জুমবাংলা ডেস্ক : আগামী ১৫ জুন গোপালগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনের প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে গিয়েছেন ৭ মেয়র প্রার্থী। প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছার প্রতি সম্মান জানিয়ে শেখ রকিব হোসেনকে সমর্থন দিয়ে সরে দাঁড়িয়েছেন ৭ স্বতন্ত্র প্রার্থী।
শনিবার (১১ জুন) বিকেলে পৃথক সংবাদ-সম্মেলনের মাধ্যমে নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার ঘোষণা দেন মেয়র প্রার্থী এস এম নজরুল ইসলাম ও মো. আবুল ফাত্তাহ্।
এর আগে গত ২৫ মে বিকেলে গোপালগঞ্জ প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে সংবাদ-সম্মেলনের মাধ্যমে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক এম বদরুল আলম (বদর)। সরে দাঁড়ানো প্রার্থীদের মধ্যে তিনি ছিলেন সর্বপ্রথম প্রার্থী।
এম বদরুল আলম জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছানুযায়ী তিনি নির্বাচন থেকে সরে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর চাচা শেখ রকিব হোসেনকে সমর্থন জানাচ্ছেন। পরবর্তীতে গত ৬ জুন রাত সাড়ে ৯টার দিকে গোপালগঞ্জ শহরের উদয়ন রোডস্থ নিজ বাসভবনে এক সংবাদ-সম্মেলনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন জেলা আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি রায় চৌধুরী (পপা)।
তিনি বলেন, অসাম্প্রদায়িক বাংলার জন্য বঙ্গবন্ধু সারাটি জীবন অতিবাহিত করে গেছেন। ৭৫ এর ১৫ আগস্ট তার রক্তের ঋণে আমাদেরকে ঋণী করে রেখে গেছেন। তারই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাবা-মা পরিবার হারিয়েও সেই ৭৯ সাল থেকে প্রতি মিনিটে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার নিরন্তর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। সর্বোপরি তিনি আমার নেত্রী। তাই তার ইচ্ছানুযায়ী এ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে আমি সরে দাঁড়িয়েছি এবং ১৫ জুন নির্বাচন পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর চাচার জন্য কাজ করে যাবো।
এদিকে গত শুক্রবার (১০ জুন) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে গোপালগঞ্জ শহরের চৌরঙ্গী পয়েন্টে এক সমাবেশে মেয়র-প্রার্থী জেলা যুবলীগ সভাপতি জি এম সাহাব উদ্দিন আজম তার সমর্থক ও ভোটারসহ পৌরবাসীর উদ্দেশ্যে বলেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে চলেছে। আমাদের প্রিয় নেতা শেখ ফজলুল করিম সেলিমের নির্দেশিত পথে এ গোপালগঞ্জের সকল কাজ পরিচালিত হচ্ছে। তাই প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমি নির্বাচন থেকে সরে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর চাচা শেখ রকিব হোসেনকে সমর্থন জানাচ্ছি।
ওইদিনই বিকেল ৫টায় আরেক মেয়র প্রার্থী শ্রমিক লীগ নেতা মো. রেজাউল হক সিকদার (রাজু) গোপালগঞ্জ শহরের সোনাকুড় এলাকায় নিজ বাসভবনে এক সংবাদ-সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছার প্রতি সম্মান জানিয়ে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে যাওয়ার ঘোষণা দেন এবং সকলকে প্রধানমন্ত্রীর চাচা শেখ রকিব হোসেনের প্রতীক ‘নারিকেল গাছ’ মার্কায় ভোট দিয়ে তাকে জয়যুক্ত করার আহ্বান জানান।
শুক্রবার রাতে আরেক মেয়র-প্রার্থী দিলীপ কুমার সাহা (দিপু) গোপালগঞ্জ শহরের সিকদারপাড়াস্থ নিজ বাসভবনে এক সংবাদ-সম্মেলনের মাধ্যমে একই ধরণের অনুভূতি ব্যক্ত করে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন এবং প্রধানমন্ত্রীর চাচা শেখ রকিব হোসেনকে সমর্থন দেন।
উল্লেখ্য, এবারে বর্ধিত ৬টি ওয়ার্ডসহ গোপালগঞ্জ পৌরসভায় মোট ১৫টি ওয়ার্ডে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এ নির্বাচনে মেয়র পদে মোট ১১ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে এক প্রার্থী তার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেন এবং বাকী ১০ জনের মধ্যে এপর্যন্ত ৬ প্রার্থী মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। এছাড়া ১ জন রয়েছেন বাংলাদেশ ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী। বাকীরা সবাই স্বতন্ত্র প্রার্থী।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।