বিজ্ঞান ও প্রযক্তি ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রে ইন্টারনেটের গতি বাড়ানোর সঙ্গে ‘ব্রডব্যান্ড’-এর আনুষ্ঠানিক সংজ্ঞাও পরিবর্তন করেছেন মার্কিন নিয়ন্ত্রকরা।
নতুন সংজ্ঞানুসারে, ফোন বা কল করার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় ব্রডব্যান্ডে’র ন্যূনতম গতি ২৫ এমবিপিএস (মেগাবিটস পার সেকেন্ড) থেকে বাড়িয়ে ১০০ এমবিপিএস করতে হবে আইএসপিগুলোকে।
সিদ্ধান্তটি এসেছে মার্কিন নিয়ন্ত্রক সংস্থা ‘ফেডারেল কমিউনিকেশনস কমিশন (এফসিসি)’র এক ভোটাভুটির অংশ হিসেবে, যেখানে তিন বনাম দুই ভোটের ব্যবধানে পরিবর্তিত হয়েছে ব্রডব্যান্ডের আনুষ্ঠানিক সংজ্ঞা।
এখন থেকে হাইস্পিড বা উচ্চগতির ব্রডব্যান্ডের আওতায় ডাউনলোডের গতি হতে হবে ১০০ এমবিপিএস। আর আপলোডের বেলায় ২০ এমবিপিএস, যা এর আগে ছিল ৩ এমবিপিএস।
প্রত্যেককে উচ্চগতির ব্রডব্যান্ড পরিষেবা দেওয়ার প্রতিশ্রুতির অংশ হিসেবে, ব্রডব্যান্ডের সংজ্ঞায় এ পরিবর্তন আনার কথা বলেছে এফসিসি। যা আরও বেশি মানুষের উচ্চগতির ইন্টারনেটের ব্যবহার নিশ্চিত করতে সাহায্য করবে, বলেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।
এফসিসি বলেছে, এ পরিবর্তনের লক্ষ্য হল, তারা আরও বেশি লোকজনকে দ্রুতগতির ইন্টারনেট সংযোগ ব্যবহারের সুযোগ দেওয়ার যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, সেটি নিশ্চিত করা।
সংস্থাটি আরও যোগ করে, এখনও যুক্তরাষ্ট্রের গ্রামীণ এলাকাগুলোয় বসবাস করা ২৮ শতাংশ আমেরিকান নাগরিক দ্রুতগতির ইন্টারনেট সংযোগ থেকে বঞ্চিত।
ঘোষণায় এফসিসি প্রধান জেসিকা রোজেনওয়ারসেল বলেছেন, “এ সংশোধন অনিবার্য ছিল”। আর এ পরিবর্তনের সহায়তায় নিয়ন্ত্রকরা জানতে পারবেন যে, ‘আশপাশের বিভিন্ন নিম্ন আয়ের এলাকা ও গ্রামীণ কমিউনিটি কী পরিসরে এ সুবিধা থেকে বঞ্চিত’।
এ ছাড়া, ইন্টারনেটের সর্বোচ্চ গতিসীমা ১ জিবিপিএস (গিগাবিটস পার সেকেন্ড) ও সর্বনিম্ন গতিসীমা ৫০০ এমবিপিএস-এর মধ্যে রাখার একটি ‘দীর্ঘমেয়াদী লক্ষ্যের’ কথাও বলেছেন রোজেনওয়ারসেল।
এর আগে ২০১৫ সালে ব্রডব্যান্ডে ডাউনলোডের গতি ৪ এমবিপিএস থেকে বাড়িয়ে ২৫ এমবিপিএস করেছিল এফসিসি। আর এর পর থেকেই, মার্কিন রাজনীতিবিদ ও কর্মকর্তারা এর গতি বাড়ানোর আহ্বান জানাচ্ছেন, যেখানে উদ্দীপক হিসেবে কাজ করেছে, মানুষ কতটা ভালভাবে একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন ও তাদের অর্থ কোথায় ব্যয় করা উচিৎ, সেগুলো বোঝার বিষয়টি।
গত ৫০ বছরের দীর্ঘতম সূর্যগ্রহণ আর মাত্র এক মাস দূরে, কত ক্ষণ ঢেকে থাকবে সূর্য?
রোজেনওয়ারসেল বলেন, এর মধ্যে কয়েকটি পরিবর্তন এসেছে করোনা মহামারীর কারণে, যার মাধ্যমে মার্কিন ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা ‘ডিজিটাল জগতে কতোটা বিভাজিত ছিলেন’ তার মাত্রা দেখা গিয়েছিল সে সময়।
“এজন্য আমরা এখন ওই বিভাজন ঠিক করার উদ্দেশ্যে সাহসী পদক্ষেপ নিয়েছি,” বলেন তিনি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।