আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মাঝে মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনা বাড়লেও পরমাণু শক্তিধর হওয়ার গত কয়েক দশকে মুখোমুখি হয়নি দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারত ও পাকিস্তান। তবে সম্প্রতি সময়ে তাদের মধ্যে উত্তেজনা বেড়েছে। বাড়ছে যুদ্ধের সম্ভাবনাও।
এখন রীতিমত যুদ্ধে তারখই ঘোষণা দিয়েছেন পাকিস্তান এক মন্ত্রী। দেশটির রেলমন্ত্রী শেখ রসিদ আহমেদের আগাম ঘোষণা, আগামী অক্টোবরেই নাকি ভারতের সঙ্গে যুদ্ধে হবে পাকিস্তানের।
শেখ রসিদ আহমেদ বলেন, ‘ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধ লাগবে। অক্টোবর বা তার পরেই যুদ্ধ হবে।’
সংবাদ সংস্থা এএনআই-এ প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের সংবাদ মাধ্যমও দাবি করছে, রসিদ আহমেদ এই কথা বলেছেন।
উল্লেখ্য, গত ৫ আগস্ট একতরফা ভাবে জম্মু-কাশ্মিরের স্বায়ত্তশাসনসহ বিশেষ সাংবিধানিক অধিকার বাতিল করে দুই ভাগ করে নাদালকে বিচ্ছিন্ন করে নরেন্দ্র মোদি শাসিত কেন্দ্রীয় সরকার। সংবিধানের ৩৭০ ও ৩৫-এ অনুচ্ছেদ বাতিলের পর রাজ্য জুরে কারফিউ জারি করা হয়।
রাস্তাঘাট, দোকানপাট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, অফিস আদালত, ইন্টারনেট, টেলিফোন সেবা বন্ধ করে দেয়া হয়। হাজার হাজার সেনা মোতায়েন করা হয়। পথে পথে টহল দিচ্ছে পুলিশ, সেনাবাহিনী ও প্যারামিলিটারির গাড়ি। কাঁটাতার আর ব্যারিকেড ফেলে বন্ধ করা হয় সব রাস্তাঘাট। নিষিদ্ধ করা হয় বিক্ষোভ-সমাবেশ।
কাশ্মিরি হাজার হাজার নেতাদের গ্রেফতার ও গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছে। দুই-তিন জনকে এক সাথে দেখলে গ্রেফতার করা হচ্ছে। বাড়ি বাড়ি থেকে যুবকদের তুলে নিয়ে যাচ্ছে ভারতীয় বাহিনী। পুরো রাজ্যটা যেন কারাগারে পরিণত করা হয়েছে। মূলত কাশ্মীরকে বাকি বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন করে রেখেছে ভারত সরকার।
সংবিধানের ৩৭০ ধারায় জম্মু-কাশ্মীরকে বিশেষ মর্যাদা দেয়া হয়েছিল। পররাষ্ট্র, যোগাযোগ ও প্রতিরক্ষা ছাড়া বাকি সব ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা ওই রাজ্যকে দেয়া হয়েছিল। তাদের আলাদা পতাকা ছিল। মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। ছিল সংবিধান। কালে কালে সব হারিয়ে অবশিষ্ট ছিল সাংবিধানিক ধারা ও কিছু বিশেষ ক্ষমতা। এবার তাও বাতিল করা হলো। অনেকটা ফিলিস্তিনিদের ওপর দখলদার ইহুদিবাদী বন্ধুরাষ্ট্র ইসরায়েলের পথ বেছে নিয়েছে ভারত।
প্রতিবেশী পাকিস্তান এর তীব্র সমালোচনা করছে। প্রতিশোধমূলক ব্যবস্থা হিসেবে ইমরান খানের সরকার ভারতের সঙ্গে বাণিজ্যিক-সাংস্কৃতিক সম্পর্ক ছেদ করার পাশাপাশি ইসলামাবাদ থেকে ভারতীয় হাইকমিশনারকে বহিষ্কার করে এবং দিল্লি থেকে নিজেদের রাষ্ট্রদূতকে ফিরিয়ে নেয়। এই ইস্যুতে তাদের মধ্যে যুদ্ধ পরিস্থিতি বিরাজ করছে। বিষয়টি নিয়ে আন্তর্জাতিক আদালতে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে পাকিস্তান।
Own the headlines. Follow now- Zoom Bangla Google News, Twitter(X), Facebook, Telegram and Subscribe to Our Youtube Channel