স্পোর্টস ডেস্ক : আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে আজ বৃহস্পতিবার বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হচ্ছে ইংল্যান্ড-নিউজিল্যান্ড। বাংলাদেশ সময় দুপুর আড়াইটায় ম্যাচটি শুরু হবে। এবারের আসরে অংশ নিচ্ছে ১০টি দেশ। অংশগ্রহণকারী ১০ দেশের নেতৃত্ব দিচ্ছেন ১০ অধিনায়ক। একনজরে দেখে নেওয়া যাক- ১০ অধিনায়কের কার বয়স কত।
ভারতের অধিনায়ক রোহিত শর্মার ৩৬ বছর। ২০০৭ সালে ওয়ানডেতে অভিষেক হলেও এই ফরমেটে অধিনায়ক হিসেবে রোহিত অনেকটাই নবীন। ২০১৭ সালে প্রথমবারের মত ভারতের অধিনায়কত্ব করার সুযোগ পান। ২০২২ সালে বিরাট কোহলির উত্তরসূরি হিসেবে স্থায়ীভাবে তিনি ভারতের অধিনায়ক মনোনীত হন।
পাকিস্তানের অধিনায়ক বাবর আজমের বয়স ২৮ বছর। ওয়ানডে ব্যাটারের বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ স্থানে রয়েছে বাবর আজম। পাকিস্তানের তিন ফর্মেটেই বাবর অধিনায়কত্ব করে থাকেন।
অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক প্যাট কামিন্সের বয়স ৩০ বছর। ফাস্ট বোলার কামিন্স মাত্র ১৮ বছর বয়সে অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট দলে অভিষিক্ত হয়েছিলেন। কিন্তু পিঠের নিয়মিত ইনজুরির কারণে তার ক্যারিয়ার প্রায়ই বাধাগ্রস্ত হয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকায় ২০১৮ সালে বল টেম্পারিংয়ের লজ্জাজনক ঘটনার পর অস্ট্রেলিয়া দলে ক্লিন-কাট ইমেজের খেলোয়াড়ের প্রয়োজন ছিল। কামিন্স অস্ট্রেলিয়া দলে সেই অভাব পূরণ করেছেন। টিম পেইনের স্থানে ২০২১ সালে টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে তিনি দায়িত্ব পান। পরের বছর এ্যারন ফিঞ্চের অবসরের পর ওয়ানডে অধিনায়ক হিসেবেও তার অভিষেক হয়।
দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক টেম্বা বাভুমার ৩৩ বছর। ২০১৬ সালে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্টে সেঞ্চুরি করার মাধ্যমে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম কোনো কৃষ্ণাঙ্গ খেলোয়াড় হিসেবে ইতিহাসের পাতায় নাম লিখিয়েছিলেন বাভুমা। ২০১৬ সালে অভিষেকে আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম সেঞ্চুরি করার পর দ্বিতীয় ওয়ানডে খেলতে তাকে এক বছর অপেক্ষা করতে হয়েছে। ২০১৭ সালের অক্টোবরে দ্বিতীয় ম্যাচে তিনি ৪৮ রান করেছিলেন। এরপর তৃতীয় ম্যাচ খেলতে অপেক্ষায় থাকতে হয়েছে আরও বেশি। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে ডাক পেয়ে খেলেছিলেন ৯৮ রানের ইনিংস। ২০২১ সালের মার্চে ওয়ানডে অধিনায়কের দায়িত্ব পান বাভুমা।
ইংল্যান্ডের অধিনায়ক জশ বাটলারের ৩৩ বছর। বিশ্ব ক্রিকেটে অন্যতম একজন ক্লিন হিটার হিসেবে বাটলার পরিচিত। গত বছর এউইন মরগানের অবসরের পর ইংল্যান্ডের সাদা বলের অধিনায়কের দায়িত্ব পান বাটলার। টি২০ বিশ্বকাপে শিরোপা জয়ের মাধ্যমে অধিনায়ক হিসেবে প্রথম বড় কোনো টুর্নামেন্টের সাফল্য অর্জন করেন। ২০১৫ ওয়ানডে বিশ্বকাপে ছিলেন সহ-অধিনায়ক। তবে চার বছর পর ফাইনালে শিরোপা জয়ে সামনে থেকে ইংল্যান্ডকে নেতৃত্ব দিয়েছেন।
