জুমবাংলা ডেস্ক : গণঅভ্যুত্থানকে সুসংহত করতে সারাদেশে ছাত্র-জনতার সঙ্গে মতবিনিময় করছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ও সহ-সমন্বয়করা। এই লক্ষ্যে গত রোববার থেকে শুরু হয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ের সফর।
আলাদা টিম গঠন করে বিভিন্ন জেলা সফর করছেন ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ও সহ-সমন্বয়করা। আন্দোলন চলাকালে সংশ্লিষ্ট জেলার শহীদদের কবর জিয়ারত, তাদের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করছেন ছাত্র নেতারা। একইসঙ্গে ছাত্র-নাগরিক সমাবেশে উপস্থিত জনতার মতামত শুনছেন, দিচ্ছেন দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য। কিন্তু সমন্বয়কদের এই জেলা সফর এবং সফরের খরচ নিয়ে চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা।
মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে একটি ভিডিও প্রকাশ করেছেন সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ। সেখানে বন্যার্তদের সহযোগিতার উদ্দেশে গঠিত ত্রাণ তহবিলের টাকা কীভাবে জমা রাখা হয়েছে সে বিষয়ে কথা বলেছেন। এই ভিডিও পোস্টের কমেন্ট সেকশনে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল এক পা হারা পাঁচ তরুণের একটি ছবি দিয়ে হাসান উদ্দীন নামে একজন লিখেছেন, ‘নিহত আহত পঙ্গুত্ব পরিবারের খোঁজখবর নিন জেলায় সফর না করে।’
রওজাতুল জান্নাত নামে এক ফেসবুক ব্যবহারকারী এর রিপ্লাইয়ে লিখেন, ‘জেলা সফর না করলে জানবে কেমনে কারা আহত হইছে? ঘরে বসে?’
হাসনাত আব্দুল্লাহও হাসান উদ্দীনের কমেন্টে উত্তর দেন। তিনি লিখেছেন, ‘জি না, প্রতিটা মেডিকেলের রেজিস্ট্রার বহিতে নিহত ও আহতদের তালিকা নেই। আপনার আপা সেগুলো নষ্ট করে দিয়ে গেছে। এখন এগুলো বাড়ি বাড়ি গিয়ে খুঁজে আনতে হচ্ছে।’
লিলি নামে এক ফেসবুক ব্যবহারকারী হাসনাতকে মেনশন করে লিখেছেন, ‘খুবই দুঃখজনক যে, আহত নিহতদের তালিকা নষ্ট করে ফেলেছে। যাই হোক ভাই কষ্ট করে হলেও খোঁজ-খবর নিয়ে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তাদের তালিকা তৈরি করে আহতদের দ্রুত উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করুন। প্রয়োজনে সরকারি সহায়তায় বিদেশে নিয়ে চিকিৎসা করান। ওরাই দেশের রিয়েল হিরো। ওদের দেশপ্রেম এবং দেশের জন্য জীবন বিলিয়ে দেওয়া এবং আপনাদের যৌক্তিক দাবি ও যোগ্য নেতৃত্বের কারণে আজকে আমরা স্বৈরাচারমুক্ত বাংলাদেশ পেয়েছি। আপনাদের মেধা, আর্দশ, দেশপ্রেম ও যোগ্য নেতৃত্বের কারণে ছাত্রজনতা জীবনের মায়া ত্যাগ করে রাস্তায় নেমেছে। তাই আপনারা সবকিছুর আগে তাদের চিকিৎসা প্রাধান্য দিন, তাদের পাশে থাকুন। আল্লাহ্ আপনাদের সহায় হোন।’
মতিউর রহমান নামে একজন লিখেছেন, ‘সমন্বয়কদের নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন, এটা ভালো। কাউকেই প্রশ্নের ঊর্ধ্বে রাখা যাবে না। তবে যা ইচ্ছে তাই মন্তব্য করার আগে চিন্তা শক্তিকে একটু কাজে লাগাবেন। সমন্বয়করা ‘ত্রাণের টাকা নয়-ছয় করেছে’ ‘মেরে দিয়েছে’ ইত্যাদি বক্তব্য যারা দিচ্ছেন, তাদের ভিত্তিটা কী? কোনো প্রমাণ আছে আপনাদের কারও কাছে? হ্যাঁ তারা টাকা ব্যাংকে রেখেছে। ১১ কোটির বেশি টাকা এখনই সব খরচ করে ফেলতে হবে বা হুট করে বিতরণ করে দেওয়া যায়? বন্যা পরবর্তী পূনর্বাসনে ব্যয়ের চিন্তা তো ভুল কিছু না। এত টাকা তো বস্তা ভরে রেখে দেওয়া যাবে না, ব্যাংকেই তো রাখতে হবে। তবে সমন্বয়কদের এর থেকে শিক্ষা নিতে হবে যেটা সেটা হলো, আরও সতর্ক হতে হবে, হতে হবে আরও স্বচ্ছ-সব ক্ষেত্রে। নিজেদের জীবনযাপন, সফর… সবক্ষেত্রে। আমি বিশ্বাস করি এই ছাত্রগুলা সঠিক রাস্তায় আছে তাদের বিরুদ্ধে না গিয়ে সাহায্য করেন, ভুল হলে ধরিয়ে দেন মানুষ বলতেই ভুল হয়, তারা মানুষ।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।