আন্তর্জাতিক ডেস্ক : আজই ব্রিটেনের রাজা হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে শপথ নিয়েছেন তৃতীয় চার্লস। সে নিয়ে গোটা যুক্তরাজ্য জুড়েই সাজসাজ রব। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নেতারা অংশ নিয়েছেন সেই জমকালো আয়োজনে।
এই উৎসবের রেশ ছড়িয়ে পড়েছে দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশ ভানুয়াতুর একটি প্রত্যন্ত অঞ্চলেও। সেখানকার আদিবাসীরাও রাজাকে বরণের করেছেন তাদের মতো করে।
ভানুয়াতুর তান্না দ্বীপের দুইটি গ্রামের বাসিন্দারা তাদের রীতিতে নেচেগেয়ে ব্রিটিশ রাজাকে বরণ করে নিয়েছেন। তার সম্মানে শুকর শাবকও বলি দিয়েছেন। তারা মনে করেন চার্লস ঈশ্বরের পুত্র। চার্লসের পিতা প্রিন্স ফিলিপকে তারা ঈশ্বর হিসেবে বিবেচনা করেন।
গত কয়েক দশক ধরেই ওই দুই গ্রামের বাসিন্দারা প্রিন্স ফিলিপের উপাসনা করে আসছেন। তাদের বিশ্বাস তান্না দ্বীপে জন্ম নেওয়া ফিলিপ বিশ্ব ভ্রমণে বেরিয়ে বিশ্বের অন্যতম ক্ষমতাধর নারী রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথকে বিয়ে করেন।
১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ ও প্রিন্স ফিলিপ প্রথমবার ওই দ্বীপ সফর করেন। সেই সফর ঘিরে এই আদিবাসীদের পুরনো বিশ্বাস আরও গাঢ় হয়।
শনিবার রাজার অভিষেক উপলক্ষে ওই আদিবাসীদের হাতে রাজা চার্লসের একটি প্রতিকৃতি তুলে দেয় ব্রিটিশ হাইকমিশন।
আদিবাসী গোষ্ঠীটির প্রধান ২০২১ সালে বলেছিলেন, ‘প্রিন্স ফিলিপের পরিবার, তান্নার পরিবার।’ তারা চার্লসকে নিজেদের একজন বলেই মনে করেন।
সূত্র: এনডিটিভি
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।