লাইফস্টাইল ডেস্ক : সকালে চায়ের কাপে মুখ দিতে না দিতেই ঠোঁটের ভিতর একটা অদ্ভুত অস্বস্তি, জ্বালা জ্বালা ভাব। জিভ ঠেকাতেই বোঝা গেল কেমন কেমন একটা ফোসকা, ছাল ওঠা ভাব। শীতের মরশুমে সর্দি ঠান্ডা লাগার সময় অনেকেই ভোগেন এই মুখের ঘা বা আলসার নিয়ে। অনেক সময় আবার ঠোঁটে বা গালে কামড় পড়লেও হয় একই হাল। দাঁতের জন্য আঘাত লাগে যে জায়গায় সেখানে ঘা হয়ে যায়।
এই ঘায়ের কারণে মশলা দেওয়া খাবার তো নয়ই, এমনকী স্বস্তিতে চা কফি পর্যন্ত খাওয়া যায় না। দাঁত মাজতে গেলেও লাগে খোঁচা। অদ্ভুত বিরক্তিকর এই সমস্যার উপযুক্ত সমাধান আছে আর্য়ুবেদে। এছাড়া মা-ঠাকুমাদের টোটকাতেই জব্দ হয় মুখের আলসার।
মুখের এই ঘা খুবই অস্বস্তির। সাধারণ গালের ভিতরে, ঠোঁটের ভিতরে ও মাড়িতে এধরনের সমস্যা হয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শুধু আঘাত বা ঠান্ডা লাগার কারণেই নয়, ভিটামিন সি-এর ঘাটতিতেও এধরনের সমস্যা হয়। কিছু ঘরোয়া উপায়ে চটজলদি হতে পারে এ সমস্যার সমাধান।
মুখের এই অস্বস্তিকর ঘায়ের হাত থেকে মুক্তি দিতে পারে রান্নাঘরে থাকে এই জরুরি জিনিস। মা ঠাকুমারা এমন ঘা হলে বলতেন হালকা গরম জলে নুন মিশিয়ে ভালো করে কুলকুচি করতে। নুনে রয়েছে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল গুণ। কুলকুচি করলে মুখের ভিতরের ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়াগুলো নির্মূল হয়। দিনে দুবার এটা করলেই কমবে জ্বালা। কয়েকদিনের মধ্যে পুরোপুরি সেরে যাবে ঘা।
প্রসঙ্গত, অনেকে আবার বলেন, নুনের বদলে বেকিং সোডা মিশিয়ে কুলকুচি করলেও একই ফল মিলবে
মুখের আলসারে জ্বলুনিই বেশি কষ্ট দেয়। সেক্ষেত্রে মিছরি ও এলাচ গুড়ো করে ওই মিশ্রণ ঘায়ের উপর লাগিয়ে দিলে ঠান্ডা বোধ হবে এতে কমবে ঘাও।
মা ঠাকুমারা বলেন, র চা অর্থাৎ লিকার চাও জ্বলুনি দূর করে ঘা সারায়। যদিও এই শীতে গরম চা ঢকঢক করে খেয়ে নিলে আলসারের সমস্যা সারানো যাবে না। বরং চা টি ঠান্ডা হলে, ওই তরল হাতে করে নিয়ে ঘায়ের উপর লাগালে সারবে তাড়াতাড়ি।
মুখের ঘায়ে দারুণ উপকারী মধু। ঠান্ডা ও জ্বালা ভাব কমাতে দারুণ কাজ দেয়। মধুতে থাকা অ্যান্টি-মাইক্রোবায়াল উপাদান জ্বালা কমায়। এছাড়া মুখে লবঙ্গ রাখলেও উপশম হয়। লবঙ্গের অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান মুখে ব্যাকটেরিয়া ও জার্মসের বাড়বাড়ন্তকে রুখে দেয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।