আন্তর্জাতিক ডেস্ক : গত কয়েকদিন ধরে বাঙালিদের মুখে মুখে শুধু মেট্রোর গল্প। কেনই বা হবে না, কেননা ভারতের প্রথম আন্ডারওয়াটার মেট্রো যে চালু হলো বাংলার বুকে। এর আগেও বাংলা নজির গড়েছিল মেট্রো পরিষেবার ক্ষেত্রে। কেননা এর আগেও দেশের প্রথম মেট্রো পরিষেবা চালু হয়েছিল কলকাতাতেই। স্বাভাবিকভাবেই এখন বাংলার গর্ব হয়ে দাঁড়িয়েছে মেট্রো।
তবে এরই সঙ্গে সঙ্গে বেশ কিছু প্রশ্ন মানুষের মুখে মুখে ঘুরছে, আর সেই সকল প্রশ্নের মধ্যে অন্যতম হলো, বিশ্বে প্রথম কোথায় মেট্রো চলেছিল এবং তা কত সালে? বিশ্বের প্রথম মেট্রো অবশ্যই ভারতে অথবা কলকাতায় প্রথম চলেনি। চলেছিল পাশ্চাত্যের একটি দেশে। আবার যে দেশে প্রথম মেট্রো চলেছিল সেই দেশের নাম শুনলে অনেকেই অবাক হয়ে যাবেন। তাহলে দেরি না করে চলুন দেখে নেওয়া যাক, বিশ্বের প্রথম মেট্রো কোন দেশে চলেছিল এবং তা কত সালে।
বিশ্বের প্রথম দেশ হিসাবে মেট্রো পরিষেবা চালু হয়েছিল লন্ডনে। আন্ডারগ্রাউন্ড পরিষেবা হিসাবে লন্ডনে প্রথম মেট্রো পরিষেবা চালু হয়েছিল ১৮৬৩ সালে। তবে একেবারে প্রথম দিকে লন্ডনের মেট্রো পরিষেবা বৈদ্যুতিক চালিত ছিল না। প্রথম দিকে এটি ইঞ্জিন চালিত ট্রেনের মাধ্যমে পরিষেবা দিত। পরবর্তীতে ১৮৯০ সালে ইঞ্জিনের পরিবর্তে বৈদ্যুতিক লাইনের মাধ্যমে মাটির নিচে দিয়ে ট্রেন চলাচল শুরু করে।
অন্যদিকে একটি বিশ্বের প্রথম মেট্রো পরিষেবা হলেও তা কিন্তু বিশ্বের দীর্ঘতম মেট্রো ব্যবস্থা হয়ে উঠতে পারেনি। লন্ডনের মেট্রো ব্যবস্থা বিশ্বের তৃতীয় দীর্ঘতম মেট্রো ব্যবস্থা। এখানকার ১১টি লাইন বা ট্র্যাকে ২৭০ টি স্টেশন রয়েছে। মোট ৪০২ কিলোমিটার পথ জুড়ে পরিষেবা দিয়ে থাকে লন্ডনের মেট্রো পরিষেবা। যার মধ্যে আবার ৪৫ শতাংশ লাইন রয়েছে মাটির নিচে। শহরের কাছাকাছি এবং শহরের কেন্দ্রে প্রায় সব লাইনে মাটির নিচে রয়েছে লন্ডনে।
লন্ডনের মেট্রো পরিষেবায় প্রতিদিন ৫০ লক্ষ যাত্রী এক জায়গা থেকে অন্য জায়গা যাতায়াত করে থাকেন। এর পাশাপাশি একদিনে ৫৪০টি ট্রিপ দেওয়ার রেকর্ড রয়েছে লন্ডনের মেট্রো পরিষেবার। এখানকার মেট্রো পরিষেবা ১৯৩৩ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থার মাধ্যমে পরিচালিত হত। তবে পরে এখানকার আন্ডারগ্রাউন্ড মালিকানা স্থানীয় সরকারের হাতে চলে যায়। ২০০৭ সাল থেকে ট্রান্সপোর্ট ফর লন্ডন সাবসিডিয়ারি লন্ডন আন্ডারগ্রাউন্ড লিমিটেডের মালিকানায় চলছে এখানকার মেট্রোরেল।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।