সাইফুল ইসলাম, মানিকগঞ্জ : মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার গড়পাড়া ইউনিয়নের ভারপাপ্ত চেয়ারম্যান দেওয়ান মাসুদ রানার বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত জবানবন্দি দিয়েছেন চার ইউপি সদস্য।
গত সোমবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে লিখিত জবানবন্দির নথি জমা দেন ওই চার ইউপি সদস্য।
লিখিত জবানবন্দি দেওয়া ইউপি সদস্যরা হলেন- ৪, ৫ ও ৬ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত সদস্য মায়া রাণী দাস, ৭, ৮ ও ৯নং ওয়র্ডের সংরক্ষিত সদস্য মমতাজ বেগম, ৯নং ওয়ার্ড সদস্য মো. আলাল হোসেন ও ৭নং ওয়ার্ড সদস্য আতোয়ার হোসেন।
ওই চার ইউপি সদস্য লিখিত জবানবন্দিতে উল্লেখ করেন, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেওয়ান মাসুদ রানার বিরুদ্ধে উঠা অভিযোগ সত্য। তিনি ১% প্রকল্পের আসবাবপত্র প্রকল্পে ভিজিটর চেয়ার ক্রয় না করে অর্থ আত্মসাৎ করেছেন এবং ১% এ দুই লক্ষ টাকার খন্ড খন্ড প্রকল্পে ঠিকমত কাজ করেননি। কিছু প্রকল্পের টাকা এখনও পরিশোধ করেননি। ট্যাক্সের পঞ্চাশ হাজার টাকা ধারের কথা বলে নিয়ে পরবর্তীতে ফেরত দিয়েছে। যা অর্থ আত্মসাতের শামিল।
এছাড়া, গত ঈদ উল ফিতরে ইউনিয়নের গরিব অসহায়দের জন্য বরাদ্দ প্রাপ্ত ১৫০টি শাড়ী থেকে প্রত্যেক সদস্যকে ৪-৫টি করে দিয়ে বাকী গুলো নিজের মত করে বিতরণ করেছেন। যা অনিয়মের শামিল।
জবানবন্দিতে তারা আরো লেখেন, সদস্য নির্বাচিত হওযার পর আদায়কৃত ২ বছরের ট্রাক্সের টাকা থেকে এক লক্ষ আশি হাজার চারশত পঁচাত্তর টাকা সম্মানী ভাতায় স্বাক্ষর করে নিয়েছেন। যা ওই সময় অগ্রিম হিসাবে গ্রহণ করেন। পরবর্তীতে আরো টাকা অগ্রিম গ্রহণ করে যা আর্থিক নিয়মের পরিপন্থী।
লিখিত জবানবন্দিতে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মাসুদ রানার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের প্রেক্ষিতে তার অপসারণ দাবি করেন ইউপি সদস্যরা।
এ বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেওয়ান মাসুদ রানা বলেন, আমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ করা হয়েছে সেগুলো ভিত্তিহীন। আমি ষড়যন্তের শিকার। আমিও লিখিত ব্যাখ্যা দিয়েছি।
এ বিষয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মেজবা-উল-সাবেরীনের মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিয়েও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।