জুমবাংলা ডেস্ক : অপহরণ হওয়া চার শিশুকে উদ্ধার করেছে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ। শুক্রবার রাত পৌনে ১১ টার দিকে রংপুর রেলওয়ে স্টেশন এলাকা থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়। এসময় অপহরণকারী আদুরী বেগম নামে এক নারীকেও আটক করা হয়। পরে অপহরণ মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়েছে পুলিশ।
রাত সাড়ে ১২ টার দিকে রংপুর মেডিক্যালে ওই নারীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা থেকে পুলিশ নিজ হেফাজতে রেখেছে।
এই ঘটনায় শুক্রবার রাত দেড়টার দিকে নগরীর হারাগাছ থানায় একটি অপহরণ মামলা করেছেন মকবুল হোসেন নামে এক ব্যক্তি। মামলায় আদুরী বেগমকে প্রধান করে আরো অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. মজিদ আলী।
গ্রেফতার আদুরী বেগম কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার ফকিরচর গ্রামের মনছুর আলীর স্ত্রী। তিনি রংপুর নগরীর বাবুপাড়া এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন। এই ঘটনায় হারাগাছ এলাকায় লিটন নামে এক ব্যক্তিকে খুঁজছে পুলিশ। তার সংশ্লিষ্টতা আছে কীনা তা খতিয়ে দেখা হবে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, রংপুর নগরীর ৭ নম্বর ওয়ার্ডের তপোধন গ্রাম থেকে চার শিশু নিয়ে ওই নারী ইফতারের পরেই নিখোঁজ হয়। বিষয়টি নিয়ে ওই এলাকায় হৈচৈ পড়ে যায়। এরপরে বিষয়টি পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটকে জানানো হলে রেলস্টেশন, বাসস্ট্যান্ড এলাকাসহ বিভিন্ন পয়েন্টে অবস্থান নেন পুলিশ। এর পরই রেলস্টেশন এলাকা থেকে অপহৃত ৪ শিশুসহ ওই নারীকে রেলওয়ে পুলিশ আটক করে।
উদ্ধার হওয়া শিশুরা হলো- মমিনুল ইসলামের চার বছর বয়সী ছেলে ইসমাইল, মকবুল হোসেনের ছয় বছর বয়সী ছেলে রিফাত, আখিফুল ইসলামের আট বছর বয়সী মেয়ে আখি মনি ও মমিনুর ইসলামের ১২ বছর বয়সী সন্তান মিনু।
মকবুল হোসেন নামে এক অভিভাবক জানান, আদুরী বেগম নামক সেই নারী নিজেকে অসহায় দাবি করে গত বৃহস্পতিবার দিনের বেলা নগরীর ৭ নম্বর ওয়ার্ডের তপোধন গ্রামে বিভিন্ন বাড়িতে আশ্রয় চায়। পরে আশিকুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি ওই নারীকে আশ্রয় দেন। রাতে ওই বাড়িতে অবস্থান করেন আদুরী, শুক্রবার সারাদিন ওই বাড়িতেই ছিলেন এবং সন্ধ্যায় ইফতারও করেন। ইফতারের পরে ওই ৪ শিশুকে নিয়ে উধাও হয়ে যান। এর কিছুক্ষণ পর বাচ্চাদের না পেয়ে এলাকায় হৈচৈ পড়ে গেলর তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশকে জানানো হয়।
রংপুর রেলস্টেশনের সুপার শংকর গাঙ্গুলি বলেন, রাতে ওই শিশুদের নিয়ে ঘোরাফেরা করতে দেখে স্টেশনে থাকা লোকজনের সন্দেহ হলে স্থানীয়দের সহায়তায় আটক করে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ এসে তাদের সবাইকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. মজিদ আলী বলেন, ভালো খবর হলো নিষ্পাপ এই বাচ্চা গুলোকে উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করিছি আমরা। মামলা হয়েছে, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আদালতে পাঠানো হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।