জুমবাংলা ডেস্ক : এক বছর আগে আত্মহত্যা করেন স্বামী শাকিল হাওলাদার। সেই থেকে মানসিকভাবে বিপর্যন্ত হয়ে পড়েন রুমানা আক্তার বাপ্পি (১৯)। তার কোলের সন্তানটিও মারা যায় মাস ছয়েক আগে। একমাত্র সন্তানকে হারানোর পর থেকে আরো ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন তিনি। শেষ পর্যন্ত আত্মহত্যার পথ বেছে নেন রুমানাও।
ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার (৭ এপ্রিল) বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার ধানসাগর ইউনিয়নের ছোট নলবুনিয়া গ্রামে। সন্ধ্যা ৭টার দিকে দাদি আলেয়া বেগমের বাড়ি থেকে লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত রুমানা নলবুনিয়া গ্রামের সৌদিপ্রবাসী জাহাঙ্গীর মাঝির মেয়ে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. হারুন অর রশিদ জানান, দুই বছর আগে রুমানার বিয়ে হয় ছোট নলবুনিয়া গ্রামের হালিম হাওলাদারের ছেলে শাকিলের সঙ্গে। বিয়ের এক বছরের মাথায় গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেন শাকিল। স্বামীর মৃত্যুর পর রুমানার কোলজুড়ে আসে একটি কন্যাসন্তান। সেও মারা যায় ছয় মাস আগে। স্বামী ও সন্তান হারানোর ফলে মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েন রুমানা।
ইউপি সদস্য হারুন অর রশিদ আরো জানান, বাবা জাহাঙ্গীর মাঝি কয়েক বছর ধরে সৌদিতে থাকেন। মা সাথী বেগমের সঙ্গেও তার বাবার বিচ্ছেদ হয়েছে বছর দুয়েক আগে। বিচ্ছেদের পর মা সাথী বেগম তার বাবার বাড়ি পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়াতে থাকেন। একমাত্র মেয়েরও তেমন খোঁজখবর নেন না তিনি। মা থেকেও নেই এবং স্বামী ও সন্তানকে হারিয়ে নিরুপায় রুমানা থাকতেন দাদি আলেয়া বেগমরে সঙ্গে। শেষ পর্যন্ত সেই দাদির বাড়ির বসতঘরের আড়ার সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি।
শরণখোলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইকরাম হোসেন জানান, লাশ উদ্ধার করে থানায় রাখা হয়েছে। শুক্রবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য বাগেরহাট সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা করা হয়েছে। আত্মহত্যার কারণ উদ্ঘাটনে তদন্ত চলছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।