লাইফস্টাইল ডেস্ক : সারা পৃথিবী জুড়েই মানুষ শোওয়ার সময় মাথার বালিশ ব্যবহার করেন। নরম মোলায়েম মাথার বালিশ সব সময়ই ভাল ঘুম উপহার দেয়। পৃথিবীতে প্রথম যখন মাথার বালিশ তৈরি হয়েছিল তখন কিন্তু তা এমনটা ছিলনা।
অধুনা যাকে সকলে ইরাক বলে চেনেন তা ৯ হাজার বছর আগে পরিচিত ছিল মেসোপটেমিয়া নামে। সেই ৯ হাজার বছর আগে প্রথম মানুষ সেখানে মাথার বালিশের ব্যবহার শেখে।
তবে সে সময় বালিশ এখনকার মত এমন তুলতুলে নরম হতনা। তুলো দিয়েও তৈরি হতনা। তৈরি হত পাথর দিয়ে। বিশ্বের প্রথম মাথার বালিশটি তাই পাথর দিয়ে তৈরি বলেই জানান বিশেষজ্ঞেরা। পাথরের মাঝের অংশটিকে অর্ধেক চাঁদের মত আকার দিয়ে সেই খাঁজে মাথা রেখে শুতেন মেসোপটেমিয়ার মানুষজন।
প্রাচীন মিশরেও ঠিক এমনই বালিশের নিদর্শন পাওয়া গিয়েছে। মিশরীয়রা আবার বিশ্বাস করতেন মানুষের মাথা হল এক আধ্যাত্মিক অংশ। তাই তার যত্নের জন্য এমনই পাথরের মাঝে ঢালু খাঁজ তৈরি করে সেখানে মাথা দিয়ে শুতেন তাঁরা। যাতে মাথা মাটিতে না ঠেকে।
আবার চিনে যে বালিশ ব্যবহার শুরু হয় তা পাথর দিয়ে নয়, তৈরি হত প্রধানত কাঠ দিয়ে। তাতে আবার নানা নক্সা করা থাকত। প্রাচীন গ্রীক ও রোমানরা আবার যে বালিশ ব্যবহার করা শুরু করেছিলেন তা কাপড়ের টুকরো দিয়েই তৈরি হত।
সেই বালিশে ভরা থাকত পালক ও খড়। তাতে তা নরম হত। সব মিলিয়ে মাথার বালিশ কিন্তু এক বহু প্রাচীন আবিষ্কার। যা সময়ের সঙ্গে বদলেছে। তবে প্রথম মাথার বালিশ পাথর দিয়েই তৈরি হয়েছিল।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।