নিউজিল্যান্ডের অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনের বয়স ৩৩ বছর। অনেকেই কেন উইলিয়ামসনকে নিউজিল্যান্ডের অন্যতম সেরা ব্যাটার হিসেবে বিবেচনা করে থাকে। ২০১০ সালে আন্তর্জাতিক অভিষেক হওয়ার পর থেকে উইলিয়ামসন নিউজিল্যান্ডের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। আইপিএলে ফিল্ডিংয়ে হাঁটুর ইনজুরিতে দীর্ঘ ছয় মাস বিশ্রামে থাকার পর গত সপ্তাহে প্রস্তুতি ম্যাচের মাধ্যমে মাঠে ফিরেছেন। বাড়তি সতর্কতা হিসেবে টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচে আজ ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তিনি বিশ্রামে থাকছেন।
শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক দাশুন সানাকার বয়স ৩২ বছর। সংক্ষিপ্ত টেস্ট ক্যারিয়ারে পাঁচ বছরে দাশুন সানাকা মাত্র ছয়টি ম্যাচ খেলেছেন। ২০২১ সাল থেকে তিনি শ্রীলঙ্কার অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করছেন। সম্প্রতি কলম্বোতে ঘরের মাঠে এশিয়া কাপের ফাইনালে ভারতের কাছে ১০ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে পরাজয়ের দু:সহ স্মৃতি থেকে বেরিয়ে এসে বিশ্বকাপে পুরো দলকে উজ্জীবিত করাই এখন সানাকার সামনে মূল চ্যালেঞ্জ।
বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের ৩৬ বছর। ওয়ানডে ক্রিকেটে এই মুহূর্তে শীর্ষ অল রাউন্ডার সাকিবের ১৭ বছরের বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারে রয়েছে ১৪২২০ আন্তর্জাতিক রান। একইসাথে তিন ফরমেট মিলিয়ে দখল করেছেন সর্বমোট ৬৮১ উইকেট। তিন ফর্মেটেই তিনি বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
আফগানিস্তানের অধিনায়ক হাশমাতুল্লাহ শাহিদীর ২৮ বছর। ২০২১ সালের মে মাসে আফগানিস্তানের অধিনায়কের দায়িত্ব পান হাশমাতুল্লাহ। আসগার আফগানের স্থানে অধিনায়কের দায়িত্ব পান তিনি। মাত্র ১৫ মাস দ্বিতীয় মেয়াদে আফগানদের নেতৃত্ব দিয়েছেন আসগার আফগান। আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ড নিয়মিত বিরতিতে অধিনায়ক পরিবর্তন করায় শেষ পর্যন্ত দায়িত্ব এসে পড়ে হাশমাতুল্লাহর ওপর। আসগার প্রথম দায়িত্ব পেয়েছিলেন ২০১৯ বিশ্বকাপে পর। ওই আসরে গুলবাদান নাইমের অধীনে দলের ভরাডুবির পর আসগারকে অধিনায়ক হিসেবে বেছে নেওয়া হয়।
নেদারল্যান্ডের অধিনায়ক স্কট অ্যাডওয়ার্ডসের ২৭ বছর। অস্ট্রেলিয়ায় বেড়ে ওঠা অ্যাডওয়ার্ডস দাদির সুবাদে ডাচ খেলোয়াড় হিসেবে নিজের ক্যারিয়ার এগিয়ে নিয়ে গেছেন। অস্ট্রেলিয়া সেমি-পেশাদার ক্লাবে ক্রিকেট খেলেছেন। ২০১৮ সালে তার নেদারল্যান্ড জাতীয় দলে অভিষেক হয়। চার বছর পর ইংল্যান্ডের বিপক্ষে হোম সিরিজে টানা তিনটি হাফ সেঞ্চুরির ইনিংস উপহার দেন। এ বছর জুনে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে নেদারল্যান্ডের হয়ে সেরা পারফরমার ছিলেন অ্যাডওয়ার্ডস। তার অনবদ্য নৈপুণ্যে বাছাইপর্ব থেকে দুটি স্থানের একটি লাভ করে নেদারল্যান্ড।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।