জুমবাংলা ডেস্ক : ক্রিস্টোফার কফ্রন ১৯৯৯ সালে ২২১ ধরণের কেসোয়ারি আক্রমণ নিয়ে একটি গবেষণা সম্পন্ন করেন। এদের মধ্যে ৭ টি আক্রমণ তারা করেছিলো নিজস্ব সীমানা রক্ষার্থে। ৩২ টি আক্রমণ ছিলো প্রতিরক্ষামূলক, ডিম কিংবা বাচ্চাকে রক্ষা করতে তারা এসব আক্রমণ করে।
তবে সর্বাধিক ১০৯ টি আক্রমণ সংঘটিত হয় মানুষ যখন এদের খাবার দিতে গিয়ে, দেয়া শেষ হলে যখন খাবার দেয়া বন্ধ করে তখন। হঠাৎ খাবার দেয়া শেষ হলে এরা বেশ বিক্ষুদ্ধ হয়ে ওঠে মানুষের দিকে তেঁতে যায়।
নিউ গিনি এবং অস্ট্রেলিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলে কেসোয়ারি পাখিদের দেখতে পাওয়া যায়। উত্তর অষ্ট্রেলিয়ার রেইনফরেস্টগুলোর জন্য কেসোয়ারিরা বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। বিশেষ করে বীজের বিস্তরণের ক্ষেত্রে এরা তাৎপর্যপূর্ণ প্রাণী।
কেসোয়ারিরা ফল খেয়ে বেঁচে থাকে, তাই কিছু ফলের বীজ এদের পরিপাকতন্ত্রে পরিপাক না হয়ে মলের মাধ্যমে বাইরে নিঃসরিত হয়। এভাবেই কেসোয়ারি পাখিরা ফলের বীজ এক স্থান থেকে অন্য স্থানে স্থানান্তর করে রেইন ফরেস্টের বিস্তৃতি বাড়ায়।
প্রচণ্ড শক্তিধর হলেও এ পাখিরা বেশ শান্তিপ্রবণ। মানুষের কাছে এদের প্রাকৃতিক আবাসস্থল প্রতিনিয়ত খোয়া যাচ্ছে, যা তাদেরকে আক্রমণে আরো উস্কে দিচ্ছে বলে অনেক বিশেষজ্ঞ মত দেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।