আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ছোট, কিন্তু অনন্য ডিজাইন আর চমৎকার অভিজ্ঞতার জন্য আধুনিক ক্যাপসুল হোটেলগুলো বিশ্বজুড়ে পর্যটকদের আকৃষ্ট করছে।
বিশ্বজুড়ে ভ্রমণপ্রেমীদের মধ্যে ছোট কক্ষের মিনিমাল নকশার হোটেলগুলো বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। ছোট, কিন্তু অনন্য ডিজাইন আর চমৎকার অভিজ্ঞতার জন্য এসব হোটেল পর্যটকদের আকৃষ্ট করছে।
টিকটক আর ইনস্টাগ্রামবান্ধব কনটেন্ট তৈরির জন্যও সবার পছন্দের শীর্ষে এ হোটেলগুলো। চলুন তেমনি চারটি হোটেলের খোঁজ জেনে নিই আজ।
স্কাইলজ অ্যাডভেঞ্চার সুইটস
দেখেই মনে হবে এমন শ্বাসরুদ্ধকর সুন্দর আর কিছু হতে পারে না। পাহাড়ের গায়ে স্বচ্ছ কাচের ঝুলন্ত স্লিপিং পড নিয়ে পেরুর স্যাক্রেড ভ্যালিতে এই লজ। এখানে থাকতে হলে ৪০০ মিটার উচ্চতায় চড়তে হবে। প্রতিটি রুমে আধুনিক সব সুযোগ–সুবিধা আছে। একা কিংবা প্রিয়জনের সঙ্গে এক কাপ চা আর সূর্যোদয়ের মুহূর্ত সারা জীবন স্মরণীয় হয়ে থাকবে। আরেকটু অভিজাত্যপূর্ণ কিছু চাইলে আছে স্টারলজ। স্টারলজ স্কাইলজের সিস্টার সাইট। স্টারলজে বাড়তি পাওয়া হলো পাহাড়ের গা ঘেঁষে ‘হট টাব’। শরীরের ক্লান্তি দূর করতে উষ্ণ গরম পানিতে গা ভিজিয়ে বসে পাহাড়-নদীর প্রাকৃতিক দৃশ্য উপভোগ করতে চাইলে যেতে হবে পেরুর স্টারলজ অ্যাডভেঞ্চার সুইটসে।
নাইন আওয়ারস
জাপানের বিখ্যাত ক্যাপসুল হোটেল নাইন আওয়ারস। মূলত ১৩টি হোটেলের একটি চেইন নাইন আওয়ারস। যাদের মূল আগ্রহের বিষয় হচ্ছে অতিথিদের ভালো ঘুম। এই ক্যাপসুলগুলোকে ঘুমের ল্যাবরেটরিও বলা যায়। ‘৯ ঘণ্টা ঘুমের ফিটস্ক্যান’ নামে একটি সেবা দেয় তারা। যেখানে অতিথিদের শ্বাসপ্রশ্বাস, মুখের ভঙ্গিসহ হার্টবিটও ট্র্যাক করে ঘুমের রিপোর্ট তৈরি করা হয়। ৯ ঘণ্টা ঘুমের এই ধারণা এসেছে ৭ ঘণ্টার ঘুম আর তার আগে-পরে ১ ঘণ্টা করে গোসল ও পোশাক পরিবর্তন। অনেকেই আবার শুধু ন্যাপ নিতে চান। তাঁদের জন্যও ঘণ্টাপ্রতি ভাড়ার সুযোগ দিয়ে থাকে এই হোটেল।
টুবো হোটেল
কলম্বিয়ার টাতাকোয়া মরুভূমিতে এই ক্যাপসুল হোটেল। টাতাকোয়া বিখ্যাত পরিষ্কার আকাশের জন্য। রাতে এখানে তারায় ভরা আকাশ উপভোগ করতে পারেন ভ্রমণকারীরা। দারুচিনি রঙের বালুর ওপর রঙিন ছোট ছোট ক্যাপসুল দূর থেকে দেখায় অনেকটা ক্যান্ডির মতো। ৩৭টি ক্যাপসুল নিয়ে এই টুবো হোটেল।
ফ্রি স্পিরিট স্পিয়ারস
একটু সবুজের মধ্যে ছুটি কাটাতে চাইলে আছে কানাডার ফ্রি স্পিরিট স্পিয়ারস। ভ্যানকুভার দ্বীপে গাছপালার ভেতর ঝুলন্ত বাবলের মতো ঠিক দেখতে ক্যাপসুলগুলো।
রংটা কিছুটা মিষ্টিকুমড়ার মতো। অনেকটা ঝুলে থাকা কোনো মিষ্টিকুমড়ায় বসবাসের মতো। উঠতে হয় গাছে প্যাঁচানো সিঁড়ি দিয়ে। আর ভেতরে আছে আধুনিক সব সুযোগ–সুবিধা।
ছবি: ইনস্টাগ্রাম
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।