লাইফস্টাইল ডেস্ক : ডিম আমাদের লাইফের মৌলিক খাবারের চাহিদা মেটায়। পাখি কুল তাদের বংশ বিস্তারের জন্য ডিম পেরে থাকে। কিন্তু মাঝে মাঝে ঐ ডিম আমাদের খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করা হয়।আমাদের জীবনের মৌলিক খাবারগুলোর মধ্যে ডিম অন্যতম। আমরা সাধারণত দেশি হাঁস কিংবা মুরগির ডিম খেয়ে থাকি। বিভিন্ন পাখির বিভিন্ন আকার কিংবা রংয়ের ডিম পারলেও অধিকাংশ পাখির ডিম সাদা রঙের হয়ে থাকে।
কিন্তু কিছু কিছু পাখি আছে যারা ইউনিক কালারের ডিম পাড়ে। আজকের এই ভিডিওটিতে এমন কিছু আশ্চর্য জনক ডিমের সম্পর্কে জানব। আইএম সেমানি: আমার মুরগিটি উৎপন্ন করা হয় ইন্দোনেশিয়া। এই মুরগিটি দেখতে একদম কালো। এবং এই মুরগির ডিম গুলো মাঝে মাঝে এই মুরগির মত একদম কালো হয়। এরা খুব কম পরিমাণে ডিম পাড়ে। এরা সপ্তাহে মাত্র একটি ডিম পাড়ে। এদের ডিম সাধারন মুরগির চেয়ে অনেক বড় হয়।
হাঁসের ডিম: ভাবছেন সাধারণ এই হাঁসের ডিম কিভাবে আশ্চর্যজনক হলো। একটি হাঁসের ডিম সাধারণত মুরগির ডিমের চেয়ে অনেক বড়। এবং হাঁসের ডিম বিভিন্ন কালারের হয়ে থাকে।ডিমটি কোন কালার হবে তা নির্ভর করে হাঁসের প্রজাতির উপর। এরমধ্যে মুরগির ডিমের তুলনায় প্রোটিন অনেক বেশি।
ইমোর ডিম: কিছু বছর যাবৎ অস্ট্রেলিয়ায় ইমুর ডিম খুব জনপ্রিয় হয়েছে। এখানেই এই ইমোর বাস। একটা ইমুর ডিম মুরগির ডিমের চেয়ে 8 থেকে 10 গুণ বড় হয়ে থাকে। এটি বিভিন্ন ফুড রেসিপিতে একদম কমন। একটি ডিমের দাম মুরগির ডিমের চেয়ে 30 গুন বেশি। রাজহাঁসের ডিম: রাজহাঁস খুব কম পরিমাণে ডিম পাড়ে।
যারা ডিমের কুসুম খেতে ভালোবাসো তারা রাজহাঁসের ডিম খেতে পারেন কেননা রাজহাঁসের ডিম কুসুমের পরিমাণ বেশি। গিনি মুরগির ডিম: গিনি মুরগির মাংস এবং ডিম উৎপাদনের জন্য অন্যরকম একটি প্রজাতি। এদের ডিম দেশি মুরগির ডিমের চেয়ে ছোট হয়। এর স্বাদ মুরগির ডিমের মতো। এরাবছরের নির্দিষ্ট সময়ে নির্দিষ্ট পরিমাণে ডিম পেরে থাকে।
গোলের ডিম: যদিও ওরা বন্য পাখি কিন্তু সহকারী লাইসেন্স নিয়ে এদের ডিম সংগ্রহ করা যায়। যে কেউ এদের ডিম সংগ্রহ করতে পারে না। ডিম বিভিন্ন রেসিপি তে ব্যবহার করা হয়। অস্ট্রিচের ডিম: এদের ডিমের আকার অনেক বড় হয়। মোটামুটি ছোটখাটো একটি ফুটবলের সমান হয়ে থাকে এদের ডিম।এদের একটি ডিমের ওজন হতে পারে দুই কেজি আড়াইশো গ্রাম পর্যন্ত। আর প্রায় 24 টি মুরগি ডিমের সমান ।
ফেজেন্ট এর ডিম: এটি পৃথিবীর সবচাইতে সুন্দর পাখি গুলোর মধ্যে একটি। এরা এদের ডিমের জন্য খুব জনপ্রিয়। এদের একটি ডিমের ওজন হয় মুরগির ডিমের অর্ধেক। এরা বছরে মাত্র 10 থেকে 18 টি ডিম পাড়ে। কোয়েলের ডিম: কোয়েলের ডিম আমাদের কাছে খুব পরিচিত। বাংলাদেশসহ পুরো বিশ্বেই এদেরকে ঘরে পালন করা হয়ে থাকে।
এদেরকে ডিম এবং মাংসের জন্য পালন করা হয় থেকে।এদের পালন করার জন্য খুব কম জায়গায় এবং কম খরচ হওয়ার কারণে প্রায় সকলেই এদেরকে পালন করেন। এরা প্রতিদিন একটি করে ডিম দেয়। কোয়েল পাখির চারটি ডিম একটি মুরগির ডিমের সমান। এছাড়াও আরও কয়েকটি ডিমের বর্ণনা ভিডিওটিতে দেওয়া হয়েছে। সবগুলো ডিমের সম্পর্কে জানতে না টেনে ভিডিওটি দেখতে পারেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।