লাইফস্টাইল ডেস্ক : সহজে বহন করা যায় বলে বর্তমানে ডেস্কটপের চেয়ে ল্যাপটপের ব্যবহার বেড়েছে অনেকখানি। বাড়িতে কোলে যন্ত্রটি নিয়ে কাজ করেন অনেকে। কিন্তু এতে শরীরের যে মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে তা অনেকের অজানা।
ল্যাপটপ থেকে ইলেকট্রোম্যাগনেটিক রেডিয়েশন বের হয়। যদিও এর পরিমাণ ওয়াই-ফাই বা ব্লুটুথ ডিভাইসের থেকে অপেক্ষাকৃত কম। তবে কম হলেও কেউ যখন কোলে ল্যাপটপ রেখে কাজ করেন, তখন সেই রেডিয়েশন সরাসরি শরীরে প্রভাব ফেলে। প্রভাবিত করে মানসিক স্বাস্থ্যকেও।
ল্যাপটপ কোলে রেখে কাজ করলে ঘাড়ব্যথা ও মেরুদণ্ডের ব্যথা বা ব্যাকপেইনের পাশাপাশি আরও নানা ধরনের স্বাস্থ্যগত সমস্যা তৈরি হতে পারে।
দীর্ঘসময় ধরে ল্যাপটপ কোলে রেখে কাজ করলে ‘টোস্টেড স্কিন সিনড্রোম’ হতে পারে। যার ফলে ত্বকে বাজে ধরনের ফুসকুড়ি হয়। বলা হয় কোলে রেখে কাজ করলে ল্যাপটপ থেকে তৈরি তাপের ফলে টেস্টিকুলার ক্যানসার হওয়ার শঙ্কা থাকে। যদিও ল্যাপটপের তাপের সঙ্গে এ ধরনের স্বাস্থ্যগত সমস্যার কোনো গবেষণাভিত্তিক প্রমাণ নেই। মানুষের বিভিন্ন স্বাস্থ্যগত সমস্যা ছাড়াও ল্যাপটপ কোলে রেখে কাজ করলে যন্ত্রটিরও ক্ষতির ঝুঁকি থাকে।
ল্যাপটপে ছোট ছোট কিছু ফ্যান থাকে। যেগুলো খুব দ্রুত চলে এবং বাতাস চলাচলে সাহায্য করে অভ্যন্তরীণ যন্ত্রগুলোকে ঠান্ডা রাখে। কিন্তু কোলে রেখে ল্যাপটপে কাজ করলে এসব ফ্যান চালু হতে সমস্যা হয়।
ফলে অনেক সময় ধরে ব্যবহারে ল্যাপটপ গরম হয়ে যায়। ব্যাটারির স্থায়িত্বও কমে আসতে পারে। এসব সমস্যা সমাধানে ল্যাপটপ ডেস্ক বা টেবিলের সমতল জায়গায় বসিয়ে উঁচু স্থানে রেখে কাজ করতে হবে। ফলে প্রয়োজনীয় বাতাস চলাচলে সমস্যা হবে না। এ ছাড়া ল্যাপটপের জন্য কুলিং প্যাডও ব্যবহার করা যেতে পারে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।