বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক : সত্যিই কি এলিয়ন বলে কিছু আছে? আধুনিক যুগে বোধহয় সেই আলোচনাই বহু বিজ্ঞানপ্রেমীদের সবথেকে সেরা পাসটাইম! যদিও বিষয়টি বৈজ্ঞানিক মহলের কাছে বিবেচনার জন্য অত্যন্তই গুরুত্বপূর্ণ। বিভিন্ন সময় আমাদের কাছে বিভিন্ন তথ্য আসতে থাকে, যেখানে দাবি করা হয় ভিনগ্রহীদের সম্পর্কে উল্লেখযোগ্য কিছু তথ্য।
কখনও-কখনও তা কারও কাছে হাস্যকর ঠেকে, কখনও আবার কেউ তার সিরিয়াস ব্যাখ্যা খুঁজতেও বসে যান। তবে সিরিয়াস হোক বা হোক সে হাস্যকর, যা রটে তার কিছুটা তো বটে। এবার এক অদ্ভুত রঙের ইটের সন্ধান মিলল, যা নিয়ে বিজ্ঞানীমহলে রীতিমতো হইহই রব পড়ে গিয়েছে।
সমুদ্র থেকে ৩০০০ মিটার নীচে ‘হলদে ইটের রাস্তা’-র সন্ধান মিলেছিল। আটলান্টিসের কাছে এই রাস্তা খুঁজে পেয়েছিলেন ইউরাল ফেডারেল ইউনিভার্সিটি (ইউআরএফইউ) এবং ইউনিভার্সিটি অফ টিউবিনজেন (জার্মানি) এর গবেষকরা। সমুদ্র অনুসন্ধানকারী ভেসেল নটিলাস জলতলের এই অদ্ভুত হলদে রঙের রাস্তায় সর্বপ্রথম ধাক্কা খেয়েছিল। ওই জাহাজটি প্রশান্ত মহাসাগরের হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জের ঠিক উত্তরে একটি গভীর সি রিজ অন্বেষণ করছিল। নটিলাস নামক ওই ভেসেলটি যখন পাপাহানাউমোকুয়াকে মেরিন ন্যাশনাল মনুমেন্ট (PMNM) এর মধ্যে Liliʻuokalani রিজ সার্ভে করছিল, তখনই পরিলক্ষিত হয়েছিল ইটের রাস্তাটি।
PMNM হল একটি বিশাল সামুদ্রিক সংরক্ষণ এলাকা, বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম। PMNM এতটাই বড় যে, তার মোট আয়তন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সমস্ত জাতীয় উদ্যানের থেকেও বেশি। নটিলাস যখন ওই হলুদ রঙের এই রাস্তায় হোঁচট খেয়েছিল, তখন গবেষকদের মধ্যে একপ্রকার চেয়ার থেকে লাফিয়ে ওঠার উপক্রম হয়েছিল। আর তা যে হওয়ারই কথা। কারণ, সমুদ্রের এতটা নীচে উদ্ভট হলুদ রঙের রাস্তার সন্ধানের অনুমান কে-ই বা করে থাকেন। নতুন রাস্তা সন্ধান করার পর গবেষকদের অবস্থাটা কেমন হয়েছিল, তার মালুম চলবে তাঁদের কথোপকথন শুনলেই।
একজন গবেষক বললেন, “আতলান্তিস যাওয়ার এটাই রাস্তা।” আর একটা কণ্ঠে শোনা গেল, “এটা হলুদ ইটের রাস্তা।” অন্য একজন যোগ করলেন, “সত্যিই কী অদ্ভুত।” বিস্ময়-মাখা গলায় তাঁর আরও প্রশ্ন, “তুমি কি আমার সঙ্গে মজা করছ? অবাক হয়ে যাচ্ছি আমি!” তবে এই কথোপকথনের থেকেও মজাদার বিষয়টি হল অদ্ভুত ওই হলুদ রাস্তা দেখার মুহূর্ত কেমন ছিল, তা এখন ইউটিউবে সকলে দেখতে পাবেন।
এলিয়েনদের যাতায়াতের পথ বা অন্য কিছু বিরাট অন্বেষণের কথা ভেবে যাঁরা এখনও মাথা চুলকাচ্ছেন, তাঁদের এবার হয়তো একটু হতাশই হতে হবে। আসলে, আগ্নেয়গিরির পাথরে ফাটলের ফলে এই ধরনের হলুদ ইটের রাস্তা তৈরি হয়। ইউটিউব ভিডিয়োটির ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, “এই ৯০ ডিগ্রি ফ্র্যাকচারগুলি সম্ভবত আগ্নেয়গিরির শিলায় উত্তাপ এবং শীতলতা থেকে সৃষ্ট চাপের কারণে তৈরি হয়েছে।” দূর থেকে এই ফ্র্যাকচারগুলিকেই মনে হচ্ছে ইট, যা একদমই নয়।
অর্থাৎ, এমনটা ভাবার কোনও কারণ নেই যে হলদে ইটের রাস্তাটি এলিয়েনদের যাত্রাপথ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।