স্পোর্টস ডেস্ক : ফুটবল এক আবেগের নাম। এই আবেগের সঙ্গে জড়িয়ে থাকে জীবনের চরম রোমাঞ্চ। কখনও দলের মধ্যে আবদ্ধ থাকে সেই রোমাঞ্চ, আবার কখনও মাঠ ছাড়িয়ে বিশ্বের কোণায় কোণায় উত্তেজনার পারদ ছড়িয়ে দেয়। গোল বলের এই খেলায় মাঝেমধ্যে কিছু মর্মস্পর্শী ঘটনাও ঘটে। তেমনই এক ঘটনার সাক্ষী হলো ফুটবল বিশ্ব। আরনে এসপিল নামের ২৫ বছর বয়সি এক গোলরক্ষক পেনাল্টি শট থামাতে উৎসর্গ করলেন নিজের জীবনকেই।
গত ১১ জানুয়ারি বেলজিয়ামের আঞ্চলিক খেলায় মুখোমুখি হয়েছিল উইনকেল স্পোর্ট বি ও ওয়েস্ট্রোজেবেকে। ম্যাচটিতে উইনকেলের গোলরক্ষক হিসেবে মাঠে নেমেছিলেন আরনে এসপিল। তবে মাঠের খেলা শেষ হওয়ার আগেই জীবন সংগ্রামের খেলায় ইতি টানেন এসপিল।
ম্যাচটিতে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে পেনাল্টি পেয়েছিল ওয়েস্ট্রোজেবেকা। সেই পেনাল্টি ঠেকাতেই ঝাঁপিয়ে পড়েন এসপিল। সে যাত্রায় সফলও হন তিনি। তবে সফলতা নিমিষেই ঘোর অন্ধকারে রূপ নেয়। সেই অন্ধকার যেন অমাবস্যার চেয়েও গভীর হয়ে ওঠে। পেনাল্টি ঠেকিয়ে মাঠের মধ্যেই লুটিয়ে পড়েন এসপিল।
সে সময়ে মেডিকেল টিম এসে ওঠানোর চেষ্টা করে এসপিলকে। ব্যর্থ হয়ে দেয়া হয় ডিফিব্রিলেটর (হৃদস্পন্দন স্বাভাবিক করতে বুকে বৈদ্যুতিক শক)। তাতেও ঘুম ভাঙেনি তরুণ এই গোলরক্ষকের। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় এসপিলের নিথর দেহ। সেখানেই মৃত্যুর আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসে।
এসপিলের মৃত্যুর কারণ এখনও জানানো হয়নি। তবে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম মিররের এক খবরে বলা হয়েছে, সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) ময়নাতদন্ত শেষে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। উইনকেল স্পোর্ট বি এর পরিচালক প্যাট্রিক রোটসার্ট বলেছেন, ‘এই ঘটনা আমাদের জন্য একটি ট্র্যাজেডি হয়ে এসেছে। এসপিল ক্লাবকে খুব ভালোবাসতেন। এটা সত্যিই একটি কঠিন আঘাত।’
ফুটবল মাঠে মৃত্যুর ঘটনা এই প্রথম না। এর আগে ২০০৬ সালে কাজাখস্তান প্রিমিয়ার লিগে ম্যাচে প্রাণ যায় ব্রাজিলের ফুটবলার নিল্টন মেন্দেজের। ২০০৩ সালে কলম্বিয়ার বিপক্ষে খেলাকালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান ক্যামেরুনের খেলোয়াড় মার্ক ভিভিয়ান ফো। ১৯২৭ সালে নিউমোনিয়ার কারণে ম্যাচ চলাকালে মারা যান ইংলিশ ফুটবলার স্যাম উইনি। ১৯০৭ সালে হেড দিয়ে মারা যান ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের টমি ব্লাকস্টক।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।