স্পোর্টস ডেস্ক : কাতার বিশ্বকাপের নিয়ম-নীতি প্রায়ই পরিবর্তন হচ্ছে। স্টেডিয়ামের পাশে বিয়ার কেনার সুযোগ ছিল দর্শকদের। গতকাল সেই সিদ্ধান্তে পরিবর্তন এসেছে। দর্শকরা স্টেডিয়ামে প্রবেশের পথে বিয়ার কিনতে পারবেন না।
এই সিদ্ধান্ত গ্রহণের পর আজ ফিফা সভাপতির আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলন। সাংবাদিকদের প্রশ্ন করার আগেই তিনি এই প্রসঙ্গে বক্তব্য দিয়েছেন, ‘যেসব সিদ্ধান্ত এখন পর্যন্ত হয়েছে সব কিছুই যৌথভাবে। কাতার এবং ফিফা একসঙ্গে একমত হয়েই সব কিছু করছে।’
স্টেডিয়ামের প্রবেশ পথে বিয়ার নিষিদ্ধ হওয়াকে খুব গুরুত্ব দিয়ে দেখছেন না ফিফা সভাপতি, ‘ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে করি তিন ঘন্টা অ্যালকোহল ছাড়া আপনি সারভাইভ করতে পারবেন।’ ইনফান্তিনো এই বক্তব্য দিয়ে বোঝাতে চেয়েছেন ম্যাচের সময় ও আগে বিয়ার গ্রহণ না করলে কেউ মরে যাবেন না !
বিয়ার বা অ্যালকোহল শুধু কাতার নয় ইউরোপেও নিষিদ্ধ এমন উদাহরণ দিয়ে ইনফান্তিনো বলেন,‘ফ্রান্স, স্পেন ও স্কটল্যান্ডেও স্টেডিয়ামে অ্যালকোহল নিষিদ্ধ। এ রকম বিষয় নতুন কিছু নয়।’
ফিফার অন্যতম স্পন্সর একটি বিয়ার কোম্পানি। সেই বিয়ার কোম্পানির অসংখ্য বিয়ার ইতোমধ্যে কাতার এসেছে। কাতারের সিদ্ধান্তের কারণে সেই কোম্পানির ব্যবসায়ে প্রভাব পড়লেও ফিফার সঙ্গে সম্পর্ক অটুট আছে বলে জানান তিনি, ‘আমাদের সঙ্গে যথেষ্ট ভালো সম্পর্ক রয়েছে স্পন্সরের। এটি ভবিষ্যতেও বজায় থাকবে। কোনো সমস্যা হবে না।’
কাতারের মূল্যবোধ ও নিয়মের প্রতি অন্যদের শ্রদ্ধাশীল হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘সবাইকে সব পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে চলতে হবে। একেক জনের একেক মত থাকতে পারে। আমার এক মত, আমার বাবা এখানে নেই, থাকলে তার আরেক মত থাকতে পারত। আমার সন্তানের আরেকমত হতে পারে।’
এই বিশ্বকাপের পর কাতার ও আরব বিশ্বের প্রতি অন্যদের দৃষ্টিভঙ্গি বদলাবে বলেও ধারণা ফিফা সভাপতির, ‘এই বিশ্বকাপের পর অনেকের চোখ খুলবে। কাতার এবং আরব বিশ্বের প্রতি ধারণাও বদলাবে।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।