বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক : পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে বিশাল আকারের একটি গ্রহাণু। মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসার বিজ্ঞানীরা এমন হুঁশিয়ারিই দিয়েছেন। তারা বলেন, সোমবার বেলা দুইটা ৪৮ মিনিটে পৃথিবীর খুবই কাছে চলে আসবে দানবীয় আকারের একটি মহাকাশীয় শিলা গ্রহাণু।
নাসা আরও জানিয়েছে, ৩৮৮৯৪৫ গ্রহাণু এক হাজার ৬০৮ ফুট চওড়া। নিউইয়র্কের এম্পায়ার স্টেট ভবনের চেয়েও এটি বড়। এই আইকনিক ভবনটি এক হাজার ৪৫৪ ফুট উচ্চতা নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।
গ্রহাণুটি আইফেল টাওয়ারের চেয়েও বড়, স্ট্যাচু অব লিবার্টি এটির ছোট। কিন্তু মহাকাশ বিজ্ঞানীদের হিসাব বলছে, আমাদের থেকে ২৫ লাখ মাইল দূরত্ব দিয়ে গ্রাহণুটি অতিক্রম করবে।
যদিও দূরত্বটি অনেক দীর্ঘ শোনালেও মহাকাশীয় হিসাবে তা খুব দূরে না। যে কারণে নাসা বলছে, গ্রহাণুটি পৃথিবীর খুব কাছ দিয়ে অতিক্রম করবে। ৩৮৮৯৪৫ গ্রহাণুর পৃথিবীর কাছ দিয়ে অতিক্রম করার ঘটনা আগেও ঘটেছে। ২০২০ সালে একবার এমন ঘটনা ঘটেছিল। তখন পৃথিবী থেকে এটির দূরত্ব ছিল ১৭ লাখ মাইল।
মহাকাশীয় শিলাটি নিয়মিতই পৃথিবী অতিক্রম করে আসছে। প্রতি দুই বছর পর পর এই গ্রহাণু আমাদের এই গ্রহে উঁকি দিয়ে যায়। বিজ্ঞানীরা এমন দাবিই করেছেন। আগামী ২০২৪ সালের মে মাসে আবারও পৃথিবীর কাছে চলে আসবে এটি। তখন দূরত্ব হবে ৬৯ লাখ মাইল।
পরবর্তীতে ২১৬৩ সালে আবারও পৃথিবী নামক গ্রহ ঘুরে যাবে ৩৮৮৯৪৫ গ্রহাণু। যদি একটি গ্রহাণু পৃথিবীর ৪৬ লাখ ৫০ হাজার মাইলের মধ্যে চলে আসে এবং নির্দিষ্ট আকারের হয়; তবে সেটিকে বিপজ্জনক হিসেবে গণ্য করা যায়।
মহাকাশের বিক্ষিপ্ত ভগ্নাংশকে গ্রহাণু হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। এটি গ্রহের অবশিষ্টাংশ। বিপুল ও অনির্দিষ্ট অঞ্চলজুড়ে এসব গ্রহাণু পরিভ্রমণ করছে। কয়েক দশক ধরেই বিজ্ঞানীরা হুঁশিয়ারি করে আসছিলেন, কিছু বড় মহাকাশীয় শিলা পৃথিবীর জন্য বিপজ্জনক।
সম্ভাব্য ঝুঁকিপূর্ণ গ্রহাণু থেকে পৃথিবীকে রক্ষায় পরিকল্পনা গ্রহণ করছে নাসাসহ বিভিন্ন মহাকাশ সংস্থা। ইতিমধ্যে ডাবল অ্যাস্টারয়েড রিডিরেকশন টেস্ট (ডিএআরটি) মিশনও শুরু করেছে নাসা।
গ্রহাণুকে পৃথিবী থেকে ভিন্নমুখে নিয়ে যেতে গতিশক্তি-সংশ্লিষ্ট প্রভাব ব্যবহার করতেই এই মিশন বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।