জুমবাংলা ডেস্ক : ‘ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার ঢাকা’র নির্মাণে একমাত্র স্বত্বাধিকারী বোরাক রিয়েল এস্টেট লিমিটেড। ইতোমধ্যে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার’স অ্যাসোসিয়েশনের (ডব্লিউটিসিএ) লাইসেন্স পেয়েছে বোরাক রিয়েল এস্টেট। ২০২১ সালের ১০ নভেম্বর বোরাক রিয়েল এস্টেটের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহা. নূর আলী এবং ডব্লিউটিসিএর নির্বাহী পরিচালক রবিন ভ্যান পুয়েনব্রোয়েকস এ সংক্রান্ত চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। চুক্তি অনুসারে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার ঢাকা ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার’স অ্যাসোসিয়েশনের সব সুযোগ-সুবিধা আন্তর্জাতিক ব্যবসায়িক কাজে লাগাতে পারবে।
জানা গেছে, চুক্তি অনুসারে একমাত্র বোরাক রিয়েল এস্টেট লিমিটেডই ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার ঢাকার নির্মাণে একমাত্র স্বত্বাধিকারী। রাজধানী ঢাকার প্রাণকেন্দ্র গুলশান-২ (দ্য ওয়েস্টিন ঢাকার পাশে) প্লট নং (৩৪-এ, ৩৫-এ, ৩৬-এ, ৩৭, ৩৭-এ, ৩৮-বি এবং ৩৮-সি) ভবনটি নির্মিত হয়েছে, যেখানে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার ঢাকা স্থাপনের জন্য বোরাক রিয়েল এস্টেট লাইসেন্সপ্রাপ্ত। কিন্তু ওই ভবনে দুটি পাঁচ তারকা হোটেল ‘তাজ হোটেল’ এবং ‘ভিভানতা হোটেল’ নির্মাণের চুক্তি হওয়ায় বহুতলবিশিষ্ট ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার ঢাকা বাংলাদেশের ম্যানহাটন নামে পরিচিত হাতিরঝিল এলাকায় স্থানান্তর করা হচ্ছে।
জানা গেছে, বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ উন্নয়নে কর্মরত বৈশ্বিক ট্রেড সেন্টার নেটওয়ার্কের একটি সহযোগী সংগঠন হচ্ছে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার’স অ্যাসোসিয়েশন (ডব্লিউটিসিএ)। এটি ১৯৭০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এর সদরদপ্তর নিউইয়র্কে, যার সূচনা ঘটে লোয়ার ম্যানহাটনে অবস্থিত টুইন টাওয়ার থেকে।
ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার ঢাকা বিশ্বের ১০০টি দেশের ৩২০টি ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের সঙ্গে যুক্ত থাকবে। বিশ্বের সব দেশের চেম্বার অব কমার্স, বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠন, এনজিও, এম্বাসি, ব্যাংক, বিনিয়োগ সংস্থার সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারবে। তাদের বিভিন্ন ব্যবসাসংক্রান্ত তথ্য নিতে পারবে, যা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে অবারিত সুযোগ তৈরি হবে। ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার ঢাকা হবে সারা বাংলাদেশের ব্যবসার প্রাণকেন্দ্র। অন্যদিকে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার ঢাকা জাতীয় রাজস্ব খাতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখবে। ভবিষ্যতে প্রায় ৩০ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে।
বাংলাদেশের অর্থনীতি দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। সিঙ্গাপুরের অগ্রযাত্রার সঙ্গে তার তুলনা চলে। এইচএসবিসির সর্বশেষ গ্লোবাল রিসার্চে বলা হয়েছে, বর্তমানে যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে এই ধারা অব্যাহত থাকলে ২০৩০ সালের মধ্যে জিডিপির নিরিখে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের সেই অগ্রযাত্রায় ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার ঢাকা বিশেষ অবদান রাখবে বলে সংশ্লিষ্টদের প্রত্যাশা।
বোরাক রিয়েল এস্টেট ইউনিক গ্রুপের অন্যতম বৃহৎ ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান। শুরু থেকে বোরাক রিয়েল এস্টেট লিমিটেড মানুষের জীবনধারায় নতুন মান ও ধারার সৃষ্টির কাজ করে যাচ্ছে। প্রায় দুই যুগেরও বেশি সময় ধরে রাজধানী ও রাজধানীর বাইরে বিলাসবহুল ও মানসম্মত আবাসিক, বাণিজ্যিক, পাঁচতারকা হোটেল ও ভবন তৈরি করে যাচ্ছে।
ঘরে থাকা ২টি জিনিস দিয়ে তৈরি করুন ফেসপ্যাক, ত্বক হবে রাতারাতি উজ্জ্বল
ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার অ্যাসোসিয়েশনের এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের ভাইস প্রেসিডেন্ট স্কট ওয়াং বলেন, বিশ্বব্যাপী প্রায় ১০০টি দেশে ছড়িয়ে রয়েছে ৩২০টি ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার। এর সঙ্গে সংযুক্ত হতে যাচ্ছে ঢাকা ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।