বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক : Xiaomi 11T Pro এবং শাওমি Xiaomi Redmi K50 উভয় ফোনগুলো একটি জনপ্রিয় নাম । মোবাইলগুলো বেশ ফিচার সম্পন্ন এবং মূল্য হাতের নাগালে থাকার কারণে অনেকের সাধ্যের মধ্যে একটি ভালো ফোন ক্রয় করতে সক্ষম হবে। মূল্যে তারতম্য বেশি রয়েছে বলে এর ফিচার আলাদা দেওয়া হয়েছে। তো চলুন তুলনা করা যাক মোবাইল দুটির মধ্যে ।
Xiaomi 11T Pro এতে থাকছে ৬.৬৭ ইঞ্চির ফুল এইচডি প্লাস রেজুলেশনের একটি আইপিএস এলসিডি প্যানেলের ডিসপ্লে। এর এসপেক্ট রেশিও হলো ২০:৯। এর রেজুলেশন হলো ১০৮০*২৪৬০ পিক্সেল এর। এই ফোনটির পিপিআই ডেনসিটি হল ৪০৩। এর রিফ্রেশ রেট হচ্ছে ১৪৪।এছাড়াও এতে রয়েছে ডুয়াল সিম ব্যবহারের সুবিধা।
Xiaomi Redmi K50 এতে থাকছে ৬.৬৯ ইঞ্চির ফুল এইচডি প্লাস রেজুলেশনের একটি সুপার এমোলেড ডিসপ্লে। এর এসপেক্ট রেশিও হলো ২০:৯। এর রেজুলেশন হলো ১০৮০*২৪৬০ পিক্সেল এর। এই ফোনটির পিপিআই ডেনসিটি হল ৪০২। এর বডি ডাইমেনশন হচ্ছে ১৬৩.৫*৭৬.৫*৭.৮ মিলিমিটার এর। এর ওজন হচ্ছে ১৯৯ গ্রাম। এছাড়াও এতে রয়েছে ডুয়াল সিম ব্যবহারের সুবিধা।
Xiaomi 11T Pro অপারেটিং সিস্টেম হিসেবে থাকছে অ্যান্ড্রয়েড ১১। চিপসেট হিসেবে এতে থাকছে কোয়ালকম স্ন্যাপড্রাগন ৮৭০ যা একটি অক্টাকোর প্রসেসর। ফোনটি পাওয়া যাচ্ছে মাত্র একটি ভেরিয়েন্ট। এটি হল ১২৮ জিবি ইন্টারনাল স্টোরেজে সাথে ৮ জিবি রেম ।
Xiaomi Redmi K50 অপারেটিং সিস্টেম হিসেবে থাকছে অ্যান্ড্রয়েড ১১। চিপসেট হিসেবে এতে থাকছে কোয়ালকম স্ন্যাপড্রাগন ৮৭০ যা ৮ ন্যানোমিটার আর্কিটেকচারে তৈরি করা একটি কয়াট কোর প্রসেসর। জিপিইউ হিসেবে এতে থাকছে অ্যাড্রিনো ৬৫০। ফোনটি পাওয়া যাচ্ছে মাত্র একটি ভেরিয়েন্ট। এটি হল ১২৮ জিবি ইন্টারনাল স্টোরেজে সাথে ৬ জিবি রেম ।
Xiaomi 11T Pro এই ফোনের ব্যাক সাইডে থাকছে ১০৮ মেগা পিক্সেলের মেইন সেন্সর ক্যামেরা,১৩ মেগাপিক্সেল একটি আল্ট্রা ওয়াইড অ্যাঙ্গেল ক্যামেরা,৫ মেগাপিক্সেলের একটি ম্যাক্রো সেনসর ক্যামেরা। আর সেলফি ক্যামেরা হিসেবে থাকছে ২০ মেগাপিক্সেল এর একটি ক্যামেরা। Xiaomi 11T Pro এই ফোনটির মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে বাংলাদেশি টাকায় ৩৮০০০ টাকা।
Xiaomi Redmi K50 এই ফোনের ব্যাক সাইডে থাকছে ৬৪ মেগা পিক্সেলের মেইন সেন্সর ক্যামেরা,৮ মেগাপিক্সেল একটি আল্ট্রা ওয়াইড অ্যাঙ্গেল ক্যামেরা,৫ মেগাপিক্সেলের একটি ম্যাক্রো সেনসর ক্যামেরা। আর সেলফি ক্যামেরা হিসেবে থাকছে ১৬মেগাপিক্সেল এর একটি ক্যামেরা। Xiaomi Redmi K50 এই ফোনটির মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে বাংলাদেশি টাকায় ৩০০০০ টাকা।
এখানে ফোন দুটির স্পেসিফিকেশন দেখে বোঝা যাচ্ছে যে দুটি ফোনই উন্নত মানের। তবে Xiaomi 11T Pro ফোনটিতে ক্যামেরা সেটআপ এবং হার্ডওয়ার এর ফিচারগুলো বেশি উন্নত মানের।তাই সার্বিকভাবে এই ফোনটা আমার কাছে বেশি ভালো লেগেছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।