বিজ্ঞান ও প্রযক্তি ডেস্ক : অফিসে বেরোনোর সময়ে রোজই এমন তাড়া থাকে যে কিছু না কিছু নিতে ভুলে যান। মাঝরাস্তায় গিয়ে মনে পড়লে আবার ফিরে আসতে হয়। তবে ফোন কিংবা ব্লুটুথ হেডসেটের চার্জার হলে আর ফেরার চিন্তা করেন না। অফিসে পৌঁছে কারও না কারও ফোনের চার্জার তো পেয়েই যাবেন। অন্য সংস্থার ফোন হলেও চার্জারের টাইপ একই রকম। তাই ফোনের ব্যাটারির চার্জ শেষ হয়ে, তা বন্ধ হয়ে যাওয়ার ভয় থাকে না। তা ছাড়া ইদানীং বিভিন্ন সংস্থা ‘মাল্টিপল’ চার্জারও বাজারে নিয়ে এসেছে। যার সাহায্যে যে কোনও ধরনের ফোনেই চার্জ দেয়া সম্ভব। কিন্তু সেগুলি ফোনের ব্যাটারির জন্য আদৌ কি ভাল হয়?
প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ফোন কেনার সময়ে বক্সের মধ্যে যে চার্জার থাকে, সেগুলি একেবারেই নির্দিষ্ট ওই ফোনের উপযোগী করেই তৈরি করা হয়। টাইপ এক হলেও অন্য সংস্থার চার্জার কিন্তু ব্যাটারির উপর অতিরিক্ত চাপ ফেলতে পারে।
ফোনের জন্য নির্দিষ্ট চার্জার ব্যবহার না করলে যে সমস্যাগুলো হতে পারে-
এক সংস্থার ফোনে অন্য সংস্থার চার্জার ব্যবহার করলে চার্জ হয়তো হয়ে যাবে। কিন্তু কয়েক দিন পর থেকেই ব্যাটারির চার্জ ধরে রাখার সমস্যা বুঝতে পারবেন।
দীর্ঘদিন এই ভাবে ফোনে অন্যের চার্জার ব্যবহার করলে ব্যাটারি ফুলেও যেতে পারে।
কথা বলতে বলতে বা চার্জ দেওয়ার সময়ে ফোনে বিস্ফোরণ ঘটার উদাহরণ কারও অজানা নয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অনামি স্থানীয় কোনও সংস্থার চার্জার ব্যবহার করলে এই সম্ভাবনা বেড়ে যেতে পারে।
বিপদ এড়াতে যে বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে-
ফোনের সঙ্গে নির্দিষ্ট চার্জার ব্যবহার করাই ভাল। তবে ফোনের চার্জারের ক্ষেত্রে যদিও সংস্থা নয়, ‘ওয়াট’ গুরুত্বপূর্ণ। বিপদে পড়ে যদি অন্যের চার্জার ব্যবহার করতেই হয়, সে ক্ষেত্রে ফোনের ব্যাটারি এবং চার্জারের ওয়াট এক কিনা তা দেখে নিন। তা হলে বিপদ খানিকটা হলেও এড়ানো যেতে পারে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।