আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বিশ্বব্যাপী প্রায় ৭৩ কোটি ৫০ লাখ মানুষ ২০২২ সালে দীর্ঘমেয়াদী ক্ষুধার মুখোমুখি হয়েছে। কোভিড-১৯ মহামারির আগের তুলনায় এই সংখ্যা অনেক বেশি। এই সংখ্যা ২০৩০ সালের মধ্যে ক্ষুধা নির্মূল করার বৈশ্বিক লক্ষ্যের দিকে অগ্রগতির জন্য হুমকি দেয়। বুধবার জাতিসংঘ এ তথ্য জানিয়েছে।
বিশ্বে খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা শীর্ষক প্রতিবেদনে সংস্থাটি বলেছে, বহু বছর ধরে বিশ্বে অনাহারী বা ক্ষুধার্ত মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধির যে প্রবণতা ছিল তা গত বছর বন্ধ হয়ে গেছে। কারণ অনেক দেশই মহামারি থেকে অর্থনৈতিকভাবে পুনরুদ্ধার হয়েছে। কিন্তু ইউক্রেনের যুদ্ধ এবং খাদ্য ও জ্বালানির দামের উপর চাপ সেই সংখ্যাকে বাড়িয়ে দিয়েছে।
পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ২০১৯ সালের তুলনায় ২০২২ সালে প্রায় ১২ কোটি ২০ লাখ বেশি মানুষ ক্ষুধার্ত ছিল। এটি ২০৩০ সালের মধ্যে ক্ষুধা দূর করার জন্য জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়নের যে লক্ষ্য তা পূরণ থেকে বিশ্ব ‘অনেক দূরে’। পরিস্থিতি এমন দিকে যাচ্ছে, যে ২০৩০ সালে ৬০ কোটি মানুষ অপুষ্টির শিকার হবে।
রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) প্রধান অর্থনীতিবিদ ম্যাক্সিমো টোরো কুলেন বলেন, ‘আমরা দেখছি যে ক্ষুধা একটি উচ্চ মাত্রায় স্থিতিশীল হচ্ছে, যা খারাপ খবর।’
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক বছরগুলিতে বিশ্বব্যাপী ক্ষুধার প্রধান চালিকাশক্তিগুলি ছিল জীবিকার ক্ষেত্রে সংঘাত, জলবায়ুর চরমতা যা, কৃষি উৎপাদনকে হুমকির মুখে ফেলেছিল এবং মহামারির কারণে বেড়ে যাওয়া অর্থনৈতিক কষ্ট।
Own the headlines. Follow now- Zoom Bangla Google News, Twitter(X), Facebook, Telegram and Subscribe to Our Youtube Channel