মার্কিন টেক জায়ান্ট অ্যাপলের আইকারের ঘোষণার পর এবার চীনা স্মার্টফোন জায়ান্ট ঘোষণা দিয়েছে বৈদ্যুতিক গাড়ি আনার।
ইলেকট্রিক গাড়ি নির্মাণের প্রতিযোগিতায় নেমেছে টেকনোলজি প্রতিষ্ঠানগুলো। ইলেকট্রিকের পাশাপাশি স্মার্টগাড়ি বাজারে আনার ঘোষণা দিয়েছে অ্যাপল। বাজারে আই কার আনার কাজ করছে মার্কিন টেক জায়ান্টটি। এবার এ প্রতিযোগিতায় নামছে চীনা স্মার্ট-ফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান শাওমি। তারা ঘোষণা দিয়েছে, আগামী ১০ বছরে বৈদ্যুতিক গাড়ি তৈরিতে ১ হাজার কোটি ডলার বিনিয়োগ করবে।
শাওমি কর্তৃপক্ষ বলছে, ক্রেতাদের মানসম্মত Xiaomi EV উপহার দিতে চায় তারা। বর্তমানে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম স্মার্টফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান শাওমি। অ্যাপল আর স্যামসাংয়ের পরই এই ব্র্যান্ডের শক্ত অবস্থান স্মার্টফোনের বাজারে। এবার বৈদ্যুতিক গাড়ির প্রতিযোগিতায় সবার আগে টেক্কা দিতে হবে অ্যাপল আর হুয়াওয়েকে। শাওমি কর্তৃপক্ষ বলছে, ইলেকট্রিক গাড়ির বাজারে প্রবেশ করা খুব সহজ হবে না।
এক বার্তায় শাওমির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা লি জুন বলেন, কোম্পানির সবার সাথে আলোচনা করেই এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তিনি জানান, এই উদ্যোগটি তার জীবনের সবচেয়ে বড় এবং শেষ উদ্যোগ। তবে কবে নাগাদ বৈদ্যুতিক গাড়ি তৈরি শুরু হবে, কোথায় হবে প্ল্যান্ট আর দাম কেমন হবে, তা নিয়ে এখনো বিস্তারিত কিছু জানায়নি শাওমি কর্তৃপক্ষ।
বিশ্বের বৈদ্যুতিক গাড়ির বাজারে প্রবেশ করতে আর কোম্পানির শেয়ার কিনতে একশ’র মতো চীনা কোম্পানি প্রতিযোগিতায় আছে। চীনের বৃহত্তম গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান গিলি তৈরি করেছে জিকর ব্র্যান্ডের মিনি Xiaomi EV। দাম সাড়ে ৪ হাজার ডলার। বিদেশি গাগি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলোও চীনের বাজার ধরতে তৎপর। সাংহাইয়ের কারখানা থেকে মডেল ওয়াই চীনে সরবরাহ করছে বিশ্বখ্যাত বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টেসলা। ফোর্ডও মুস্তাং মডেলের বৈদ্যুতিক ভার্সন চীনের জন্য বানানোর পরিকল্পনা করছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের তৈরি গাড়ি
চীনের অন্যান্য প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান বৈদ্যুতিক গাড়ি তৈরিতে আগ্রহ দেখাচ্ছে। সার্চ ইঞ্জিন বাইদু জানুয়ারিতে ঘোষণা দিয়েছে বৈদ্যুতিক গাড়ি তৈরির। অনলাইন জায়ান্ট আলিবাবা চীনা গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান সাইকের সাথে যৌথ উদ্যোগে বৈদ্যুতিক গাড়ি তৈরি করেছে। গবেষণা বলছে, ২০২৫ সালে সারা বিশ্বে যে পরিমাণ বৈদ্যুতিক গাড়ি বিক্রি হবে, তার ২০ শতাংশই হবে চীনে।
এদিকে, শাওমির দ্বিতীয় গাড়ি সংস্থার নাম রাখা হয়েছে, শাওমি অটোমোবাইল টেকনোলজি কোম্পানি লিমিটেড (Xiaomi EV Company Limited)।নথিভুক্তির সময় নতুন এই শাখার মূলধন ১ বিলিয়ন ইউয়ান হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে, ভারতীয় মুদ্রায় যা ১,১৬৩ কোটি টাকার বেশি।
এখন পর্যন্ত যা জানা গেছে, শাওমির প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও লেই জুন (Lei Jun) সম্প্রতি বলেছিলেন, ২০২৪ সালের প্রথমার্ধে তারা বৈদ্যুতিক গাড়ির গণউৎপাদন শুরু করবে। শাওমি কিছু না জানালেও সংস্থার প্রথম Xiaomi EV তে সেল্ফ-ড্রাইভিং ফিচার দেখা যেতে পারে। কারণ অগাস্টে ডিপমোশান (Deepmotion) বলে এক ড্রাইভার অ্যাসিট্যান্স সফটওয়্যার প্রস্তুতকারী স্টার্টআপকে কিনে নেয় তারা। অর্থাৎ স্মার্টফোনের মতো বৈদ্যুতিক গাড়ির ব্যবসায় যাতে সাফল্য পাওয়া যায়, সে জন্য সুচিন্তিত পদক্ষেপ ধরেই এগোচ্ছে শাওমি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।