বিশ্বের সবচেয়ে বড় কৃষ্ণগহ্বরের সন্ধান পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। এর ভর সূর্যের ভরের ৩৬ গুন। এটি পৃথিবী থেকে প্রায় ৫০০ কোটি (৫ বিলিয়ন) আলোকবর্ষ দূরে, ‘কসমিক হর্সশু’ নামের এক বিশাল ছায়াপথের কেন্দ্রে অবস্থিত।
ছায়াপথটির চারপাশে ঘোড়ার নালের মতো আলোর বলয় দেখা যায় যা মহাকর্ষীয় লেন্সিং (একটি জ্যোতির্বৈজ্ঞানিক প্রক্রিয়া যেখানে মহাকর্ষ আলোর পথ বাঁকিয়ে দেয়) এর ফলে তৈরি হয়।
গবেষকদের মতে, এই কৃষ্ণগহ্বরের আকার মহাবিশ্বের ধারণা করা সর্বোচ্চ সীমার কাছাকাছি। এটি আমাদের মিল্কিওয়ে ছায়াপথের কেন্দ্রের কৃষ্ণগহ্বর স্যাজিটারিয়াস এ–এর চেয়ে প্রায় ১০ হাজার গুণ ভারী। স্যাজিটারিয়াস এ-এর ভর প্রায় ৪১.৫ লাখ (৪.১৫ মিলিয়ন) সূর্যের সমান।
গবেষণায় নেতৃত্ব দেওয়া যুক্তরাজ্যের পোর্টসমাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক থমাস কোলেট বলেন, ভরের নিরূপণে নতুন পদ্ধতি ব্যবহারের ফলে তারা এ কৃষ্ণগহ্বরের আকার নিয়ে অন্যদের তুলনায় অনেক বেশি নিশ্চিত হতে পেরেছেন। এই পদ্ধতিতে মহাকর্ষীয় লেন্সিংয়ের সঙ্গে নক্ষত্র গতিবিদ্যা (গ্যালাক্সির ভেতরে নক্ষত্রের গতি ও কৃষ্ণগহ্বরের চারপাশে তাদের চলাচল পর্যবেক্ষণ) মিলিয়ে তথ্য বিশ্লেষণ করা হয়।
বিশাল এই কৃষ্ণগহ্বরকে ‘নিষ্ক্রিয়’ বা ডরম্যান্ট বলা হচ্ছে। কারণ, এটি বর্তমানে আশপাশের বস্তু শোষণ করছে না। আমাদের স্যাজিটারিয়াসও একইভাবে নিষ্ক্রিয় কৃষ্ণগহ্বর।
বিজ্ঞানীরা মনে করেন, মহাবিশ্বের প্রতিটি ছায়াপথের কেন্দ্রে একটি সুপারম্যাসিভ কৃষ্ণগহ্বর থাকে এবং বড় ছায়াপথগুলোতে তুলনামূলকভাবে বড় কৃষ্ণগহ্বর অবস্থান করে। তবে এসবের উৎপত্তি নিয়ে এখনো নিশ্চিত প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।