জুমবাংলা ডেস্ক : মাঘের শেষ আর ফাল্গুনের শুরুতে প্রকৃতিতে শোভা পায় শিমুল ফুল। শিমুল ফুলের রঙ গাঢ় লাল। কখনও ফিকে লাল রঙের ফুলও দেখা যায়। বেশিরভাগ জায়গায় শুধু লাল রঙের শিমুল দেখা গেলেও এবার সন্ধান মিলল হলুদ শিমুলের। নাটোরের গুরুদাসপুরের নাজিরপুর ইউনিয়নের কারিগর পাড়া মহল্লার একটি বাড়িতে মাঝারি উচ্চতার একটি হলুদ শিমুল গাছ আছে। দূর থেকেই ফুলে সজ্জিত গাছটি নজর কাড়ে যে কারও। দুষ্পাপ্য এই ফুল দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে প্রতিদিনই দর্শনার্থী আসছেন ওই বাড়িতে।
হলুদ শিমুল সাধারণ শিমুলেরই আলাদা রকমফের। ভিন্ন কোন প্রজাতি নয়। গাছের গড়ন, ফোটার সময় এবং ফুলের বিন্যাস একই রকম। ব্যতিক্রমী হলো রঙ। হলুদ রঙের শিমুল ফুল সংখ্যায় খুবই কম।
বসন্তে যে ক’টি উজ্জ্বল ফুল আমাদের চারপাশ আলোকিত করে রাখে, শিমুল তার মধ্যে অন্যতম। গ্রীষ্মে যেমন অনেক দূর থেকে কৃষ্ণচূড়া ফুল চোখে পড়ে, তেমনি বসন্তে গ্রামের সবুজ পটভূমিতে শিমুলের উজ্জ্বল উপস্থিতি মাতিয়ে রাখে চারপাশ।
বসন্তের একটু ছোঁয়া পেলেই শিমুল গাছে রাশি রাশি ফুল ফুটতে শুরু করে। চৈত্র মাসের শেষের দিকে ফল পুষ্ট হয়। বৈশাখ মাসের দিকে ফলগুলো পেকে শুকিয়ে গিয়ে বাতাসে আপনা আপনিই ফল ফেটে প্রাকৃতিকভাবে তুলার সঙ্গে উড়ে উড়ে দূর-দূরান্তে ছড়িয়ে পড়ে। সেই বীজ থেকেই এর জন্ম হয়। প্রাকৃতিকভাবেই শিমুল গাছ বেড়ে ওঠে।
বালিশ, লেপ ও তোষক তৈরিতে শিমুল তুলার জুড়ি নেই। শিমুল গাছ কেবল সৌন্দর্যই বাড়ায় না, এই গাছের রয়েছে নানা উপকারিতা। প্রাকৃতিকভাবে তুলা আহরণের অন্যতম উৎস হচ্ছে শিমুল গাছ। এ গাছের সব অংশেরই রয়েছে ভেষজগুণ। আয়ুর্বেদিক চিকিৎসকরা এখনো নানা রোগের চিকিৎসায় এ গাছের বিভিন্ন অংশ ব্যবহার করেন।
হলুদ শিমুল গাছে ঘেরা বাড়ির মালিক রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘অনেকদিন আগে একটি শিমুলের চারা আমার বাড়ির আঙ্গিনায় রোপন করেছিলাম। তবে সেটা যে হলুদ শিমুল হবে তা আমার জানা ছিলো না। গাছটির বয়স আনুমানিক ১০ বছর হবে। এখন প্রতি বছর এই গাছে হলুদ শিমুল ফুল ফোটে। দূর দূরান্ত থেকে অনেকেই দেখতে আসেন। নিজের কাছেও ভালো লাগে। কারণ হলুদ শিমুলের দেখা খুব একটা যায়না। প্রায় সবই লাল ফুল। গাছটিকে বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা আছে আমৃত্যু পর্যন্ত’।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।