স্পোর্টস ডেস্ক : প্রথমে অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপ খেলার কথাই ছিল না আর্জেন্টিনার। কারণ তারা কোয়ালিফাই করতে ব্যর্থ হয়েছিল। যার ফলে দলের দায়িত্বও ছেড়ে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন কোচ হ্যাভিয়ের মাসচেরানো। কিন্তু এএফএ কর্তৃপক্ষ তার অব্যাহতি পত্র গ্রহণ করেনি।
কিন্তু যে দলটি বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতাই অর্জন করেনি সে দলটিই এখন বিশ্বকাপের স্বাগতিক। আর এ সম্ভব হয়েছে ফিফা ইন্দোনেশিয়া থেকে টুর্নামেন্টের আয়োজক সত্ত্ব কেড়ে নেয়ায়। ঘটনার সংক্ষিপ্ত হলো ইসরায়েল বিশ্বকাপে অংশ নেয়ায় ইন্দোনেশিয়ায় বিক্ষোভ শুরু হয়ে যায়। ফলে ফিফা বড় কোনো ঝামেলা থেকে বাঁচতে সেখান থেকে টুর্নামেন্ট সরিয়ে নিয়ে আসে। আর সুযোগটা কাজে লাগায় আর্জেন্টিনা।
অন্যকোনো দেশ আয়োজক হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ না করায় শেষ পর্যন্ত ফিফা অনূর্ধ্ব-২০ ফিফা বিশ্বকাপের আয়োজক দেশ হিসেবে আর্জেন্টিনার নাম ঘোষণা করে। চলতি বছরের ২০ মে থেকে ১১ জুন পর্যন্ত টুর্নামেন্টটি চলবে।
🏆 The stage is set. Which nation will lift the FIFA #U20WC trophy?
— FIFA World Cup (@FIFAWorldCup) April 21, 2023
সে হিসেবে আজ শনিবার (২২ এপ্রিল) সুইজারল্যান্ডের জুরিখে ফিফার সদর দপ্তরে বিশ্বকাপের ড্র অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে আয়োজক আর্জেন্টিনা রয়েছে গ্রুপ ‘এ’ তে। মেসিদের উত্তরসূরীদের গ্রুপপর্বের বাকি তিন প্রতিপক্ষ হচ্ছে উজবেকিস্তান, গুয়েতমালা ও নিউজিল্যান্ড।
অন্যদিকে, লাতিন আমেরিকার আরেক শক্তিশালী ব্রাজিল পড়েছে গ্রুপ ‘ডি’তে। যেখানে তাদের প্রতিপক্ষ ইতালি, নাইজেরিয়া ও ডমিনিকান রিপাবলিক। ছয় গ্রুপে ভাগ হয়ে মোট ২৪টি দল লড়বে অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপে।
টুর্নামেন্টটির ইতিহাসে সফলতম দল আর্জেন্টিনা। এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ ছয়বার অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপের শিরোপা জিতেছে তারা। সর্বশেষ ২০০৭ সালে। এর আগে ২০০১ সালে আর্জেন্টিনার মাটিতে আন্ডার টুয়েন্টি বিশ্বকাপের আসর বসেছিল।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।