আন্তর্জাতিক ডেস্ক : জোহানেসবার্গে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সাথে সংক্ষিপ্ত বৈঠক হলো ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। সংক্ষিপ্ত বৈঠকে মোদি প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা নিয়ে ভারতের উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন। পররাষ্ট্র সচিব বিনয় কোয়াত্রা জানিয়েছেন, ‘মোদি বলেছেন যে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার ক্ষেত্রে যে সব বিষয়ে এখনো বিতর্ক আছে, তা দ্রুত মিটিয়ে ফেলা উচিত।’ খবর ডয়চে ভেলের
কোয়াত্রা আরো জানিয়েছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেছেন যে সীমান্ত এলাকায় শান্তি বজায় রাখাটা খুবই জরুরি। ভারত-চীন সম্পর্ক তখনই স্বাভাবিক হবে, যখন প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে। দুই নেতাই একটা বিষয়ে একমত হয়েছেন। সেটা হলো তারা নিজেদের দেশে এই বিষয়ের সাথে জড়িত কর্মকর্তাদের বলবেন যে তারা যেন দ্রুত উত্তেজনা কম করার জন্য পদক্ষেপ নেন।’
মোদি ও শি জিনপিং ব্রিকসের মঞ্চে হাত মেলান এবং অভিবাদন জানান। তখনো তারা কিছুক্ষণ কথা বলেন। পরে দুই নেতার বৈঠক হয়।
আর সপ্তাহ দুয়েক পরেই দিল্লিতে জি-২০ সম্মেলনে যোগ দিতে আসছেন শি জিনপিং। তার আগে মোদির সাথে তার এই কথপোকথন ছিল খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। লাদাখকাণ্ডের পর এই প্রথমবার দুই নেতার মুখোমুখি বৈঠক হলো। চীন অবশ্য দাবি করেছে, ভারতই বৈঠকের অনুরোধ করেছিল।
গত নভেম্বরে বালিতে জি-২০ ডিনারে দুই নেতা হাত মিলিয়েছিলেন এবং হেসেছিলেন। সেখানেও দুই নেতার মধ্যে সামান্য কথাবার্তা হয়েছিল।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেছেন, শি জিনপিং ও মোদির কথপোকথন ছিল খোলামেলা এবং তারা ভারত-চীন সম্পর্ক নিয়ে গভীর আলোচনা করেছেন।
দুবাই থেকে শিখে শুরু করেন জমি ছাড়াই চাষবাস, এখন বছরে আয় ৭০ লাখ টাকা
প্রেসিডেন্ট শি বলেছেন, ভারত ও চীনের মধ্যে সম্পর্ক ভালো হওয়ার অর্থ হলো দু’দেশের ও মানুষের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো গুরুত্ব পাওয়া এবং এই অঞ্চলে ও বিশ্বে শান্তি, স্থিতিশীলতা ও উন্নয়নের উপযোগী পরিবেশ তৈরি হওয়া। দু’দেশকেই সামগ্রিক স্বার্থের কথা মাথায় রাখতে হবে। সীমান্ত সমস্যার ঠিকভাবে মোকাবিলা করতে হবে। দু’দেশকেই সীমান্ত অঞ্চলে শান্তি বজায় রাখতে হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।