লাইফস্টাইল ডেস্ক : পৃথিবী এখনও অনেক রহস্যের আধার। কিছু ঘটনা বিজ্ঞানীদের কাছে ধাঁধার মতো রয়ে গেছে, যেগুলোর ব্যাখ্যা খুঁজে পাওয়া যায়নি। আজ আমরা এমনই নয়টি অমীমাংসিত রহস্য নিয়ে আলোচনা করবো।
১. তাওসের গুঞ্জন
নিউ মেক্সিকোর ছোট শহর তাওস-এর কিছু মানুষ প্রায়ই একধরনের মৃদু গুঞ্জন বা গুনগুন শব্দ শুনতে পান। কেউ বলেন, এটি এক ধরনের আকর্ষণীয় মন্ত্রমুগ্ধকর শব্দ, আবার কেউ বলেন এটি কানে আসলে অস্বস্তি লাগে। কিন্তু এখন পর্যন্ত এই শব্দের প্রকৃত উৎস জানা যায়নি।
২. ফুটন্ত নদী
আমাজনের গভীর অরণ্যের ভেতর দিয়ে প্রবাহিত এক আশ্চর্য নদী রয়েছে, যার নাম শানায় টিমপিশকা, তবে এটি বেশি পরিচিত ফুটন্ত নদী নামে। নদীটির পানি এতটাই গরম যে, কোনো প্রাণী পড়ে গেলে মুহূর্তের মধ্যে সেদ্ধ হয়ে যায়। বিজ্ঞানীরা এখনও নিশ্চিত নন, কীভাবে এত বড় একটি নদী এত উচ্চ তাপমাত্রা ধরে রাখে।
৩. শয়তানের কেতলি
ডেভিলস কেটল নামে পরিচিত একটি রহস্যময় জলপ্রপাত রয়েছে মিনেসোটার জাজ সি আর ম্যাগনি পার্কে। এটি দুই ভাগে বিভক্ত – একটি ধারা স্বাভাবিকভাবে প্রবাহিত হয়, কিন্তু অন্যটি যেন কোথায় হারিয়ে যায়! সেই পানির শেষ গন্তব্য কোথায়, তা আজও অজানা।
৪. ঘুরে বেড়ানো পাথর
ক্যালিফোর্নিয়ার ডেথ ভ্যালি ন্যাশনাল পার্কে দেখা যায় এক বিস্ময়কর ঘটনা—সেইলিং স্টোনস নামে পরিচিত পাথরগুলো নিজেরাই এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় সরে যায়। এমনকি পিছনে দাগও রেখে যায়, যেন কেউ তাদের ঠেলে নিয়ে গেছে! তবে কীভাবে এই পাথর নড়াচড়া করে, তা এখনো রহস্য।
৫. হেসডালেনের অদ্ভুত আলো
নরওয়ের হেসডালেন উপত্যকায় প্রায়ই রাতের আকাশে উজ্জ্বল আলোর বল দেখা যায়। কখনো ধীরে, কখনো দ্রুত এগুলো চলতে থাকে। কেউ বলেন, এটি প্রাকৃতিক গ্যাসের কারণে হয়, আবার কেউ মনে করেন, এটি ভিনগ্রহীদের অস্তিত্বের প্রমাণ!
৬. গোলাপি পানির হ্রদ
অস্ট্রেলিয়ার লেক হিলার নামের এক বিস্ময়কর হ্রদ রয়েছে, যার পানি স্বাভাবিকের চেয়ে উজ্জ্বল গোলাপি! এর রঙ বদলায় না, এমনকি বোতলে ভরলেও একই রকম থাকে। বিজ্ঞানীরা ধারণা করেন, বিশেষ ধরণের ব্যাকটেরিয়া ও লবণের কারণে এই রঙ হয়ে থাকে।
৭. ইয়োনাগুনির পানির নিচের স্থাপনা
জাপানের ইয়োনাগুনি দ্বীপের উপকূলে ১৯৮০ সালে এক বিশাল পিরামিড আকৃতির পানির নিচের স্থাপনা আবিষ্কৃত হয়। বিজ্ঞানীরা নিশ্চিত নন, এটি প্রকৃতি দ্বারা গঠিত, নাকি এটি হাজার বছর আগে মানুষের হাতে তৈরি হয়েছিল। অনেকে একে “জাপানের আটলান্টিস” বলে থাকেন।
৮. অমর জেলিফিশ
Turritopsis dohrnii নামের এক বিশেষ প্রজাতির জেলিফিশ রয়েছে, যা নিজের কোষের বয়স কমিয়ে নিজেকে বারবার তরুণ করতে পারে। এর ফলে এটি কখনোই বার্ধক্যজনিত কারণে মারা যায় না! বিজ্ঞানীরা একে “অমর জেলিফিশ” বলে থাকেন।
৯. সাইবেরিয়ার রহস্যময় গর্ত
সাইবেরিয়ায় মাঝে মাঝে হঠাৎ করেই বিশাল বিশাল গর্ত সৃষ্টি হয়। কোথা থেকে এগুলো আসে, কীভাবে এত দ্রুত গর্ত তৈরি হয়—তা নিয়ে বিজ্ঞানীরা এখনো গবেষণা করছেন। স্থানীয়দের অনেকে এগুলোকে “জাহান্নামের দরজা” বলে থাকেন।
বদলে যাচ্ছে পুরানো Samsung Galaxy ফোন, আসছে একগুচ্ছ AI ফিচার
পৃথিবীতে এমন অনেক রহস্য রয়েছে, যেগুলোর ব্যাখ্যা খুঁজে বের করতে বিজ্ঞান এখনও হিমশিম খাচ্ছে। এসব রহস্যের মধ্যে কোনোটা হয়তো ভবিষ্যতে সমাধান হবে, আবার কিছু হয়তো চিরদিনই অমীমাংসিত রয়ে যাবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।