড়া চিনি থেকে আর কিছুই পাওয়া সম্ভব নয়। কিন্তু গুড়ের মধ্যে খনিজ, আয়রন ও ফাইবারের পরিমাণ চিনির চেয়ে অনেক বেশি।
ভারতীয় চিকিৎসক বিজয় কৃষ্ণ সরকার জানান, চিনিতে রয়েছে সুক্রোজ নামের শর্করা। আর গুড়ে সুক্রোজের সঙ্গে থাকে ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, লোহা এবং সামান্য প্রোটিন। তাই যদি দুটোর জিনিসের উপকারের প্রশ্ন ওঠে। তবে সেক্ষেত্রে সব দিক থেকে এগিয়ে থাকবে গুড়। গুড় তেমন কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করে।
ঠিক তেমনি শরীরে হজমের এনজাইমের কার্যকারিতা বৃদ্ধি হয় গুড় খেলে। যাদের কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা আছে। তারা দুপুরে কিংবা রাতে খাবার ২০ মিনিট পর সামান্য গুড় খেয়ে নিতে পারেন। এছাড়া গুড় অ্যানিমিয়া রোগকেও প্রতিরোধ করে। গুড়ে রয়েছে প্রচুর আয়রন। যেই কারণে গুড় খেলে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়ার সম্ভবনা থাকে প্রচুর। গুড় লিভারকে পরিষ্কার ও সতেজ রাখতে সাহায্য করে।
১৫দিন অন্তর সামান্য পরিমাণে গুড় খেতে পারলে শরীরের থেকে ক্ষতিকারক টক্সিন বের হয়ে যায়। এছাড়া কাশি, ঠান্ডা, মাইগ্রেন, পেট ফাঁপার মতো রোগে দারুণ উপকারি এই গুড়। হালকা উষ্ণ গরম জল কিংবা চায়ের মধ্যে চিনির বদলে গুড় দিয়ে খেলে উপকার হয় বেশ অনেকটাই। গুড়ে থাকে প্রচুর অ্যান্টি অক্সিডেন্ট, জিঙ্ক আর সেলেনিয়ামের মতো মিনারেল। যেগুলো শরীরের বিভিন্ন ইনফেকশন থেকে লড়াই করার ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। তবে নিয়মিতভাবে এই গুড় ব্যবহারের ক্ষেত্রে আগে অভিজ্ঞ চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে নেওয়া জরুরি। সূত্র- নিউজ ১৮
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।