আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ওয়াগনার গ্রুপের প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোজিন ছিলেন বলে ধারণা করা বিধ্বস্ত বিমানটির ১০ আরোহীর মৃতদেহ ও ফ্লাইট রেকর্ডার দুটি উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে রাশিয়া। শনিবার তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, মৃতদেহগুলো শনাক্ত করতে জেনেটিক পরীক্ষা করা হচ্ছে।
বুধবার মস্কোর উত্তরে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। বিমানটি বোমা বা ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে বিধ্বস্ত হয়েছে, এমন জল্পনা ডালপালা মেলেছে। কিন্তু ক্রেমলিন প্রিগোজিনকে হত্যার নির্দেশ দিয়েছিল, এমন দাবি ‘পুরোপুরি মিথ্যা’ বলে বিবিসিকে জানিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেশকভ।
শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে ক্রেমলিনের মুখপাত্র পেশকভ বলেন, বুধবার তিভিয়ের অঞ্চলে বিমান বিধ্বস্ত হয়ে ১০ আরোহীর সবার ‘শোচনীয়’ মৃত্যু নিয়ে ‘নানা অনুমান’ ছড়িয়েছে। তিনি বলেন, আর পশ্চিমাদের ক্ষেত্রে এ সমস্ত জল্পনা অবশ্যই একটি নির্দিষ্ট দৃষ্টিকোণ থেকেই হচ্ছে। এগুলো সবই পুরোপুরি মিথ্যা। আমরা যখন এ বিষয়ে কথা বলছি, তখন অবশ্যই আমাদের প্রকৃত ঘটনাটাই বলা উচিত।
তিনি আরও বলেন, আসলেই কী ঘটেছে সে সম্পর্কে আমরা বেশিকিছু জানি না। সরকারি তদন্তের মধ্য দিয়ে প্রকৃত ঘটনাটি স্পষ্ট করে জানা দরকার, যেটি এখন চলছে। এমব্রায়ার লিগ্যাসি ৬০০ জেট বিমানটির আরোহীদের মধ্যে ওয়াগনারপ্রধান প্রিগোজিন ও তার প্রধান সহচর দিমিত্রি ইউতকিনের পাশাপাশি আরও পাঁচযাত্রী ও তিন ক্রু ছিলেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।